চার দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত ৩৩তম নিউইয়র্ক আন্তর্জাতিক বইমেলার সফল সমাপ্তি হয়েছে। ‘যত বই তত প্রাণ’ শিরোনামে নিউইয়র্কের জ্যামাইকা পারফর্মিং আর্টস সেন্টারে ২৪ মে শুরু হয়ে এই মেলা শেষ হয় ২৭ মে। বাংলাদেশ ও ভারত থেকে আমন্ত্রিত অতিথিরা মেলায় যোগ দেন। পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন স্টেট থেকে অতিথিরা যোগ দেন। অতিথি ও দর্শনার্থীদের পদচারণে মুখর হয়ে ওঠে মেলা প্রাঙ্গণ। মেলায় ৪০টির বেশি প্রকাশনা সংস্থা অংশ নেয়। সেখানে ১০ হাজারের বেশি বই ছিল। মেলায় অনেক নতুন বই আসায় পাঠকেরা আগ্রহভরে বই কেনেন। অনেক পাঠক পরিবার-পরিজন নিয়ে মেলায় এসেছিলেন। এ দেশে বড় হয়ে উঠছে এমন তরুণ প্রজন্মের সংখ্যা মেলায় তুলনামূলক কম ছিল। মধ্যবয়সী ও প্রবীণদের সংখ্যাই বেশি ছিল। অনেক শিশুও তাদের মা-বাবার সঙ্গে মেলায় আসে। আগামী বছর আবারও সফলভাবে মেলা করার প্রত্যাশা ব্যক্ত করে বইমেলার পর্দা টানা হয়েছে।
মুক্তধারা ফাউন্ডেশনের আয়োজনে ২৪ মে শুক্রবার প্রথম দিন মেলা শুরু হয় সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায়, শেষ হয় রাত এগারোটায়। এরপর শনি ও রোববার মেলা চলে সকাল ১১টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত। শেষ দিন সোমবার মেলা শুরু হয় সকাল ১১টায় ও শেষ হয় রাত সাড়ে ১০টায়। মেলার পৃষ্ঠপোষকতা করেন প্রিন্সিপাল হুসনে আরা, আহমেদ ফাউন্ডেশন, ডা. জিয়াউদ্দিন আহমেদ অ্যান্ড ডা. ফাতেমা আহমেদ, জিএফবি গ্রুপ, সৈয়দ জাকি অ্যান্ড রাহাত হোসেন, কেএএমএস ডিস্ট্রিবিউটর ইনক। শনি, রবি ও সোমবার সকাল নয়টা থেকে সাড়ে দশটা পর্যন্ত লেখক ও সাহিত্যপ্রেমীদের মনখোলা আড্ডা, সঙ্গে প্রাতরাশ পর্ব ছিল।
নিউইয়র্ক : নিউইয়র্ক আন্তর্জাতিক বইমেলা নিয়ে ঠিকানার আয়োজনে মতবিনিময় সভায় বাংলাদেশ-ভারত-আমেরিকার বিশিষ্ট কবি-সাহিত্যিক, প্রকাশক ও সাংবাদিকরা।
মেলার প্রথম দিন ২৪ মে শুক্রবার সন্ধ্যা ছয়টা থেকে সাতটা পর্যন্ত ‘বাজাই বাংলাদেশের ঢোল’ শিরোনামে উন্মুক্ত অনুষ্ঠান হয়। সেখানে সংগীত ও নৃত্য পরিবেশন করা হয়। জ্যামাইকা পারফর্মিং আর্টস সেন্টারের বাইরে উন্মুক্ত প্রাঙ্গণে বৃন্দগান ও নৃতানুষ্ঠান হয়। পরিকল্পনা ও পরিচালনায় ছিলেন তাজুল ইমাম। অংশগ্রহণ করে বহ্নিশিখা সংগীত নিকেতন, সংগীত পরিষদ, উদীচী ও আড্ডা। কমিউনিটির বিভিন্ন বয়সী শিল্পীরা নিজ নিজ সংগঠনের ব্যানারে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশ নেন। এ সময় তাদের সঙ্গে রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যাও অংশ নেন। তিনি ‘আগে কী সুন্দর দিন কাটাইতাম’ গানটি সমবেত কণ্ঠে পরিবেশন করে দর্শনার্থীদের মন কাড়েন। সন্ধ্যা সাতটায় মেলার অনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়। উদ্বোধন করেন বাংলা একাডেমীর মহাপরিচালক মুহম্মদ নুরুল