সীমান্তবর্তী জেলাগুলোর প্রশাসনকে সতর্ক থাকতে বললেন মমতা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  ২১ মে ২০২৫, ২২:৩২

উত্তরবঙ্গ সফরে গিয়ে বুধবার (২১ মে) আটটি জেলার প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী। বৈঠক থেকে কর্মকর্তাদের ভোটার তালিকা থেকে শুরু করে বাংলায় যাতে কোনো ‘সন্ত্রাসী’ আশ্রয় নিতে না পারে, সেজন্য উত্তরবঙ্গের সীমান্তবর্তী জেলার পুলিশ সুপার (এসপি), ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ও সাব-ইন্সপেক্টরদের (আইসি) সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
উত্তরকন্যা প্রেক্ষাগৃহে বৈঠকের শুরুতেই মমতা ব্যানার্জী বলেন, সীমান্ত এলাকা খুব স্পর্শকাতর। শিলিগুড়ি সর্বদা চিকেন নেক, যা উত্তর-পূর্বের গেটওয়ে। এই সব বিচার-বিবেচনা করে তিনদিন ধরে আমরা এখানে রয়েছি। আমাদের সরকারের চিফ সেক্রেটারিও বিভিন্ন জায়গা ঘুরে দেখছেন। আগে পুলিশ তিন-চারবার গিয়ে এলাকায় ঘুরতো। এখন ঘোরেই না। যত বেশি পুলিশের ভ্যান ঘুরবে, মানুষ জানবে প্রশাসন সতর্ক আছে।
তিনি আরোও বলেন, বর্ডারে বিএসএফ কাজ করছে বলে আপনারা চোখ-কান বন্ধ রাখবেন এটা হয় না। পাড়ার ক্লাবগুলোকেও হাতে রাখুন। যতদিন যেখানে থাকবেন, কাজ ভালো করে করতে হবে।
পশ্চিমবঙ্গে অন্য রাজ্যের মানুষ ঢুকে ব্যক্তিগত তথ্য নিয়ে চলে যাচ্ছে, এমন অভিযোগ করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বাইরে থেকে এসে অনেকে ভোটার কার্ড ও আধার কার্ডের তথ্য নিয়ে চলে যাচ্ছে। আমাদের দলের অনেকের সঙ্গে এটা হয়েছে। সাবধান থাকতে হবে, বাইরে থেকে এসে কোনো সন্ত্রাসী বা গুপ্তচর যেন শেল্টার নিতে না পারে। কেউ যেন মিথ্যা কথা বলে আমাদের জনগণের তথ্য হাতিয়ে নিতে না পারে।
এরপর মমতা ব্যানার্জী জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও এসপিকে সতর্ক থাকার বার্তা দিয়ে বলেন, ডিএম ও এসপি সবাইকে বলছি- নিজেদের এলাকায় সতর্ক থাকুন। শিলিগুড়ি-দার্জিলিং-কালিম্পং-কোচবিহার-উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুরের চারপাশে সীমান্ত রয়েছে। তাই আপনাদের মন দিয়ে কাজ করতে হবে।
সংবাদমাধ্যমে ভুয়া তথ্য ছড়ানো নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ইদানিং কিছু মিডিয়ার একাংশ ও সোশ্যাল মিডিয়ার কেউ কেউ উত্তেজনা সৃষ্টি হওয়ার মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করছে। অনেক সময় রাজস্থানের ছবি, বাংলাদেশের ঘটনা আমাদের উপর চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে। কয়েকদিন আগে দেখলাম, প্রতিবেশী একটি দেশকে হুমকি দেওয়ার খবর দেখাচ্ছে। এটা প্রচার করা উচিত ছিল না। উত্তেজনা বাড়বে, সীমান্তে অশান্তি বাড়বে। আর তাতে সমস্যায় পড়বে সাধারণ মানুষ। শান্তি বজায় রাখা আমাদের সবার দায়িত্ব।