
প্রায় ২ মাস বন্ধ থাকার পর জাতিসংঘের ত্রাণবাহী ট্রাকের জন্য আফগানিস্তানের সঙ্গে তোরখাম ও চামান সীমান্ত ক্রসিং ফের খুলে দিয়েছে পাকিস্তান। দেশটির পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র তাহির আন্দ্রাবি এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। খবর ডনের।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে পরামর্শ করে সীমান্ত খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। তবে পাকিস্তানের এই কর্মকর্তা স্পষ্ট করে বলেছেন, সীমান্ত ক্রসিং খুলে দেওয়া হলেও বাণিজ্য এখনও স্থগিত রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘আফগান জনগণের সাথে আমাদের কোনো দ্বন্দ্ব নেই’।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে পাক নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে অভিযান তীব্র করেছে তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান বা টিটিপি। পাকিস্তানে সহিংসতা ক্রমাগত বৃদ্ধি পাওয়ায় আফগানিস্তানের সঙ্গে দেশটির উত্তেজনাও তীব্র হয়েছে। ২০২১ সালে তালেবানরা ক্ষমতা দখলের পর থেকে ইসলামাবাদ টিটিপিকে আফগান ভূখণ্ডকে নিরাপদ আশ্রয় হিসেবে ব্যবহার করার অভিযোগ করেছে, যা কাবুল অস্বীকার করেছে।
ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মধ্যে গত ৯ অক্টোবর কাবুলে ড্রোন হামলার ঘটনা ঘটে। যে হামলার জন্য ইসলামাবাদকে অভিযুক্ত করে তালেবান-নেতৃত্বাধীন আফগান সরকার। এরপর প্রতিবেশী দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি ঘটে। শুরু হয় সীমান্ত সংঘাত যাতে কয়েক ডজন মানুষের মৃত্যু হয়।
যার প্রেক্ষিতে সীমান্ত ক্রসিংগুলো বন্ধ করে দেয় ইসলামাবাদ। ফলে সীমান্ত বাণিজ্য স্থবির হয়ে পড়ে। এতে আফগানিস্তানে খাদ্য ও ওষুধের সরবরাহে ঘাটতি দেখা দেয়।
গত ১৯ অক্টোবর কাতারের মধ্যস্থতায় আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের মধ্যে একটি যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়। সেই যুদ্ধবিরতি এখনও বহাল রয়েছে, যদিও ইস্তাম্বুলে পাক ও আফগান প্রতিনিধিদলের মধ্যে সাম্প্রতিক একাধিক বৈঠক কোনো অগ্রগতি ছাড়াই শেষ হয়।