সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ফ্রাঙ্কলিন ডি রুজভেল্টকে একটা চিঠি লিখেছিলেন আলবার্ট আইনস্টাইন। সালটা ছিল ১৯৩৯। সেই বছরের আগস্ট মাসে লেখা তার সেই চিঠির ‘পরিণাম স্বরূপ’ দেখা গিয়েছিল ম্যানহাটন প্রজেক্ট যা ইতিহাসের সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ কিন্তু ধ্বংসাত্মক উদ্ভাবনের কারণ।
গত বছর অর্থাৎ ২০২৩ সালের ব্লকবাস্টার হলিউড চলচ্চিত্র ‘ওপেনহাইমারে’ পরমাণু শক্তির প্রাণঘাতী ব্যবহারের যে নাটকীয় বিবরণ দেওয়া হয়েছে তাকে কল্পবিজ্ঞান নির্ভর একটা ছবি ছাড়া কিছুই বলা যেত না, যদি ১৯৩৯ সালের আগস্ট মাসে ওই দুই পৃষ্ঠার চিঠিটা লেখা না হতো।
ফ্র্যাঙ্কলিন ডি রুজভেল্টেকে লেখা চিঠিটি টাইপ করে লেখা, যার শেষে ছিল আলবার্ট আইনস্টাইনের সই। চিঠিতে লিখেছিলেন, “পারমাণবিক পদার্থবিজ্ঞানের সাম্প্রতিক গবেষণার ফলে ইউরেনিয়ামকে শক্তির নতুন ও গুরুত্বপূর্ণ উৎসে পরিণত করার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।”
সেখানে আরও উল্লেখ করা হয়েছিল, এই শক্তি “অত্যন্ত শক্তিশালী বোমা তৈরির জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে।”
অধিকৃত চেকোস্লোভাকিয়ায় ইউরেনিয়াম বিক্রি বন্ধ করার জন্য জার্মানির সিদ্ধান্তে সন্দেহ প্রকাশ করা ওই চিঠি হয়ে দাঁড়িয়েছিল ২০০ কোটি বিলিয়ন ডলারের একটা শীর্ষ-গোপন গবেষণা কার্যক্রমের পিছনে মূল কারণ।
‘ম্যানহাটন প্রজেক্ট’ নামের ওই গবেষণা কার্যক্রম পারমাণবিক অস্ত্রের বিকাশের প্রতিযোগিতায় জার্মানিকে হারানোর উদ্দেশ্যে শুরু করা হয়েছিল।
পদার্থবিজ্ঞানী রবার্ট ওপেনহেইমারের নেতৃত্বাধীন তিন বছরের এই প্রকল্প, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে পারমাণবিক যুগে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার একটা প্রচেষ্টা ছিল। একইসঙ্গে তা ইতিহাসের সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ এবং ধ্বংসাত্মক আবিষ্কারের দিকেও নিয়ে গিয়েছিল। আবিষ্কারটা ছিল পারমাণবিক বোমার৷
চলতি বছরের ১০ সেপ্টেম্বর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং অতি সন্তর্পনে লেখা চিঠি নিলাম হওয়ার কথা নিউ ইয়র্কের ‘ক্রিস্টিস’-এ। নিলামে এই চিঠি ৪০ লক্ষ ডলারেরও বেশি মূল্য পেতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে।
চিঠির দুটো সংস্করণ খসড়া করা হয়েছিল- একটা সংক্ষিপ্ত অন্যটা বিস্তারিত। সংক্ষিপ্ত সংস্করণ ‘ক্রিস্টিস’-এ নিলামে তোলা হবে। আর দ্বিতীয় যে সংস্করণটা রয়েছে সেটা হাতে করে পৌঁছে দেওয়া হয়েছিল হোয়াইট হাউসে এখন যা রয়েছে নিউ ইয়র্কের ফ্রাঙ্কলিন ডি রুজভেল্ট লাইব্রেরির স্থায়ী সংগ্রহে।
বই এবং পাণ্ডুলিপি বিশেষজ্ঞ পিটার ক্লারনেট বিবিসিকে বলেন, “বিভিন্ন দিক থেকে এই চিঠি বিজ্ঞান, প্রযুক্তি এবং মানবতার ইতিহাসে একটা উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের মূল বিন্দুকে দর্শায়।”
