শিক্ষার্থীদের যে বিক্ষোভ কাঁপিয়ে দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রকে

ডেস্ক রিপোর্ট
  ১২ মে ২০২৪, ১১:২৯

আজ থেকে ৫৪ বছর আগে ভিয়েতনাম যুদ্ধের বিরোধীতা করে বিক্ষোভে নামের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইওর কেন্ট স্টেট ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা। তাদের প্রতিহত করতে গুলি চালালে চার শিক্ষার্থী নিহত হন। খবর : বিবিসি
কেন্ট স্টেটের ওই গুলির ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসের অন্যতম বৃহৎ শিক্ষার্থী বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। সারাদেশের কয়েকশ ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা। ভিয়েতনাম যুদ্ধের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের নতুন করে আন্দোলন ওই গুলির ঘটনার পটভূমি তৈরি করে দিয়েছিল। ১৯৭০ সালের ৪ মে’র ওই ঘটনায় সে সময়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ছিলেন নিক্সন। তিনি ভিয়েত কংয়ের বিরুদ্ধে লড়াই করতে মার্কিন বাহিনীকে কম্বোডিয়া আক্রমণের নির্দেশ দিয়েছেন। এর ফলে ভিয়েতনাম যুদ্ধ আরও ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়।
মার্কিন এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দেশটিতে একাধিক আন্দোলন তৈরি হয়। যার একটি ছিল ওহাইওর কেন্ট স্টেট ইউনিভার্সিটির ক্যাম্পাসে। বেলা গড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে আন্দোলন ভিন্ন খাতে মোড় নেয়। এরপর তরুণ বিক্ষোভকারী ও পুলিশের মধ্যে ধস্তাধস্তি শুরু হয়, বেশকিছু দোকানপাটও ভাঙা হয়।
এ ঘটনায় কেন্ট শহরের মেয়র ওহাইও সরকারকের ন্যাশনাল গার্ড পাঠাতে বলেন। পরের দুইদিন শহরে সংঘাত আর সংঘর্ষ লেগে থাকে। সংঘাতের এক পর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অবস্থিত রিজার্ভ অফিসার ট্রেইনিং কোর-এর ভবনটি আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। কে বা কারা এই কাজটি করে তা জানা যায়নি। ৪ মে ক্যাম্পাসে আরেকবার বিক্ষোভের ডাক দেওয়া হলে তাদের সরে যেতে বলা হয়। কিন্তু শিক্ষার্থীরা তা উপেক্ষা করেন। এরপর মুহূর্তেই প্রায় তিন হাজার মানুষ ক্যাম্পাসের কেন্দ্রে অবস্থান নেন।
এক পর্যায়ে ন্যাশনাল গার্ড বিক্ষোভকারীদের দিকে টিয়ার গ্যাস ছোড়ে। এরপর দুপক্ষের কিছুক্ষণ ধরে মুখোমুখি অবস্থান নেয়। তারপরই বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্য করে গার্ড সদস্যরা গুলি শুরু করেন। চার শিক্ষার্থী গুলিতে নিহত হন। নয়জন আঘাত পান। নিহতদের মধ্যে দুজন বিক্ষোভের অংশ ছিলেন না।
বেশ কয়েক বছর ধরে এ ঘটনার তদন্তের জন্য একাধিক কমিশন ও বিচারের আয়োজন করা হয়েছিল৷ কিন্তু চার শিক্ষার্থীকে খুনের জন্য কাউকে দোষী পাওয়া যায়নি। নিহত ওই চার শিক্ষার্থী হলেন অ্যালিসন ক্রস, জেফরি মিলার, স্যান্ড্রা শিয়র ও উইলিয়াম শ্রেডার।