২২ সেপ্টেম্বর রোববার, মানবাধিকারকর্মী কাজী ফৌজিয়া রচিত ‘নিউইয়র্কের চিঠি’ গ্রন্থের প্রকশনা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে জ্যাকসন হাইটসের জুইশ সেন্টারে। অতিথি হিসেবে বইটির আলোচনা করেন, সাংবাদিক ও অনুবাদক আনোয়ার হোসেইন মঞ্জু, অধ্যাপক দীনা দীনা সিদ্দিকী, কবি কাজী জহিরুল ইসলাম, টাইম টেলিভিশনের সিইও আবু তাহের, নিউইয়র্ক বাংলাদেশ প্রেসক্লাবের সভাপতি মনোয়ারুল ইসলাম, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাবেক সভাপতি নজরুল ইসলাম মিঠু, দেশ পত্রিকার সম্পাদক মিজানুর রহমান ও কমিউনিটি অ্যাকটিভিস্ট রওশন হক।
অনুষ্ঠানের শুরুতে লেখকের জীবনী পড়ে শোনান জাতিসংঘে কর্মরত মানবসম্পদ বিশেষজ্ঞ এবং ঊনবাঙালের সভাপতি মুক্তি জহির। দীপুর সঞ্চালনায় গ্রন্থ থেকে অংশবিশেষ পাঠ করেন আবৃত্তিশিল্পী আহসান হাবীব। অনুষ্ঠান উপলক্ষে ঢাকা থেকে একটি শুভেচ্ছা বাণী পাঠান লেখক ও চিন্তক ফরহাদ মজহার যেটি পাঠ করেন সঞ্চালক দীপু।
গ্রন্থের বিভিন্ন অংশের গুরুত্বপূর্ণ বেশ কিছু বিষয় তুলে ধরে কাজী জহিরল ইসলাম বলেন, এ বইয়ের মূলশক্তি হলো এতে কোনো ধার করা বিষয় নেই, নিজের জীবনের সংগ্রাম ও যুদ্ধের কথা তিনি অকপটে প্রকাশ করেছেন, কাঠামো হিসেবে বেছে নিয়েছেন বন্ধুকে লেখা চিঠির ফর্ম। এটি যে একটি রোমান্টিক গ্রন্থও এই কথাটিও তিনি উল্লেখ করেন।
অন্যান্য আলোচকরা বলেন, কাজী ফৌজিয়া নিউইয়র্কের চিঠি গ্রন্থে তিনি লিখেছেন তার প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতার কথা। যা পড়ে পাঠকদের সাহসে বুক বাঁধতে শেখাবে। বাঙালিরা হারতে জানে না, কাজী ফৌজিয়ার গ্রন্থ থেকে সেই মর্মবাণী উঠে এসেছে।
কাজী ফৌজিয়া ১৯৬৮ সালের ৮ ডিসেম্বর গাজীপুর জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। পাঁচ ভাইবোনের মধ্য কাজী ফৌজিয়া সবার বড়। ফৌজিয়ার পিতা হারিছ আলী কাজী ছিলেন মওলানা ভাসানীর একনিষ্ঠ অনুসারী। শিশুকাল থেকেই ফৌজিয়া পিতার সান্নিধ্যে থেকে নিজেও ভাসানীর অনুসারী হয়ে ওঠেন।
কাজী ফৌজিয়া এক সময় পাড়ি জমান মার্কিন যুক্তরাষ্টে্র। বর্তমানে তিনি দক্ষিণ এশিয়ার ইমিগ্র্যান্টদের নিয়ে কাজ করা সংগঠন ড্রামের কর্মসূচি পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। মানুষের অধিকার আদায়ে আজন্ম সংগ্রামী মানুষটির জীবন নিয়ে পিএইচডির গবেষণাও হয়েছে।