হুদা। এরপর গণহত্যা মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের সৌজন্যে চিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি ডা. সারোয়ার আলী। মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ওয়াশিংটনস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত ইমরান আহমেদ, নিউইয়র্কে নিযুক্ত বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল নাজমুল হুদা, কণ্ঠশিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা, সারা জাকের, ড. নূরুন নবী, হাসান ফেরদৌস, বিশ্বজিৎ সাহা, জিয়াউদ্দিন আহমেদ, রোকেয়া হায়দার, ফরিদা ইয়াসমিনসহ কমিউনিটির বিভিন্ন নেতা উপস্থিত ছিলেন। বইমেলার তাৎপর্য তুলে ধরে মুহম্মদ নুরুল হুদা, রাষ্ট্রদূত ইমরান আহমেদ, বিশ্বজিৎ সাহা বক্তব্য রাখেন। নিজ নিজ বক্তব্যে তারা বাংলা ভাষার ইহিতাস ও ঐতিহ্য তুলে ধরেন।
অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে ছিল গণহত্যা শিরোনামে চিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধন। এই পর্বের উদ্বোধন করেন মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি ডা. সারোয়ার আলী ও ট্রাস্টি সারা জাকের। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকও এই অনুষ্ঠানে যোগ দেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মুক্তধারার আয়োজক সংগঠন মুক্তধারার বিভিন্ন নেতা ও আমন্ত্রিত অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন। উদ্বোধনের পর অতিথিরা গণহত্যা প্রদর্শনীটি ঘুরে দেখেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের তৃতীয় পর্ব মঞ্চের ভেতরে অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে ছিল মঙ্গলপ্রদীপ প্রজ্জ্বলন। বইমেলার উদ্বোধনী পর্ব উপস্থাপন করেন শামীম আল আমিন। সেখানে ৩৩ জন অতিথিকে উত্তরীয় পরিয়ে দেওয়া হয়। তারা একে একে মঞ্চে আসেন এবং প্রদীপ জ্বালান। এই সময়ে অতিথিদের অভিনন্দন জানান মুক্তধারা ফাউন্ডেশনের সভাপতি ড. নুরুন নবী, ৩৩তম নিউইয়র্ক আন্তর্জাতিক বইমেলার আহ্বায়ক হাসান ফেরদৌস, সহযোগিতায় ছিলেন রানু ফেরদৌস, জাকিয়া ফাহিম, পারভীন সুলতানা, রূপা খানম, রাহাত কাজী ও তাহমিনা খানম। উত্তরীয় গ্রহণকারীদের কয়েকজন বইমেলা নিয়ে বক্তব্য রাখেন। এরপর উদ্বোধনী সংগীত গাওয়া হয়। সংগীত পরিষদের শিল্পীরা বাংলাদেশের হৃদয় হতে গানটি সমবেত কণ্ঠে পরিবেশন করেন।
অতিথিদের স্বাগত বক্তব্য পর্বে বক্তৃতা করেন ড. আরেফিন সিদ্দিক, ডা. সারোয়ার আলী, সৌমিত্র শেখর দে, ড. প্রহ্লাদ রায়, ফরিদুর রেজা সাগর, মাসরুর আরেফিন, লুৎফর রহমান রিটন, ফরিদ আহমেদ, ড. মিল্টন বিশ্বাস প্রমুখ।
