স্বপ্নভঙ্গের বাংলাদেশে তারুণ্যের আকাঙ্ক্ষা, বঞ্চনা ও বিদ্রোহ

ড. মতিউর রহমান
  ১৫ জুলাই ২০২৫, ১৮:৩০

আজকের বাংলাদেশ এক গভীর সামাজিক ও অর্থনৈতিক সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে। একদিকে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জয়গান, ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন আর উচ্চশিক্ষার ক্রমবর্ধমান প্রসার, অন্যদিকে শিক্ষিত তরুণদের বেকারত্ব, চাকরির অনিশ্চয়তা এবং অর্থনৈতিক নিরাপত্তাহীনতা এক তীব্র বৈপরিত্য তৈরি করেছে। এই পরিস্থিতি কেবল আর্থিক সমস্যার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং এটি একটি গভীর সাংস্কৃতিক ও সামাজিক সংকট, যা তরুণ প্রজন্মের ভবিষ্যৎ জীবনযাত্রার স্বপ্ন প্রতিনিয়ত ম্লান করে দিচ্ছে।
অর্জুন আপ্পাদুরাইয়ের (Arjun Appadurai) 'Capacity to Aspire' তত্ত্বের (আকাঙ্ক্ষা করার সক্ষমতা) আলোকে এই পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করলে বোঝা যায়, সমাজ কাঠামোগতভাবে এমনভাবে সজ্জিত, যা তরুণদের স্বপ্ন দেখার ক্ষমতাকেই সীমিত করে তোলে। ফলস্বরূপ, তারা কেবল সুযোগের অভাবই নয়, বরং কাঠামোগত বাধার কারণেও তাদের স্বপ্ন পূরণ করতে ব্যর্থ হয় এবং হতাশা তাদের জীবনকে গ্রাস করে নেয়।
 তরুণরা তাদের স্বপ্ন পূরণের সুযোগ চায়, দয়া নয়। তারা তাদের শ্রম, মেধা এবং স্বপ্ন দিয়ে এই দেশের উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে চায়। রাষ্ট্র যদি তাদের এই সুযোগ দিতে ব্যর্থ হয়, তবে কেবল অর্থনৈতিক স্থবিরতা নয়, সামাজিক অস্থিরতাও তৈরি হবে। বাংলাদেশের তরুণরা শুধু পরবর্তী প্রজন্ম নয়, তারা বর্তমানের নির্মাতা। তাদের স্বপ্ন বাস্তবায়নের সুযোগ না দিলে, এই দেশ তার সবচেয়ে বড় সম্পদকেই হারাবে। 
আপ্পাদুরাইয়ের মতে, স্বপ্ন বা আকাঙ্ক্ষা কোনো ব্যক্তিগত খেয়ালিপনা নয়, বরং এটি সামাজিকভাবে গঠিত একটি ক্ষমতা। যে সমাজের কাঠামো সুদৃঢ় এবং সহায়ক, সেখানকার মানুষ তাদের আকাঙ্ক্ষাকে বাস্তবে রূপ দেওয়ার পথ খুঁজে পায়। কিন্তু দরিদ্র কিংবা প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মধ্যে এই ‘নেভিগেশন টুল’ বা পথ খোঁজার সামর্থ্য দুর্বল থাকে।
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে, তরুণরা শিক্ষা, চাকরির বাজার এবং শাসন কাঠামোর মধ্যে যেসব কাঠামোগত বৈষম্যের মুখোমুখি হয়, তা তাদের স্বপ্ন পূরণের ক্ষমতা ভীষণভাবে সীমাবদ্ধ করে। এটি এক অদ্ভুত বাস্তবতা যে, স্কুল, পরিবার কিংবা সামাজিক পরিসরে স্বপ্ন দেখার যে সংস্কৃতি তৈরি হয়, সেই একই প্রতিষ্ঠানগুলো আবার স্বপ্ন পূরণের পথে প্রধান বাধা হয়ে দাঁড়ায়।
উদাহরণস্বরূপ, বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থা প্রায়শই মুখস্থ বিদ্যা এবং গতানুগতিক সিলেবাসের ওপর জোর দেয়, যা শিক্ষার্থীদের মধ্যে উদ্ভাবনী চিন্তা বা বাস্তবভিত্তিক দক্ষতা অর্জনে সহায়ক নয়। অন্যদিকে, পরিবারের পক্ষ থেকে প্রায়শই প্রচলিত সরকারি চাকরির প্রতি জোর দেওয়া হয়, যা সীমিত সংখ্যক এবং তীব্র প্রতিযোগিতামূলক।
