সিলেটে ‘করোনাকালের ডাইরি’ প্রবন্ধ গ্রন্থের প্রকাশনা অনুষ্ঠিত

ডেস্ক রিপোর্ট
  ২৬ জানুয়ারি ২০২৫, ১৪:০০

‘আমরা করোনাকালের মত কঠিন একটি সময় পেরিয়ে এসেছি। মানব সভ্যতার ইতিহাসে এমন ঘটনা একেবারেই বিরল। সেই দুঃসময়ের অনেক বাস্তব স্মৃতি ও স্বজন হারানোর বেদনা নিখুঁতভাবে লিপিবদ্ধ করেছেন লেখক ও প্রাবন্ধিক আহবাব চৌধুরী খোকন। করোনাকালের পূর্ণাঙ্গ প্রতিচ্ছবি ফুটে উঠেছে ‘করোনাকালের ডায়েরি’ গ্রন্থে।’
যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী লেখক ও প্রাবন্ধিক আহবাব চৌধুরী খোকনের ‘করোনাকালের ডায়েরি’ প্রবন্ধ গ্রন্থের প্রকাশনা অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন।
সিলেটের অন্যতম প্রকাশনা সংস্থা ‘বুনন প্রকাশন’-এর উদ্যোগে শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় নগরীর দরগাহ গেইটস্থ একটি অভিজাত হোটেলের হলরুমে এই প্রকাশনা অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়।
কবি ও শিক্ষাবিদ কালাম আজাদের সভাপতিত্বে ও কবি আয়েশা মুন্নির সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মদনমোহন কলেজ সিলেটের সাবেক অধ্যক্ষ এম আতাউর রহমান। অতিথি ছিলেন চ্যানেল এস ইউকের চেয়ারম্যান আহমেদ উস সামাদ চৌধুরী জেপি। মূখ্য আলোচক ছিলেন রাজনীতিবিদ কাইয়ুম চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী লেখক ও কবি ইশতিয়াক রুপু। মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন কবি, প্রাবন্ধিক ও সাহিত্য সমালোচক মামুন সুলতান। স্বাগত বক্তব্য দেন ‘বুনন প্রকাশন’-এর স্বত্বাধিকারী লেখক, প্রকাশক ও শিক্ষক খালেদ-উদ-দীন।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন কবি শামসুল কিবরিয়া, সিলেট জেলা ও দায়রা জজ আদালতের এডিশনাল পিপি আল আসলাম মুমিন, কবি ও গল্পকার আনোয়ার হোসেন মিসবাহ, ব্যাংকার মোহাম্মদ মোশতাক চৌধুরী, গল্পকার তাসলিমা খানম বীথি, কবি ও সাংবাদিক আবদুল বাছিত।
অনুষ্ঠানে এম আতাউর রহমান বলেন, ‘আহবাব চৌধুরী খোকন করোনাকালের একটি চমৎকার উপাখ্যান উপস্থাপন করেছেন। তিনি অত্যন্ত সুন্দরভাবে একটি কঠিন সময়কে তাঁর জ্ঞান, প্রজ্ঞা ও বিচক্ষণতা দিয়ে তুলে ধরেছেন। তাঁকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।’
আহমেদ উস সামাদ চৌধুরী জেপি বলেন, ‘আহবাব চৌধুরী খোকন আমার ভাতিজা। তাঁর জন্য আমি গর্বিত। সে শুধু বই রচনা করেনি; সমাজের মানুষের জন্য কাজ করেছে, বিশেষত যুক্তরাষ্ট্রে। সে করোনার মতো কঠিন সময়কে অত্যন্ত সুন্দরভাবে তুলে ধরেছে। এ জন্য সে প্রশংসার পাত্র।’
কাইয়ুম চৌধুরী বলেন, ‘আহবাব চৌধুরী খোকন স্কুল জীবন থেকে লেখালেখি করছে। তার সাথে আমার পারিবারিক সম্পর্ক রয়েছে। করোনা নিয়ে যে গ্রন্থটি সে রচনা করেছে, তা ভবিষ্যতে গবেষকদের জন্য রেফারেন্স বুক হিসেবে ভূমিকা রাখবে।’
ইশতিয়াক রুপু বলেন, ‘আহবাব চৌধুরী খোকন করোনাকালের যে চিত্র তাঁর বইয়ের মাধ্যমে ধারণ করেছেন, তা ইতিহাসের অংশ হয়ে থাকবে। করোনার মতো ভয়ংকর দৈত্যকে প্রাজ্ঞতার সাথে উপস্থাপন করেছেন লেখক।’
অনুভূতি প্রকাশ করে আহবাব চৌধুরী খোকন বলেন, ‘করোনাকালে আমি কঠিন অবস্থা অতিক্রম করেছি। বাস্তবিক জীবনবোধ ও দায়বদ্ধতা আমাকে গ্রন্থ রচনায় উদ্বুদ্ধ করেছে। আপনারা যারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছেন, সকলকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।’
কালাম আজাদ বলেন, ‘আহবাব চৌধুরী খোকন আমার ছাত্র। তাকে নিয়ে আমি গর্ববোধ করি। তার রচিত ‘করোনাকালের ডায়েরি’ একটি সহজ, সরল ও প্রাঞ্জল গ্রন্থ। যে ঘটনাগুলো তিনি তার গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন, তা ইতিহাসের অংশ হয়ে থাকবে।’