এরপর অনুষ্ঠিত হয় ‘যতদূর বাংলা ভাষা ততদূর বাংলাদেশ’ কবিতাপাঠের আসর। মুহম্মদ নুরুল হুদা আবৃত্তি করেন। এর পরের পর্ব ছিল ‘আমরা নতুন যৌবনের দূত’ গীতালেখ্য। পরিবেশনায় ছিল বাফা। অংশগ্রহণ করে সারাফ, সামি, কথা অদিতিয়া, জয়িতা, মিথিলা, শুভশ্রী, আবৃত্তি, ইশারা, দিশিতা, অধরা, বর্তিকা, তাহনিয়াত, তনুশ্রী, রাজভিকা, শ্রেয়সী, জ্বারা। কোরিওগ্রাফার ছিলেন রাসেল আহমেদ। এরপর ‘ঝিঙেফুল’ শিরোনামে শিশু-কিশোর কণ্ঠে নজরুলের কবিতাপাঠের আসর অনুষ্ঠিত হয়। এর পরিকল্পনা ও গ্রন্থনায় ছিলেন মনজুর কাদের। এরপর রাতে হয় সংগীতানুষ্ঠান। সেখানে সংগীত পরিবেশন করেন লিলি ইসলাম ও শাহ মাহবুব।
দ্বিতীয় দিন ২৫ মে বইমেলা বেলা ১১টা থেকে শুরু হয়ে চলে রাত ১১টা পর্যন্ত। এদিন ছিল ‘স্বরচিত কবিতাপাঠ’ এর আসর। তালিকাভুক্ত সকল কবি পর্যায়ক্রমে কবিতা পাঠ করেন। ছিল স্বল্প চলচ্চিত্র প্রদর্শনী। আফজাল হোসেন ও বন্যা মির্জা ছিলেন এই পর্বে। এরপর অনুষ্ঠিত হয় ‘পাঠক-লেখক প্রকাশক ফোরাম’ শিরোনামে অনুষ্ঠান। এটি সঞ্চালনা করেন ফাহিম রেজা নুর।
এদিন নতুন বই নিয়ে আলোচনা ও বই পরিচিতি পর্ব ছিল। এটি সঞ্চালনা করেন জসিম মল্লিক। এরপর ‘১৯৭১ এর জেনোসাইড কেন আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পায়নি’ শিরোনামে সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। এই পর্ব সঞ্চালনা করেন জিয়াউদ্দিন আহমেদ। কবিতা আবৃত্তির অনুষ্ঠান ছিল ‘আবার ভালোবাসার সাধ জাগে’ শিরোনামে। পরিকল্পনা ও সঞ্চালনায় ছিলেন জি এইচ আরজু। সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত হয় ‘বিদ্রোহী রণক্লান্ত’, কবি নজরুলের ১২৫তম জন্মজয়ন্তী। সঞ্চালনায় ছিলেন ফারুক আজম। রাতে অনুষ্ঠিত হয় জলসা। সেটি সঞ্চালনা করেন রানু ফেরদৌস। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন শিল্পীরা অংশ নেন।
তৃতীয় দিন ২৬ মে মেলা শুরু হয় সকাল ১১টায়। সেদিন বসে ‘স্বরচিত কবিতা পাঠ’ এর আসর। এতে অতিথি ছিলেন কবি জিন্নাহ চৌধুরী, সাইফুল্লাহ মাহমুদ দুলাল। ছিল ‘ছাড়ার আসর’। অতিথি কবি ছিলেন লুৎফর রহমান রিটন ও সৈয়দ আল ফারুক। এরপর অনুষ্ঠিত হয় ‘নতুন বই’ শিরোনামে অনুষ্ঠান। সঞ্চালনা করেন আব্দুল্লাহ জাহিদ। অতিথি ছিলেন ফারুক আহমেদ। দুপুরে অনুষ্ঠিত হয় ‘রবীন্দ্রনাথ ও পূর্ব বাংলা’ শিরোনামে অনুষ্ঠান। সেখানে আলোচনা পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। ২০২৪ সালে যারা বিভিন্ন জাতীয় পুরস্কার পেয়েছেন, তাদের সঙ্গে ছিল আলাপচারিতা ‘সাহিত্য ও পুরস্কার’। এই পর্ব সঞ্চালনা করেন জি এইচ রাজু। ‘বাংলা নাটকের এদিন সেদিন’ নিয়ে ছিল আলোচনা অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন শিরিন বকুল। অংশ নেন আফজাল হোসেন ও খাইরুল ইসলাম পাখি। এরপর বিকেলে অনুষ্ঠিত হয় ‘অভিবাসী সাহিত্য মূল্যহীন’ বিতর্ক। শামীম আল আমিন এর সঞ্চালনা করেন। ‘বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের ৫০ বছর’ শিরোনামে ছিল আলাপচারিতা অনুষ্ঠান। ‘শিশুসাহিত্য ছেলেখেলা নয়’ শিরোনামে ছিল আলোচনা পর্ব। কবিতা আবৃত্তি ছিল ‘আমরা তামাট জাতি’। ‘মুুক্তধারা বক্তৃতা ২০২৪ নজরুল ও বঙ্গবন্ধু’ শিরোনামে অনুষ্ঠিত পর্বে কথা বলেন মুহম্মদ নুরুল হুদা। সন্ধ্যায় ছিল মুক্তধারা-জিএফবি সাহিত্য পুরস্কার, শহীদ কাদরী শ্রেষ্ঠ গ্রন্থ পুরস্কার ও চিত্তরঞ্জন সাহা শ্রেষ্ঠ প্রকাশনা পুরস্কার পর্ব। সঞ্চালনায় ছিলেন গোলাম ফারুক ভূঁইয়া। সঙ্গে ছিলেন ড. নুরুন নবী। এ সময় পৃষ্ঠপোষকদের ধন্যবাদ জানানো হয়। আরও অনুষ্ঠিত হয় ‘কোথায় পাব তারে’। সংগীতালেখ্য পর্বে ছিল সংগীত পরিবেশনা। পরিবেশনায় ছিল আনন্দ ধ্বনি। রাতে মঞ্চস্থ হয় নাটক ‘তিন কন্যার উপাখ্যান’। ‘মুখোমুখি’ আলোচনা ছিল এর পরের পর্ব। এদিন সব শেষে ছিল রেজওয়ানা চৌধুরীর একক সংগীতানুষ্ঠান।
মেলার শেষ দিন ২৭ মে সকাল নয়টায় আড্ডা শুরু হয়। সেখানে লেখক ও সাহিত্যামোদীদের মনখোলা আড্ডা হয়। সেই সঙ্গে ছিল প্রাতরাশ। এরপর অনুষ্ঠিত হয় কর্মশালা। ‘লেখা থেকে পাণ্ডুলিপি, পাণ্ডুলিপি থেকে বই’, ‘স্বরচিত কবিতা পাঠ’ এর আসর ছিল এদিনও। এরপর চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হয় ‘আজীবন মুক্তিযোদ্ধা’। এটি ড. নুরুন নবীর ওপর তৈরি একটি চলচ্চিত্র। বিকেলে ছিল ‘তারুণ্যের উৎসব’ শিশু-কিশোর ও যুব উৎসব। বিকেলে আরও ছিল ‘যেমন খুশি আঁকো, যেমন খুশি গাও’ অনুষ্ঠান। মেলা প্রাঙ্গণে এটি অনুষ্ঠিত হয়। নবীন শিল্পীদের পরিবেশনায় ছিল সংগীত ও নৃত্যানুষ্ঠান। ‘ধর্ম-বর্ণ-জাতির ঊর্ধ্বে জাগোরে নবীন প্রাণ’ শিরোনামে এই অনুষ্ঠান হয়। এরপর বসে ‘নবীন কবিদের আসর’। ‘খাতা থেকেই বই’ নিয়ে আলোচনা হয় নতুন প্রজন্মের লেখকদের। সন্ধ্যায় ছিল ‘বিকল্প তথ্যমাধ্যম কেন গুরুত্বপূর্ণ’ সংক্রান্ত আলোচনা। এরপর অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা অনুষ্ঠান ‘রন্ধন যখন সংস্কৃতি’। এরপর অনুষ্ঠিত হয় ‘সাফল্যের পেছনে শিরোনামে একটি পর্ব’। সবচেয়ে আকর্ষণীয় পর্ব ছিল অনেকেরই কাছে ‘র্যাফল ড্র’। র্যাফেল ড্র বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। ‘মুক্তিযুদ্ধ ও নতুন প্রজন্ম’ বিষয়ে কথা বলেন সারা জাকের। রাতে ছিল নবীন শিল্পীদের দ্বৈত কণ্ঠে গান ‘আপনার চেয়ে আপন যে জন’, ভিন্ন আঙ্গিকে নজরুল। বলরুম ও আধুনিক নৃত্য নিয়ে ছিল আলোচনা পর্ব। এরপর ছিল ‘তোমাদের নজরুল নামে’ বক্তৃতা পর্ব। ‘সুরে ও বাণীর মালা দিয়ে’ শিরোনামে অনুষ্ঠিত হয় সংগীতানুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে তবলায় ছিলেন পিনাক গোস্বামী, কিবোর্ডে রিপন, অক্টোপ্যাডে মো. সজীব, মন্দিরায় শহীদ উদ্দিন। অনুষ্ঠান ও মঞ্চ ব্যবস্থাপনায় ছিলেন সাবিনা হাই উর্বি, মিহির চৌধুরী, সুস্বনা চৌধুরী, চন্দ্রিমা দে, সুঊদ চৌধুরী ও সেমন্তী ওয়াহেদ। সামগ্রিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন বিশ্বজিৎ সাহা। আর এর মধ্য দিয়ে সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে এবারের মেলা সমাপ্ত করা হয়।