এ বছর প্রথম দুই মাস জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারিতে অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রম করে ইউরোপিয়ান দেশগুলোতে অভিবাসী প্রবেশ আগের বছরে একই সময়ের তুলনায় কমেছে শতকরা ২৫ ভাগ। ইউরোপে সবচেয়ে বেশি অভিবাসী প্রবেশের ক্ষেত্রে দ্বিতীয় রুট হিসেবে ব্যবহৃত হয় মধ্য ভূমধ্যসাগরীয় রুট। এই রুটে সবচেয়ে বেশি অভিবাসী প্রবেশ করে বাংলাদেশিরা।
কোনো কোনো ক্ষেত্রে উত্তাল, ভয়াবহ সমুদ্র পাড়ি দেয়ার আগে লিবিয়া এবং বাংলাদেশের সংশ্লিষ্টদের মধ্যে কাজের বৈধতা দেয়ার জন্য আনুষ্ঠানিক কর্মসংস্থানের চুক্তি হয়। তারপর তাদেরকে ঠেলে দেয়া হয় বিপজ্জনক পথে। এসব তথ্য দিয়েছে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের সীমান্ত বিষয়ক এজেন্সি ফ্রোনটেক্স। এতে বলা হয়, সবচেয়ে বেশি অভিবাসী ইউরোপে যান মালি, সেনেগাল এবং গিনি থেকে। জাতিগত দিক থেকে সবচেয়ে বেশি অভিবাসীর দিক দিয়ে আছে যথাক্রমে আফগানিস্তান, বাংলাদেশ এবং মালি।
গত দুই মাসে সবচেয়ে বেশি অবৈধ অভিবাসী প্রবেশের ঘটনা ঘটেছে পশ্চিমাঞ্চলীয় বলকানদের মধ্যে। আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় এ বছর শতকরা ৬৪ভাগ কম অভিবাসী প্রবেশের চেষ্টা করেছেন এ অঞ্চল থেকে। সবচেয়ে বেশি অভিবাসী প্রবেশের রুটেও দেখা দিয়েছে মন্দাদশা। মধ্য ভূমধ্যসাগরীয় রুটে অভিবাসী প্রবেশ বেড়েছে শতকরা ৪৮ ভাগ। তবে ২০২৩ সালের তুলনায় এই সংখ্যা এখন অনেক নিচে। ২০২৩ সালে এই পথে ইউরোপে গিয়েছেন ১২ হাজার মানুষ। অন্যদিকে এ বছর সে সংখ্যা ৬৮৬৩। তা সত্ত্বেও এই রুটই এখন ইউরোপে অবৈধভাবে প্রবেশের দ্বিতীয় বৃহৎ সক্রিয় রুট। এই রুট পরিচালনা করে লিবিয়ার পাচারকারীরা।
এই রুটে এই লিবিয়াই হলো প্রধান ফোকাস পয়েন্ট। তারা ক্রমশ কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে পালাতে অতি শক্তিশালী স্পিডবোট ব্যবহার করে। এই রুটে ইউরোপ যেতে হলে প্রতিজন অভিবাসীকে ৫ হাজার থেকে ৮ হাজার ইউরো দিতে হয়। পশ্চিম আফ্রিকান রুটে সবচেয়ে বেশি অভিবাসী গিয়েছে। তাদের সংখ্যা ৭১৮২। তবে আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় তা শতকরা ৪০ ভাগ কম। এই রুটে সবচেয়ে বেশিঅভিবাসী যান মালি, সেনেগাল ও গিনি থেকে। তৃতীয় করিডোর হিসেবে ব্যবহৃত হয় ভূমধ্যসাগরের পূর্বাঞ্চল। সেখানে রেকর্ড করা হয়েছে ৬৫০০ অভিবাসী। আগের বছরের তুলনায় এই রুটে অভিবাসীর সংখ্যা কমেছে শতকরা ৩৫ ভাগ। শীতকালের কারণে এই রুটে আস্তে আস্তে কমেছে অভিবাসীর সংখ্যা। ফেব্রুয়ারিতে সেখানে নিবন্ধিত করা হয়েছে ২৭৫০ অভিবাসীকে। এই পথে বেশি অবৈধ অভিবাসী যান আফগানিস্তান, মিশর ও সুদান থেকে।