ফলে তরুণরা প্রচলিত পথে স্বপ্ন দেখতে শেখে, কিন্তু বাস্তবতার সঙ্গে সেই স্বপ্নের সংঘাত তৈরি হয় যখন তারা চাকরির বাজারে প্রবেশ করে। এ শিক্ষাব্যবস্থা এবং সামাজিক প্রত্যাশা তরুণদের জন্য 'আকাঙ্ক্ষার ফাঁদ' তৈরি করে, যেখানে স্বপ্ন দেখার পরিবেশ থাকলেও তা পূরণের পথ অপ্রতুল।
বাংলাদেশে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এবং কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের দ্রুত প্রসার শিক্ষাকে একধরনের পণ্যে পরিণত করেছে। উচ্চশিক্ষাকে মধ্যবিত্ত জীবনে উন্নতির সিঁড়ি হিসেবে উপস্থাপন করা হলেও বাস্তবে চাকরির বাজারে দক্ষতার অভাব, ক্ষেত্রবিশেষে অতিরিক্ত প্রতিযোগিতা এবং উপযুক্ত কাজের অভাবে এই শিক্ষাগত অর্জন প্রায়শই অর্থহীন হয়ে পড়ে।
দেখা যায়, হাজার হাজার গ্র্যাজুয়েট প্রতি বছর বের হচ্ছে, কিন্তু তাদের জন্য পর্যাপ্ত মানসম্পন্ন কাজের সুযোগ তৈরি হচ্ছে না। এর মূল কারণ হলো, শিক্ষাব্যবস্থা এবং শিল্পের চাহিদার মধ্যে একটি বিরাট অসামঞ্জস্য রয়েছে। অনেক সময় বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এমন বিষয়ে ডিগ্রি প্রদান করে যার বাজারে চাহিদা নেই, অথবা থাকলেও প্রয়োজনীয় ব্যবহারিক জ্ঞান প্রদান করা হয় না।
অন্যদিকে, সরকারি চাকরির ক্ষেত্র, যা একসময় সামাজিক নিরাপত্তার অন্যতম ভরসা ছিল, সেখানে কোটা পদ্ধতি, দুর্নীতি এবং স্বজনপ্রীতির অভিযোগ তরুণদের আস্থা ধ্বংস করেছে। যোগ্যতার চেয়ে প্রভাব বা আর্থিক লেনদেন প্রাধান্য পাওয়ায় তরুণদের মনে গভীর হতাশা ও বঞ্চনার জন্ম হয়েছে। বেসরকারি খাতে অধিকাংশ চাকরি চুক্তিভিত্তিক, স্বল্প মজুরি প্রদান করে এবং কর্মস্থলের সুরক্ষা নেই।
এখানে কাজের দীর্ঘ সময়, কম বেতন এবং ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তা তরুণদের মধ্যে হতাশা বাড়িয়ে দিচ্ছে। ফলস্বরূপ, তরুণ সমাজ শিক্ষায় বিনিয়োগ করেও তার প্রত্যাশিত সুফল পাচ্ছে না, যা তাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে তৈরি করা স্বপ্নগুলো ভেঙে দিচ্ছে। এ বাস্তবতা তাদের কেবল অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল করে না, মানসিকভাবেও বিপর্যস্ত করে।
এই বাস্তবতা তৈরি করছে এক ধরনের ‘আকাঙ্ক্ষার ফাঁদ’। তরুণরা স্বপ্ন দেখতে শিখেছে, কিন্তু সেই স্বপ্নের বাস্তবায়নের পথ রুদ্ধ। গ্রামের তরুণদের জন্য কৃষির স্থবিরতা ও গ্রামীণ শিল্পের অভাব তাদের শহরে বা বিদেশে অভিবাসনে বাধ্য করছে, যেখানে তারা প্রায়শই নিম্ন মজুরি এবং অনিশ্চিত পরিবেশে কাজ করে। শহরের তরুণরা স্বল্পমেয়াদি ও অনানুষ্ঠানিক অর্থনীতিতে অনিশ্চিত ও মর্যাদাহীন কর্মসংস্থানে নিয়োজিত হচ্ছে।
রিকশাচালক থেকে শুরু করে ডেলিভারি বয় পর্যন্ত, অনেক শিক্ষিত তরুণকে এমন কাজ করতে দেখা যায় যা তাদের শিক্ষাগত যোগ্যতার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। শিক্ষাগত যোগ্যতা ও কর্মসংস্থানের মধ্যে এ অসামঞ্জস্য এক গভীর সামাজিক হতাশা তৈরি করছে, যা শুধু অর্থনৈতিক নয়, মানসিক এবং সামাজিকভাবেও গভীর ক্ষত তৈরি করছে।
