ভারতের গুজরাট রাজ্যে সহকর্মীর ছোড়া গুলিতে আধাসামরিক (প্যারামিলিটারি) বাহিনীর দুই জওয়ান নিহত হয়েছেন। এতে আরও দুই জওয়ান আহত হয়েছেন। শনিবার (২৬ নভেম্বর) গুজরাটের পোরবন্দর জেলার একটি ক্যাম্পে এ ঘটনা ঘটে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ঘাতক জওয়ানের নাম কনস্টেবল এস ইনাউচা সিং। নিজের কাছে থাকা একে-৪৭ রাইফেল দিয়ে তিনি সহকর্মীদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়েন। গুলিতে নিহত দুই জওয়ান হলেন, থোইবা সিং ও জিতেন্দ্র সিং।
এ ঘটনায় আহত দুই জওয়ান হলেন, কনস্টেবল চোরাজিৎ ও রোহিকানা। তাদের একজনের পেটে ও অন্য জনের পায়ে গুলি লেগেছে। প্রাথমিকভাবে তাদের উদ্ধার করে পোরবন্দর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য জামনগরের একটি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।
জানা যায়, আগামী মাসের বিধানসভা নির্বাচনের আগে গুজরাটে নির্বাচনী দায়িত্ব পালনের জন্য ওই ক্যাম্পে অবস্থান করছিলেন দেশটির আধাসামরিক বাহিনীর সদস্যরা। মণিপুরের ইন্ডিয়া রিজার্ভ ব্যাটেলিয়ন থেকে তাদের নিয়োগ করা হয়েছিল।
পুলিশ সূত্রে সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, যখন গুলি চালানোর ঘটনা ঘটে তখন প্যারামিলিটারি সদস্যদের কেউই কর্তব্যরত ছিলেন না। কোনো একটি বিষয় কেন্দ্র করে তাদের কয়েকজনের মধ্যে মনোমালিন্য সৃষ্টি হয়। আর সেই থেকেই গুলির ঘটনা ঘটে।
পোরবন্দরের কালেক্টর ও ওই জেলার নির্বাচনী কর্মকর্তা এএম শর্মা জানান, নিজেদের মধ্যে বাক-বিতণ্ডার একপর্যায়ে আচমকা এক জওয়ানের হাতে থাকা রাইফেল থেকে গুলি চালানো হয়। কী কারণে এমন ঘটনা ঘটল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, গুজরাটে নির্বাচনের আগে সেন্ট্রাল আর্মড পুলিশ ফোর্সের (সিএআরএফ) পাশাপাশি আইআরবির জওয়ানও মোতায়েন করা হয়েছে। নিহত ও আহত জওয়ানেরা প্রত্যেকে মনিপুর আইআরবি‘র সদস্য।
পোরবন্দরে প্রথম পর্যায়ের ভোট অনুষ্ঠিত হবে ১ ডিসেম্বর। পরবর্তী পর্যায়ের ভোট হবে ৫ ডিসেম্বর। ভোটের ফলাফল জানা যাবে ৮ ডিসেম্বর। পোরবন্দর হলো মহাত্মা গান্ধী ও শ্রী কৃষ্ণের বাল্যবন্ধু সুদামার জন্মস্থান।