পেন্টাগনে বাড়ছে অস্থিরতা!

রহমান মাহবুব
  ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৩:২১

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সামরিক বাহিনীগুলোর প্রধানদের চেয়ারম্যানকে বরখাস্ত করেছেন। জেনারেল চার্লস কিউ ব্রাউন জুনিয়রকে বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প প্রমাণ করলেন সামরিক নেতৃত্বে বৈচিত্র্য তিনি চান না। শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) বরখাস্ত করা জেনারেল ব্রাউন একজন কৃষ্ণাঙ্গ। যৌথবাহিনীর সর্বোচ্চ পর্যায়ে একজন শ্বেতাঙ্গ না থাকা মানে ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ ও ‘মেক আমেরিকা গ্রেট এগেইন’ স্লোগানের সাথে অসামঞ্জস্য।
একটু ঘুরিয়ে ফিরিয়ে ট্রাম্প একথাটাই স্পষ্ট করেছেন। এ নিয়ে কয়েক সপ্তাহ ধরে পেন্টাগনে অস্থিরতা চলছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প অবশেষে দেশের শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করলেন। চার-তারকা ফাইটার পাইলট জেনারেল চার্লস কিউ ব্রাউন জুনিয়র, যিনি সিকিউ নামে পরিচিত। তিনি দ্বিতীয় আফ্রিকান আমেরিকান হিসেবে এই পদে আসীন হয়েছিলেন। তার জায়গায় নিয়োগ পাচ্ছেন অবসরপ্রাপ্ত তিন তারকা এয়ার ফোর্স জেনারেল ড্যান কেইন। ছয় বছর আগে ট্রাম্পের প্রথম টার্মে ইরাকে তাদের সাক্ষাৎ হয়েছিল। এর পর থেকে কেইন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ হয়ে ওঠেন।
ট্রাম্প ট্রুথ সোশ্যালে বার্তায় বলেন, ‘আজ আমি গর্বের সাথে ঘোষণা করছি যে, আমি লেফটেন্যান্ট জেনারেল ড্যান ‘রেজিন’ কেইনকে যৌথ প্রধানদের চেয়ারম্যান হিসেবে মনোনীত করছি।’
‘জেনারেল কেইন একজন দক্ষ পাইলট, জাতীয় নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ, সফল উদ্যোক্তা ও একজন ‘যোদ্ধা,’ যার রয়েছে বিশেষ অপারেশন ও আন্তঃসংস্থার ব্যাপক অভিজ্ঞতা।’
কিন্তু যৌথবাহিনীর প্রধানদের চেয়ারম্যান সাধারণত প্রশাসন পরিবর্তনের পরও তাদের পদে বহাল থাকেন রাজনৈতিক দল নির্বিশেষে। তবে হোয়াইট হাউস ও পেন্টাগনের বর্তমান কর্মকর্তারা নিজেদের পছন্দের সামরিক নেতৃত্ব নিয়োগ দিতে চান।
জেনারেল ব্রাউনকে বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সেই মতাদর্শের প্রতিফলন যে, সামরিক বাহিনীর নেতৃত্বে বর্ণবৈচিত্র্য ইস্যুতে অতিরিক্ত করা হচ্ছে। মূল দায়িত্ব ভুলে যাচ্ছে আমেরিকা! ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নীতির সঙ্গে এটি যায় না! তবে প্রতিরক্ষা সচিব হিসেবে শপথ নিয়ে প্রথম দিনে হেগসেথ জেনারেল ব্রাউনের পাশে দাঁড়িয়ে বলেছিলেন যে, তিনি তার সঙ্গে কাজ করতে উন্মুখ। কিন্তু দ্রুতই স্পষ্ট হয়ে যায় যে, ট্রাম্পের ইনার সার্কেলে জেনারেল ব্রাউনের গ্রহণযোগ্যতা নাই। প্রেসিডেন্টের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ সভাগুলোতে তাকে আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছিল না।
ব্রাউনকে এয়ার ফোর্সের চিফ অফ স্টাফ হিসেবে মনোনীত করেছিলেন ট্রাম্প তার আগের টার্মে। সে সময় ট্রাম্প তার সিদ্ধান্তকে ঐতিহাসিক হিসেবে উল্লেখ করে বলেছিলেন বাহিনীগুলোর সর্বোচ্চ পদে একজন আফ্রিকান আমেরিকানের নিয়োগ ঐতিহাসিক। তিনি সামাজিক মাধ্যমে লিখেছিলেন, ‘এই জেনারেল একজন দেশপ্রেমিক ও অসাধারণ নেতা।’