এই হতাশা আর নীরব থাকে না, বরং একসময় তা বিদ্রোহে রূপ নেয়। সম্প্রতি বাংলাদেশে তরুণদের নেতৃত্বে হওয়া আন্দোলনগুলো—২০১৮ সালের নিরাপদ সড়ক আন্দোলন, কোটা সংস্কার আন্দোলন, ২০২৪ সালের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন ও পরে সরকার পতনের আন্দোলন—স্পষ্ট করে যে এই তরুণ প্রজন্ম আর শুধু স্বপ্নভঙ্গের গল্প বলবে না, বরং নিজেদের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য সংগ্রামে নামবে।
আপ্পাদুরাইয়ের তত্ত্ব অনুসারে, এই আন্দোলনগুলো তরুণদের 'Capacity to Aspire' পুনর্নির্মাণের প্রচেষ্টা। যখন প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো স্বপ্ন পূরণের সুযোগ দেয় না, তখন রাস্তা, ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম কিংবা আন্দোলন হয়ে ওঠে তাদের নতুন স্বপ্নের জায়গা। এই আন্দোলনগুলো কেবল কিছু নির্দিষ্ট দাবির জন্য নয়, বরং এটি তরুণদের ভবিষ্যৎ এবং মর্যাদার জন্য এক সম্মিলিত সংগ্রাম।
এই সংকটে রাষ্ট্রের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কিন্তু প্রায়শই তা হতাশাজনক। রাষ্ট্র প্রায়শই তরুণদের দেশের ভবিষ্যৎ বলে ঘোষণা দেয়, কিন্তু তাদের জন্য টেকসই কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে কার্যকর কোনো নীতি গ্রহণ করে না। শিল্পায়ন নীতিতে তরুণদের দক্ষতার সাথে সংযুক্তি নেই, উদ্যোক্তা উন্নয়নের জন্য দেওয়া প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে রয়েছে আমলাতান্ত্রিক জটিলতা এবং পুঁজি ও বাজারের অপ্রতুলতা।
কারিগরি প্রশিক্ষণ ক্ষেত্রবিশেষে বাজারের চাহিদার সাথে অমিল। ফলে তরুণদের স্বপ্ন বাস্তবায়নের কাঠামো গড়ে ওঠেনি, শুধু আংশিক বা লোক দেখানো প্রকল্প চালু হয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, প্রকল্পগুলো বাস্তবায়িত হলেও তার সুফল তরুণ সমাজের কাছে পৌঁছায় না, বরং আমলাতান্ত্রিক জটিলতা এবং দুর্নীতির জালে আটকা পড়ে।
রাষ্ট্রের দুর্বল নীতি এবং বাস্তবায়নের অভাবের কারণে তরুণদের মধ্যে হতাশা আরও গভীর হয়। যখন তারা দেখে যে তাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে নীতিনির্ধারকদের মধ্যে কার্যকর কোনো পরিকল্পনা নেই, তখন তারা নিজেদের বিচ্ছিন্ন এবং উপেক্ষিত অনুভব করে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও ডিজিটাল সংস্কৃতি তরুণদের স্বপ্ন আরও বিস্তৃত করেছে।
তারা বিশ্বব্যাপী জীবনধারা ও অর্থনৈতিক সাফল্যের ছবি দেখে, কিন্তু সেই জীবনধারায় পৌঁছানোর উপায় তাদের জানা নেই। এ বাস্তবতা তরুণদের মনে হতাশা, বঞ্চনার অনুভূতি এবং মাঝে মাঝে চরমপন্থি রাজনৈতিক প্রবণতা তৈরি করে। আপ্পাদুরাই বলেন, স্বপ্ন পূরণ কেবল ইচ্ছা নয়, এটি একটি দিকনির্দেশনা, যেখানে সামাজিক প্রতিষ্ঠান, নেটওয়ার্ক এবং জ্ঞান মানুষকে গন্তব্যে পৌঁছাতে সাহায্য করে। কিন্তু এই কাঠামোগুলো যদি ব্যর্থ হয়, তবে আকাঙ্ক্ষা শুধু স্বপ্নই থেকে যায়, বাস্তবে পরিণত হয় না।
