জো বাইডেন এবং তার প্রশাসন ইউক্রেন ক্রমাগত যুদ্ধের মাত্রা এমন পর্যায়ে নিয়ে যেতে চান যেন ডোনাল্ড ট্রাম্প তা থামাতে না পারেন। যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক ভাষ্যকার ও ষড়যন্ত্র তত্ত্ববিদ জিমি ডোর এ মন্তব্য করেছেন।
তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, জো বাইডেন এবং তার প্রশাসন ক্রমাগত যুদ্ধ বাড়িয়ে চলেছে। তারা যা করার চেষ্টা করছে তা হল, এমন একটি যুদ্ধ শুরু করা যা ডোনাল্ড ট্রাম্প থামাতে পারবেন না। তাদের কর্মের শেষ পরিণতি একটি নতুন বিশ্বযুদ্ধ হতে পারে।
রাশিয়ার বিরুদ্ধে মার্কিন নেতৃত্বাধীন প্রক্সি যুদ্ধের জবাবে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের 'সংযম প্রদর্শন' অব্যাহত রাখা উচিত বলেও মনে করেন জিমি ডোর। বলেন, তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু করতে পারে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে পুতিনকে জানুয়ারিতে মার্কিন নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের হোয়াইট হাউসে ফেরা পর্যন্ত অপেক্ষা করা জরুরি। স্থানীয় সময় শনিবার (২৩ নভেম্বর) রুশ সংবাদমাধ্যম আরটিতে সম্প্রচারিত গোয়িং আন্ডারগ্রাউন্ডের উপস্থাপক আফশিন রত্নসির সঙ্গে এক সাক্ষাত্কারে জিমি ডোর এসব কথা বলেন।
প্রগতিশীল এই মার্কিন পণ্ডিত রাশিয়ান ভূখণ্ডের গভীরে হামলার জন্য কিয়েভকে দূরপাল্লার অস্ত্র ব্যবহারের অনুমতি দেওয়ার বাইডেনের প্রশাসনের সর্বশেষ সিদ্ধান্তের বিষয়ে মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, আমাদের একমাত্র আশা হলো, পুতিন সংযম দেখাবেন। পুতিন একজন যুক্তিবাদী নেতা। তিনি অভিজ্ঞ ব্যক্তি, ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট না হওয়া পর্যন্ত তিনি যে কোনোভাবে হোক নিজেকে আটকে রাখতে পারবেন। এর আগে, ট্রাম্প দায়িত্ব গ্রহণের পর ইউক্রেন সংঘাতের দ্রুত অবসান ঘটানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
জিমি ডোর বলেন, ট্রাম্প যুদ্ধবাজ নন। তিনি চুক্তি খুঁজে পেতে পছন্দ করেন। তিনি দুর্নীতিগ্রস্ত হতে পারেন, তিনি নিউ ইয়র্ক সিটির রিয়েল এস্টেটে দুর্নীতিগ্রস্ত কিন্তু নব্য যুদ্ধবাজ, মানুষ হত্যা, অর্থের বিনিময়ে মানুষ- এমন দুর্নীতিগ্রস্ত নন। ডোর পরামর্শ দিয়েছেন, পুতিন এবং ট্রাম্প একসঙ্গে ইউক্রেন সংঘাতের অবসান ঘটাতে সক্ষম হবেন। তবে তিনি এও বলেন, বর্তমান মার্কিন প্রশাসন যদি যুদ্ধ আরও বাড়ানোর পদক্ষেপ নেওয়া অব্যাহত রাখে, তবে তা অন্যরকম হয়ে উঠতে পারে।