ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি প্রদান করবে বলে ঘোষণা দিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সদস্য মাল্টা। এই ঘোষণা আগামী সেপ্টেম্বর মাসে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে করা হবে।
মাল্টার প্রধানমন্ত্রী রবার্ট আবেলা মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) সন্ধ্যায় এক বিবৃতিতে এ সিদ্ধান্তের কথা জানান। এই ঘোষণার কয়েক ঘণ্টা আগে, যুক্তরাজ্যের নতুন প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারও একই ধরনের বক্তব্য দিয়েছেন। ফ্রান্সও আগে থেকেই ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার পরিকল্পনা জানিয়েছিল।
মাল্টা সরকারের ওপর কয়েক মাস ধরে ফিলিস্তিন স্বীকৃতি ইস্যুতে অভ্যন্তরীণ চাপ বৃদ্ধি পাচ্ছিল। দেশটির মধ্য-ডানপন্থী বিরোধী দলও গত জুলাইয়ে এই দাবিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিল। মাল্টা, যা ভূমধ্যসাগরের কাছে অবস্থিত, দীর্ঘদিন ধরে ফিলিস্তিনি জনগণের অধিকারের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে এবং ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাতে দ্বিরাষ্ট্রভিত্তিক শান্তিপূর্ণ সমাধানের পক্ষে সক্রিয় সমর্থন জানিয়ে আসছে।
মাল্টার প্রধানমন্ত্রী আবেলা চলতি বছরের মে মাসে প্রথমবারের মতো ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার পরিকল্পনার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। সে সময় তিনি ঘোষণা করেছিলেন যে, জুন মাসে জাতিসংঘের সম্মেলনে আনুষ্ঠানিকভাবে এই স্বীকৃতি দেওয়া হবে, তবে ওই সম্মেলন স্থগিত হয়ে যায়।
এদিকে, এর আগেই আয়ারল্যান্ড, নরওয়ে ও স্পেন ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে বলেছেন, গাজায় ইসরায়েলি সহিংসতা বন্ধ, যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়ন, পশ্চিমতীর অধিগ্রহণ বন্ধ এবং দ্বিরাষ্ট্রীয় সমাধান নিশ্চিত করার বিষয়ে প্রতিশ্রুতি না পাওয়া গেলে ব্রিটেনও আগামী সেপ্টেম্বরে ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেবে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এই ঘোষণার মাধ্যমে পশ্চিমা বিশ্বে নতুন একটি কূটনৈতিক ধারার সূচনা হতে পারে। দীর্ঘদিন ধরে ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাতে পশ্চিমা বিশ্ব ছিল ইসরায়েলপন্থী, কিন্তু এখন ফিলিস্তিনের পক্ষেও সমর্থন বাড়ছে। মাল্টার এই আসন্ন ঘোষণা সেই বৈশ্বিক ধারা আরও শক্তিশালী করবে বলে মনে করা হচ্ছে।