এই তরুণদের সংকট শুধু অর্থনৈতিক নয়, এটি ন্যায়বিচারের প্রশ্ন। বাংলাদেশের তরুণরা তাদের সামাজিক দায়িত্ব পালন করেছে—শিক্ষিত হয়েছে, নাগরিক হিসেবে অংশ নিয়েছে। কিন্তু রাষ্ট্র এবং সমাজ যদি তাদের জন্য ন্যায্য কর্মসংস্থান ও উন্নতির পথ তৈরি না করে, তবে এই চুক্তি ভঙ্গ করা হয়। তরুণদের আন্দোলন শুধু চাকরি চাওয়ার নয়, এটি মর্যাদা, অধিকার এবং সম্মানজনক ভবিষ্যতের দাবিতে একটি সংগ্রাম। তারা চায় তাদের মেধা ও পরিশ্রমের সঠিক মূল্যায়ন হোক, তাদের ভবিষ্যৎ তাদের হাতে থাকুক।
এই সংকট থেকে উত্তরণের জন্য প্রয়োজন উন্নয়ন ভাবনার পরিবর্তন। শুধু অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি দিয়ে বেকারত্ব সমস্যার সমাধান হবে না, যদি সেই প্রবৃদ্ধি কর্মসংস্থানহীন, বৈষম্যমূলক বা কিছু নির্দিষ্ট সেক্টরের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে।
সরকারি চাকরিতে স্বচ্ছতা ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করতে হবে, যাতে মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে নিয়োগ হয়। বেসরকারি খাতে শুধু পোশাকশিল্পের সীমাবদ্ধতায় না থেকে বহুমুখী কর্মসংস্থান তৈরি করতে হবে, বিশেষত তথ্যপ্রযুক্তি, নবায়নযোগ্য শক্তি, কৃষি প্রক্রিয়াকরণ এবং পর্যটন খাতের মতো উদীয়মান শিল্পগুলোতে।
শিক্ষাব্যবস্থাকে চাকরির বাজারের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ করতে হবে এবং তরুণদের শুধু তথ্য মুখস্থ নয়, বরং সৃজনশীল চিন্তাভাবনা, উদ্ভাবনী ক্ষমতা ও অভিযোজনশীলতা শেখাতে হবে। সর্বোপরি, তরুণদের উন্নয়ন নীতিনির্ধারণ প্রক্রিয়ায় অন্তর্ভুক্ত করতে হবে, কেবল উপকারভোগী হিসেবে নয়, বরং সক্রিয় অংশগ্রহণকারী হিসেবে। তাদের মতামত ও অভিজ্ঞতা গুরুত্ব দিতে হবে, কারণ তারাই দেশের ভবিষ্যৎ।
এটি শেষ পর্যন্ত ন্যায়বিচারের প্রশ্ন। তরুণরা তাদের স্বপ্ন পূরণের সুযোগ চায়, দয়া নয়। তারা তাদের শ্রম, মেধা এবং স্বপ্ন দিয়ে এই দেশের উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে চায়। রাষ্ট্র যদি তাদের এ সুযোগ দিতে ব্যর্থ হয়, তবে কেবল অর্থনৈতিক স্থবিরতা নয়, সামাজিক অস্থিরতাও তৈরি হবে। বাংলাদেশের তরুণরা শুধু পরবর্তী প্রজন্ম নয়, তারা বর্তমানের নির্মাতা। তাদের স্বপ্ন বাস্তবায়নের সুযোগ না দিলে, এই দেশ তার সবচেয়ে বড় সম্পদকেই হারাবে।
অতএব, বাংলাদেশের তরুণ সমাজের বেকারত্বের সংকট কেবল অর্থনৈতিক নয়, এটি একটি আশাভঙ্গের সংকট। আপ্পাদুরাইয়ের তত্ত্ব আমাদের মনে করিয়ে দেয়, স্বপ্ন দেখার ক্ষমতা কোনো বিলাসিতা নয়, এটি মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক অগ্রগতির জন্য অপরিহার্য।
এই ক্ষমতা যদি সমাজ কাঠামোগতভাবে দমন করা হয়, তবে সে সমাজের ভবিষ্যৎ ও সংকটে পড়ে। বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নির্ভর করবে এ তরুণদের স্বপ্ন পূরণের সুযোগ তৈরির ওপর। অন্যথায়, এই স্বপ্নগুলো শুধুই কল্পনা হয়ে থেকে যাবে—বাস্তবতার নাগালের বাইরের এক দূরবর্তী দিগন্ত।
 ড. মতিউর রহমান , গবেষক ও উন্নয়নকর্মী।
সূত্র: সমকাল