জাতীয় কবিতা পরিষদের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হলো কবিতাপাঠের ৪১ তম আসর। মঙ্গলবার বিকালে ইস্কাটন গার্ডেন রোডের কাজল মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয় এই আয়োজন।
অনুষ্ঠানের কবিতা পাঠে অংশ নেন পরিষদের সভাপতি কবি মোহন রায়হান, সহ সভাপতি কবি এবিএম সোহেল রশীদ, সাধারণ সম্পাদক কবি রেজাউদ্দিন স্টালিন, কবি শাহীন চৌধুরী, কবি ক্যামেলিয়া আহমেদ, কবি ইউসুফ রেজা, কবি রফিক হাসান, কবি শিমুল পারভীন, কবি আশফাকুজ্জামান, কবি কবীর হুমায়ন, কবি রোকন জহুর, কবি মোহাম্মদ কুতুব উদ্দিন, কবি আফিয়া রুবি, কবি শাহজাদা সেলিম, কবি সবুজ মনির, কবি শরীফ খান দীপ, কবি নাহিদ হাসান, কবি হাওয়া বেগম, কবি কাব্য রাসেল, কবি খান কাওসার কবির, কবি রানা জামান, কবি মোছা: রোকসানা খাতুন, কবি ইমরুল কায়েস, কবি বাবু হাবিবুল, কবি ড. ফোরকান, কবি জয়নুল আবেদীন জয়, কবি নেওয়াজ, কবি তাসকিনা ইয়াসমিন প্রমুখ।
এবিএম সোহেল রশিদ বলেন, আমরা চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানে পর্যাপ্ত সময় পেলেও সদ্ব্যবহার করতে পরিনি। টানা ছত্রিশ দিন আন্দোলন হয়েছে। তখন আমরা আন্দোলনকারীদের জন্য কবিতার দুইটি পঙক্তি লিখে তাদেরকে উজ্জীবিত করতে পারিনি। নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনে আমরা দুটি লাইন দিতে পেরেছিলাম। তখন আমরা কবিতা লিখেছি কিন্তু চব্বিশের আন্দোলনে তা দিতে পারিনি। তবে কি তরুণ প্রজন্মের ভাবনার সাথে আমাদের দূরত্ব তৈরি হয়েছে না-কি আমরা তাদের ভাবনাকে ধারণ করতে পারছি না।
কবি মোহন রায়হান বলেন, কবিতা হচ্ছে সেই শিল্প যে শিল্প মানুষের হৃদয়, মনন, চেতনাকে নাড়া দিতে পারে। কবি নিজের মনের মাধুরী মিশিয়ে অন্যের গুণকে মর্মগ্রাসী হৃদয়স্পর্শী করে তুলতে পারে।
কবি শাহীন চৌধুরী বলেন, কবির হৃদয়ের সাময়িক অনুভূতি ছন্দোবদ্ধভাবে প্রকাশই কবিতা। বাংলা কবিতার ছন্দ তিন প্রকার। এখন সাধারণত অক্ষরবৃত্ত গদ্য ছন্দে আমরা কবিতা লিখি। গদ্যছন্দে মাত্রার কেন সীমাবদ্ধতা নেই। উৎপ্রেক্ষা হচ্ছে কবিতায় আলংকারিক শব্দ প্রয়োগ। অনুপ্রাস কবিতায় একই ধ্বনির একাধিক ব্যবহারে যে ধ্বনি সাম্যের সৃষ্টি হয় সেটা অনুপ্রাস। চিত্রকল্পে এমন একটি কবিতার বর্ণনা থাকবে যা দৃশ্যমান হয়। এখন বাংলায় শব্দের অভাব নেই। একই কবিতায় একই শব্দ একাধিকবার ব্যবহার করেছে। এতে তার শব্দভান্ডার জ্ঞান নিয়ে সন্দিহান হতে হয়। রবীন্দ্রনাথ এখনও উত্তর আধুনিক জীবনের কবি। কবিতার সকল সেক্টরে তার অবদান রয়েছে। কবিতার শব্দ প্রয়োগের ক্ষেত্রে কবিতার ভিন্ন অর্থ খোঁজা এটাও কবির প্রয়োজন রয়েছে।