শুক্রবার থেকে চার দিনব্যাপী নিউ ইয়র্ক আন্তর্জাতিক বাংলা বইমেলা শুরু হচ্ছে। বাংলা ও পশ্চিম বাংলার বাইরে বাংলা বই, ভাষা ও সংস্কৃতির বৃহত্তম এই বইমেলায় যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঙ্গরাজ্য, কানাডাসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের লেখক ও সাহিত্যাপ্রেমীরা অংশ নিবেন।
৪০-টি প্রকাশনা প্রায় ১০ হাজার নতুন বই নিয়ে উপস্থিত থাকবে ৩৩তম এই আয়োজনে। লেখক, অতিথি ও প্রকাশকদের অধিকাংশ ইতিমধ্যে নিউইয়র্কে পৌঁছেছেন। মুক্তধারা ফাউন্ডেশন আয়োজিত এই বইমেলা বসবে বাঙালি অধ্যুষিত কুইন্সের জ্যামাইকা পারফরমিং আর্টস সেন্টারে।
৩৩তম নিউ ইয়র্ক আন্তর্জাতিক বাংলা বইমেলার আহ্বায়ক লেখক ও সাংবাদিক হাসান ফেরদৌস বলেন, বাংলা একাডেমির মতো ভবনের সামনে নির্মিত হয়েছে বই বিক্রয়ের জন্য সব স্টল। সঙ্গে থাকছে একটি শিশু মঞ্চ ও লেখক কুঞ্জ। উদ্বোধনী দিন মূল অনুষ্ঠানের আগে থাকবে উন্মুক্ত মঞ্চে একটি কনসার্ট। নিউ ইয়র্কের খ্যাতনামা শিল্পী তাজুল ইমামের পরিকল্পনায় ও পরিচালনায় সন্ধ্যায় গানের এই আসরে অংশ নেবে নিউইয়র্কের একাধিক সাংস্কৃতিক সংগঠন।
মুক্তধারা ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিত সাহা বলেন, এবারের বইমেলার একটি উল্লেখযোগ্য সংযোজন ঢাকার মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের সৌজন্য জেনোসাইড ’৭১ এই শীর্ষক একটি চিত্র প্রদর্শনী। মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি ডা. সারোয়ার আলী প্রদর্শনীটি উদ্বোধন করতে ইতিমধ্যেই নিউ ইয়র্কে পৌঁছেছেন। জেনোসাইড এখনো কেন আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পায়নি, এই শীর্ষক একটি সেমিনারও থাকছে অনুষ্ঠানসূচিতে।
বিশ্বজিত সাহা আরও বলেন, মেলার তৃতীয় দিন একক সঙ্গীত পরিবেশন করবেন রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা। অনুষ্ঠানের শেষদিন অর্থাৎ সোমবার থাকবে দিনব্যাপী শিশু-কিশোর-যুবা উৎসব, তারুণ্যের উল্লাস। নিউ ইয়র্ক বইমেলায় মুক্তধারা/জি এফ বি সাহিত্য পুরস্কারসহ আরও বেশ কয়েকটি পুরস্কার ও সম্মাননা প্রদান করা হবে।