“এই প্রথমবার মার্কিন সরকার কোনও বড় বৈজ্ঞানিক গবেষণায় সরাসরিভাবে অর্থায়ন করেছিল।”
সিনিয়র বিশেষজ্ঞ পিটার ক্লারনেটের কথায়, “এই চিঠিটাই কিন্তু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সামনে প্রযুক্তিগত পরিবর্তনের সম্পূর্ণ সুবিধা নেওয়ার দরজা খুলে দিয়েছিল।”
সোয়ানসি বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতি, দর্শন ও ইন্টারন্যাশনাল রিলেশন্স বিভাগের প্রোগ্রাম ডিরেক্টর এবং আমেরিকান ও নিউক্লিয়ার হিস্ট্রির প্রভাষক ও গবেষক ড. ব্রায়ান উইলককও এই বিষয়ে সহমত পোষণ করেন।
তিনি বিবিসিকে বলেছেন, “বোমার উৎপত্তি সম্পর্কে বেশিরভাগ ঐতিহাসিক বিবরণই কিন্তু এই চিঠির সম্পর্কে আলোচনার মাধ্যমে শুরু হয়।”
“প্রেসিডেন্ট রুজভেল্টের সরাসরি পদক্ষেপ আদায় করে নেওয়ার ক্ষেত্রে মূল চাবিকাঠি ছিল এই চিঠি।”
তিনি বলেছেন, “এমনকি নিউক্লিয়ার হেরিটেজ ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে এই চিঠিকে... রুজভেল্টকে পারমাণবিক গবেষণার জন্য চাপ দেওয়ার ক্ষেত্রে অত্যাবশ্যক হিসাবে বর্ণনা করা হয়েছে।”
ম্যানহাটন প্রকল্পের উপর ভিত্তি করে তৈরি অস্কার বিজয়ী চলচ্চিত্র 'ওপেনহাইমার'-এ আলবার্ট আইনস্টাইনের লেখা চিঠির উল্লেখ ছিল। ওই ছায়াছবিতে ওপেনহাইমার এবং পদার্থবিদ আর্নেস্ট লরেন্সের মধ্যে কথপোকথনের এক দৃশ্যে চিঠির উল্লেখ এসেছে।
এই সমস্ত কারণে চিঠির নিলামকে ঘিরে বাড়তি আগ্রহ থাকবে বলেও অনুমান করা হচ্ছে।
ক্লারনেটের কথায়, “এটা (অ্যালবার্ট আইনস্টাইনের লেখা চিঠি) কিন্তু ১৯৪৫ সাল থেকেই গণসংস্কৃতির একটা অংশ ছিল। তাই ইতোমধ্যে এর একটা নিজস্ব জায়গা আছে যা মজবুত। তবে আমি মনে করি নতুন প্রজন্মের কাছে একে (চিঠিকে) নিয়ে এসেছে ওপেনহাইমার চলচ্চিত্র।”
গণসংস্কৃতিতে অ্যালবার্ট আইনস্টাইনকে একটা ‘কাল্পনিক চরিত্র’ হিসেব বর্ণনা দিয়েছেন পিটার ক্লারনেট। ওপেনহাইমারে অন্তত সেইভাবেই দেখা গিয়েছে তাকে (আইনস্টাইনকে)- অনেকটা চলচ্চিত্রের পরিধিতে লুকিয়ে থাকা একটা ক্যামিও চরিত্রের ভূমিকায়, যাকে দেখার জন্য আমরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করি। এবং তার পরিচয় ঠিক তখনই প্রকাশ পায় যখন তার টুপি উড়ে গিয়ে সাদা চুলের দেখা মেলে।
ক্লারনেট বলেছেন, “যদিও আইনস্টাইনের 'ই=এমসি স্কোয়ার' (E = mc2) সমীকরণ পারমাণবিক বিক্রিয়ায় নির্গত শক্তিকে ব্যাখ্যা আর তার অশুভ প্রয়োগের পথ প্রশস্ত করেছিল, তা সত্ত্বেও পারমাণবিক বোমা তৈরিতে এই বিজ্ঞানীর ভূমিকা ওই চলচ্চিত্রে অতিরঞ্জিত করা হয়েছে। বিশেষত শেষ দৃশ্যে যেখানে ওপেনহাইমার এবং আইনস্টাইনের মধ্যে মর্মস্পর্শী বাক্য বিনিময় দেখা যায়।”
বিষয়টা বিশদে ব্যাখ্যা করেছেন তিনি। তার কথায়, “আইনস্টাইন, যার বামপন্থী দৃষ্টিভঙ্গি এবং জার্মান ঐতিহ্য তাকে সন্দেহের চোখে ঘিরে রেখেছিল তার কাছে এর জন্য নিরাপত্তাজনিত ছাড়পত্র ছিল না।”
