নিউইয়র্কে   সাজুফতা সাহিত্য ক্লাবের বর্ণাঢ্য নবান্ন উৎসব

ডেস্ক রিপোর্ট
  ১৪ জুলাই ২০২৪, ১২:২৯

সাহিত্য সংগঠন সাজুফতা সাহিত্য ক্লাব নিউইয়র্ক বর্ণাঢ্য আয়োজনে উদযাপন করেছে ‘নবান্ন উৎসব’। গত ৫ জুলাই সন্ধ্যায় ব্রঙ্কসের গোল্ডেন প্যালেস পার্টি হলে সাজুফতা সাহিত্য ক্লাবের সভাপতি কবি জুলি রহমানের পরিচালনায় ভিন্ন আমেজের এ উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিশেষ আয়োজন ছিল তজিম বাড়ির পিঠা পার্বণ। ছিল কবিতা পাঠ, নৃত্যনাট্য, সঙ্গীত, নৃত্য সহ মনোজ্ঞ সব পরিবেশনা।
১ম পর্বে ছিলো হরেক রকমের পিঠার আয়োজন। অতিথিদের মাঝে পড়ে যায় পিঠা খাওয়ার ধুম। পিঠা প্রতিযোগিতায় বিচারক ছিলেন ডা. রুমানা সবুর, ড. রুমা চৌধুরী, ডি সি সাহা ও তোফায়েল চৌধুরী।
এতে প্রথম হয় ফিরোজা খাতুন রিংকুর তৈরি ফুলঝুরি পিঠা। ২য় হয় নাসরীন নিরুর তৈরী পাটি শাপটা। ৩য় হয় জামাই পিঠা। তৈরী করেন মাসুদ ইতি। শমীমা করেন ভাপা পিঠা এটিও ৩য় হয়। বিচারকরা জানান, প্রতিটি পিঠাই ছিলো অসম্ভব মজাদার। তাই ১ম, ২য়, ৩য় স্থান নির্ধারনে তাদের হিমশিম খেতে হয়। উৎসবের দ্বিতীয় পর্বে শুরু হয় কবিতা পাঠ। প্রথমেই স্বরচিত কবিতা পাঠ করেন কবি সুমন শাসুদ্দীন। পর্যায়ক্রমে স্বরচিত কবিতা পড়েন কামরুজ্জামান বাচ্চু, শুধাংসু মন্ডল, ননী মল্লিক, মেহের চৌধুরী, কামরুন নাহার রীতা, মাকসুদা আহমদ, সহূল আহমদ, মাসুম আহমেদ, ভারতি রায়, ডিসি শাহা, জুলি রহমান, আব্দুস সাবুর, মোঃ ইলিয়াস হোসেন প্রমুখ।
দ্বিতীয় পর্বে পরিবেশিত হয় সব্যসাচী কবি ও লেখক জুলি রহমান রচিত নৃত্যনাট্য। এতে প্রধান চরিত্র মতিয়ার ভূমিকায় ছিলেন নৃত্যশিল্পী নাসরীন চৌধুরী। অংশ নেয় অনূপ কুমার দাস ডান্স একাডেমির ছাত্রীবৃন্দ, শিল্পী বাবলা ও শাকিলা রুনা। তাদের অভিনয় বিশেষ করে দেবর-ভাবী, শালিকা-দুলাভাইয়ের চরিত্র হাস্য রসে রুমান্টিক হয়ে ওঠে। নৃত্যনাট্যটি হয়ে ওঠে দর্শক নন্দিত। গীতি-নাট্য নেপথ্যে পাঠ করেন কবি জুলি রহমান।
এরপর নৃত্য পরিবেশন করে সানা সেন। সঙ্গীত পরিবেশন করেন জনপ্রিয় সঙ্গীত শিল্পী তানভির শাহীন, রুনা রায়, রবীন্দ্র একাডেমীর ডঃ রুমা চৌধুরী, অরুনা রায়, বাবলা, শাকিলা রুনা, নতুন প্রজন্মের সৌরভ প্রমুখ। নৃত্য পরিবেশন করেন শিল্পী নাসরীন চৌধুরী। জুলি রহমান রচিত ও সুরারোপিত ভিজে হাওয়ার গানটির তালে নৃত্য দর্শক নন্দিত হয়ে ওঠে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন ডাঃ রুমানা সবুর। অন্যদেন মধ্যে বক্তব্য রাখেন ডঃ রুমা চৌধুরী, প্রখ্যাত গীতিকার ও সুরকার মাহফুজ, মূলধারার রাজনীতিক মোহাম্মদ এন মজুমদার, মুক্তিযোদ্ধা তোফায়েল চৌধুরী, মুক্তিযোদ্ধা আবু কায়সার চিশতী, তিতাস মাল্টি সার্ভিসের প্রেসিডেন্ট মেহের চৌধুরী, সারাহ হোমকেয়ারের ডাইরেক্টর ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল খালেক ও রেদোয়ানা সেতু, বাচিক শিল্পী ও সাহিত্য সমালোচক মোঃ ইলিয়াস হোসেন, কমিউনিটি এক্টিভিস্ট রেজা আব্দুল্লাহ, সাজুফতার কর্নধার জুলি রহমানের স্বামী সাজুফতার পৃষ্টপোষক ফজলুর রহমান নন্দী, গীতিকার শাহ বদরুজ্জামান রুহেল প্রমুখ। সমাপনী বক্তব্য রাখেন কবি জুলি রহমান। সমগ্র অনুষ্ঠানটির সঞ্চালনায় ছিলেন সুমিত্রা সেন। কবি-সাহিত্যিক, শিল্পী, মিডিয়া ও কমিউনিটি ব্যক্তিত্বসহ সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষজন অংশ গ্রহণ করেন এ উৎসবে। দর্শকরা দারুণভাবে উপভোগ করেন পুরো অনুষ্ঠানটি।