মিয়ানমারে রোহিঙ্গা গণহত্যা থেকে বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিদের পাশে আছে যুক্তরাষ্ট্র। রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের ক্ষতিগ্রস্ত সদস্যদের জীবন রক্ষাকারী সহায়তা প্রদানেও যুক্তরাষ্ট্র প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন এসব কথা বলেছেন।
রোহিঙ্গা গণহত্যার সাত বছর পূর্তি উপলক্ষে এক বিবৃতিতে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী শনিবার (২৫ আগস্ট) এ কথা বলেন। ‘রোহিঙ্গা গণহত্যা স্মরণ’ শিরোনামের বিবৃতিটি মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে।
বিবৃতিতে ব্লিঙ্কেন বলেন, মিয়ানমারে চলমান মানবিক সংকট ও মানবাধিকার লঙ্ঘন দেশটির অনেক জাতিগত ও ধর্মীয় সংখ্যালঘু গোষ্ঠীর সদস্যদের, বিশেষ করে রোহিঙ্গাদের সমস্যাকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে।
ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য গত সাত বছরে যুক্তরাষ্ট্র প্রায় ২৪০ কোটি ডলারের মানবিক সহায়তা দিয়েছে বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, রোহিঙ্গাসহ সব বেসামরিক নাগরিকের বিরুদ্ধে সংঘটিত নৃশংসতা ও নির্যাতনের তথ্যপ্রমাণও যুক্তরাষ্ট্র ব্যাপকভাবে পর্যালোচনা করছে।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, একটি গণতান্ত্রিক, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও শান্তিপূর্ণ ভবিষ্যতের জন্য মিয়ানমারের জনগণের আকাঙ্ক্ষার প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন অটুট রয়েছে। একই সঙ্গে তারা বেসামরিক নাগরিকদের ক্ষতির হাত থেকে রক্ষায় সব পক্ষের প্রতি আহ্বান জানায়।
২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা মুসলমানদের বিরুদ্ধে নৃশংস দমন অভিযান শুরু করে দেশটির সেনাবাহিনী। এর জেরে লাখ লাখ রোহিঙ্গা মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়।