বাস্তবে এই প্রকল্প থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে রেখেছিলেন তিনি এবং সবসময় এই বিষয়ে জোর দিয়েছিলেন যে পারমাণবিক শক্তি নিঃসরণের ক্ষেত্রে তার ভূমিকা ‘বেশ পরোক্ষ’ ছিল।
যদি কেউ এক্ষেত্রে উস্কানি দিয়ে থাকেন তাহলে তিনি আর কেউ নন, আইনস্টাইনের প্রাক্তন ছাত্র লিও জিলার্ড।
আসল চিঠিটা যেখানে লিও জিলার্ডের পেন্সিলে লেখা নোট "আসলটা পাঠানো হয়নি!"-র উল্লেখ ছিল, তা তারই হেফাজতে রাখা ছিল মৃত্যুর আগে পর্যন্ত। ১৯৬৪ সালে মৃত্যু হয়েছিল লিও জিলার্ডের।
জার্মান বংশোদ্ভূত আইনস্টাইন এবং হাঙ্গেরীয় বংশোদ্ভূত জিলার্ড দুজনেই ইহুদি ছিলেন যারা নাৎসিবাদের উত্থানের পরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পালিয়ে এসেছিলেন। অন্য অনেকের চেয়েই তারা ভালো করে জানতেন জার্মানি কেন ঝুঁকির কারণ হতে পারে।
এই চিঠি ছিল জিলার্ডের ভাবনা। তবে আইনস্টাইনকে তা লেখার এবং সই করার জন্য রাজি করাতে সক্ষম হয়েছিলেন তিনি। ক্লারনেট জানিয়েছেন, ১৯২১ সালে নোবেল পুরস্কার জেতার পর আইনস্টাইন “আধুনিক বিজ্ঞানের মূর্ত প্রতীক” হয়ে ওঠেন।
“ওর (আইনস্টাইনের) এমন একটা প্রভাব রয়েছে যা অন্য কারও মধ্যে দেখা যায় না। স্পষ্টতই অনেকে চেষ্টা করেছিলেন রুজভেল্টকে সতর্ক করার। কিন্তু হঠাৎ যদি আপনি আলবার্ট আইনস্টাইনের একটা চিঠি হাতে নিয়ে কারও দরজায় এসে উপস্থিত হন, তাহলে তার তো একটা প্রভাব থাকবেই!”
এরপর ১৯৪৫ সালের ১৬ই জুলাই নিউ মেক্সিকো মরুভূমিতে বোমার প্রোটোটাইপ ‘দ্য গ্যাজেট’-এর সফল প্রয়োগ দেখেছিলেন হাতে গোনা কয়েকজন যাদের নিরাপত্তা বিষয়ক ছাড় মিলেছিল। সুরক্ষার সমস্ত ব্যবস্থা সঙ্গে করে গগলসে চোখ ঢেকে বোমার বিস্ফোরণ দেখেছিলেন তারা।
এই পরীক্ষার সফলতা একইসঙ্গে বয়ে এনেছিল জয়ের আনন্দ এবং আতঙ্ককে। এই দিনে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট হ্যারি এস ট্রুম্যান তার ডায়েরিতে লিখেছেন, “আমরা বিশ্বের ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়ঙ্কর বোমা আবিষ্কার করেছি।”
বিশ্বযুদ্ধে জাপান আত্মসমর্পণ করতে রাজি ছিল না। তখন এমন ধারণা করা হচ্ছিল যে হিরোশিমা এবং নাগাসাকিতে জাপানি বন্দরে একটা ভয়ঙ্কর ও অভূতপূর্ব শক্তি দিয়ে আক্রমণ করলে দ্রুত যুদ্ধের ইতি হবে।
তবে জিলার্ড ওই বোমা পরীক্ষা করার একদিন পরে কোনও কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার আগে জাপানকে আত্মসমর্পণের জন্য আমন্ত্রণ জানানোর সুপারিশ করে পিটিশন দিয়েছিলেন। কিন্তু এই পিটিশন সময়মতো কর্তৃপক্ষের কাছে পৌঁছায়নি।
এরপর ৬ আগস্ট হিরোশিমায় 'লিটল বয়' নামের একটা বোমা ফেলা হয়। নয়ই অগাস্ট নাগাসাকিতে 'ফ্যাট ম্যান'-এর বিস্ফোরণ ঘটে। আনুমানিক ২ লক্ষ মানুষ নিহত বা জখম হন।
এই তেজস্ক্রিয়তার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া চলেছে তারও বেশ কয়েক বছর পর পর্যন্ত। যার ফলে মৃত্যু হয়েছে বহু মানুষের। এখনও পর্যন্ত পারমাণবিক অস্ত্র সরাসরি ব্যবহার করার এটাই একমাত্র উদাহরণ।
