আল্পসে হিমবাহ ধসে নিমেষেই ধ্বংস সম্পূর্ণ গ্রাম

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  ৩০ মে ২০২৫, ২২:৫৫

আল্পস পর্বতমালার বুক চিরে ভয়াবহ হিমবাহের সঙ্গে নেমে আসা বিশাল বরফখণ্ড, পাথর ও কাদামাটি মিশে তৈরি হওয়া স্রোতে মুহূর্তেই ধ্বংস হয়ে গিয়েছে সুইজারল্যান্ডের ব্লাটেন নামের একটি ছোট গ্রাম। গ্রামটির প্রায় ৯০ শতাংশ এলাকা ধ্বংস হয়ে গেছে। 
তবে প্রাণে বেঁচে গেছেন অধিকাংশ বাসিন্দা। কারণ ধসের আশঙ্কায় এক সপ্তাহ আগেই তাদের সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল। তবে একজন বাসিন্দা এখনও নিখোঁজ, যাকে খুঁজছে উদ্ধারকারী দল।
ধসের উৎস ছিল বার্চ হিমবাহ, যা বুধবার (২৮ মে) বিকেলে আচমকা ভেঙে পড়ে। ভূগর্ভস্থ তাপমাত্রা বাড়ার ফলে বরফের নিচে জমাট বাঁধা মাটি গলে এই বিপর্যয় ঘটেছে বলে ধারণা বিশেষজ্ঞদের। এই ঘটনা জলবায়ু পরিবর্তনের ভয়াবহ প্রতিফলন বলেই মনে করছেন বিজ্ঞানীরা।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রায় এক সপ্তাহ আগে থেকেই ধসের আশঙ্কা করেছিলেন গবেষকরা। পাহাড়ে ফাটল দেখা যাওয়ার পর ১৯ মে সরিয়ে নেওয়া হয় ব্লাটেন গ্রামের প্রায় ৩০০ বাসিন্দাকে। সরিয়ে নেওয়ার সপ্তাহ খানেকের মাথায় ধসে পড়ে হিমবাহ, যা পাথর ও বরফের ধুলো মেঘ তৈরি করে ধেয়ে আসে গ্রামের দিকে। ঘটনাটির একটি ভয়াবহ ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়। গ্রামের একজন বাসিন্দা বলেন, ‘আমরা আমাদের পুরো গ্রাম হারিয়েছি। সবকিছু ধ্বংস হয়ে গেছে। তবে আমরা আবার নতুন করে সব কিছু গড়ে তুলব।’

চীন আর ভারতের সীমান্ত স্থাপনা যেভাবে হিমালয়ে বিপদ তৈরি করছেচীন আর ভারতের সীমান্ত স্থাপনা যেভাবে হিমালয়ে বিপদ তৈরি করছে
হিমবাহের ধ্বংসাবশেষে লনজা নদীর গতিপথ বন্ধ হয়ে বিশাল একটি জলাধার তৈরি হয়েছে, যেখানে প্রতিদিন জমছে প্রায় ১০ লাখ ঘনমিটার পানি। বৃষ্টি হলে এই জলাধার ভেঙে ভয়াবহ বন্যা হতে পারে আশপাশের এলাকায়। স্থানীয়রা বলছেন, এমন বিপর্যয় কয়েক শতাব্দীতেও দেখা যায়নি। বৈশ্বিক উষ্ণায়নের প্রভাব কীভাবে পাহাড়ি অঞ্চলগুলিকে হুমকির মুখে ফেলছে, এই ঘটনা তার একটি উদাহরণ হয়ে থাকবে।

 তথ্যসূত্র: রয়টার্স