এখন আইনস্টাইনের চিঠি ছাড়া ম্যানহাটন প্রজেক্টের অস্তিত্ব আদৌ থাকত কি না সেটা বলা মুশকিল। এ বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে ড. উইলকক উল্লেখ করেছেন যে ব্রিটেন কিন্তু ততদিনে “মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে বৃহত্তর গবেষণার ক্ষেত্রে সমর্থন দেওয়ার জন্য ভীষণভাবে চেষ্টা করছিল।”
ব্রিটিশ নেতৃত্বাধীন এমএইউডি রিপোর্ট (১৯৪১)-এর প্রসঙ্গও টেনে এনেছেন তিনি। পারমাণবিক অস্ত্রের সম্ভাবনার ক্ষেত্রে এই রিপোর্টকে "আমেরিকান গবেষণা বিকাশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ" বলেও বর্ণনা করেছেন তিনি।
তবুও আইনস্টাইনের চিঠি শুধুমাত্র এই প্রক্রিয়াকে শুধুমাত্র ত্বরান্বিত করতে পারে বলে মনে করেন তিনি। গবেষক উইলকক বলেন, “এটা (চিঠি) না থাকলে হয়তো বিলম্ব হতো।”
“১৯৪৫ সালের গ্রীষ্মের মধ্যে ব্যবহারের জন্য ওই বোমা তৈরি হতো না।”
তার ভূমিকার জন্য যে সহিংসতা ও বিশৃঙ্খলা ছড়িয়ে পড়েছিল সে নিয়ে ভীষণভাবে দুঃখ প্রকাশ করেছিলেন আইনস্টাইন। ১৯৪৬ সালে পরমাণু বিজ্ঞানীদের জরুরি কমিটির সহপ্রতিষ্ঠাতা ছিলেন তিনি।
এই কমিটির উদ্দেশ্য পারমাণবিক যুদ্ধের বিপদ সম্পর্কে প্রচার করা এবং বিশ্ব শান্তির কথা বলা।
১৯৪৭ সালে নিউজউইক ম্যাগাজিন-এ প্রকাশিত ‘আইনস্টাইন, দ্য ম্যান হু স্টার্ট ইট অল’ শিরোনামের নিবন্ধে তিনি বলেছিলেন, “যদি আমি জানতাম যে জার্মানরা পারমাণবিক বোমা তৈরিতে সফল হবে না, তাহলে আমি বোমার বিষয়ে কিছুই করতাম না।”
প্রসঙ্গত, প্রযুক্তিগত জ্ঞান থাকা সত্ত্বেও আজও জার্মানি পরমাণু অস্ত্রের অধিকারী নয়। আইনস্টাইন তার বাকি জীবন পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণের প্রচারের জন্য উৎসর্গ করে দেন।
নোবেল পুরস্কারপ্রাপ্ত রসায়নবিদ লিনাস পলিং-এর সঙ্গে ১৯৫৪ সালে কথোপকথনের সময় তিনি রুজভেল্টকে লেখা চিঠিকে “আমার জীবনের একটা বড় ভুল” বলে বর্ণনা করেন। পারমাণবিক বোমা যুদ্ধের দৃশ্যপটকে আমূলভাবে বদলে দেয়। পূর্ব-পশ্চিমের অস্ত্র প্রতিযোগিতার জন্ম দেয় যা আন্তর্জাতিক সম্পর্ককে প্রভাবিত করে।
নয়টি দেশ এখন পরমাণু হাতিয়ারের অধিকারী, যা ওই চিঠির সঙ্গে সম্পর্কিত বলে মনে করা হয়। ক্লারনেট বলেছেন, “আজও এটা খুবই প্রাসঙ্গিক বিষয়। এটা এমন একটা ছায়া যা মানবতার উপর তার প্রভাব ফেলে।”
“এই চিঠি মনে করিয়ে দেয় আমাদের আধুনিক পৃথিবী কোথা থেকে বর্তমান জায়গায় এসেছে আর কীভাবেই বা এটা সম্ভব হয়েছে।”
১৯৫৫ দার্শনিক বার্ট্রান্ড রাসেলের উদ্যোগে এবং আইনস্টাইনের অনুমোদনে একটা সংকল্প গ্রহণ করা হয়। মৃত্যুর ঠিক এক সপ্তাহ আগে পারমাণবিক যুদ্ধের বিরুদ্ধে নেওয়া হয়েছিল এই ‘রাসেল-আইনস্টাইন ইশতেহার’, যার ছত্রে ছত্রে ছিল আবেগের কথা।
সেখানে লেখা হয়েছিল, “আমরা মানুষ হিসাবে মানুষের কাছে আবেদন করি,”… “নিজের মনুষ্যত্বের কথা মনে রেখে, বাকিটা ভুলে যাবেন। যদি আপনি তা করেন তবে একটা নতুন স্বর্গের পথ খোলা থাকবে, যদি তা না পারেন, তবে সামনে রয়েছে সর্বজনীন মৃত্যুর ঝুঁকি।”