মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে ১১৫ রানে আটকে রেখে নিজেদের কাজটা আগের সেরে রেখেছিলেন ইংল্যান্ডের বোলাররা। আজই সেমিফাইনাল নিশ্চিত করতে ১৮ ওভার ৪ বলের আগে জিততে হতো ইংল্যান্ডকে। তবে অত সময় নিলেন না ইংলিশ অধিনায়ক জশ বাটলার। ৩৮ বলে ৮৩ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলে ৯ ওভার ৪ বলেই নিশ্চিত করলেন দলের জয়।
১১৬ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে একপাশে ফিল সল্ট ধীরগতিতে খেললেও বিস্ফোরক ব্যাটিং করেছেন বাটলার। যুক্তরাষ্ট্রের কোনো বোলারই তাকে আটকাতে পারেনি। এর মধ্যে হারমিত সিংয়ের এক ওভারেই ৫ ছক্কায় তুলে নিয়েছেন ৩২ রান। শেষ পর্যন্ত ৬টি চার ৭ ছক্কায় করেন ৮৩ রান। আরেক পাশে ২১ বলে ২৫ রানে অপরাজিত ছিলেন সল্ট।
ব্রিজটাউনে টসে জিতে এদিন প্রথমে বোলিং করার সিদ্ধান্তই নেন জশ বাটলার। ফর্মে থাকা ওপেনার আন্দ্রিস গাউসকে শুরুতেই ফিরিয়ে দেন পেসার রিস টপলি। তবে ওয়ান ডাউনে নেমে দারুণ ব্যাটিং করেন নীতিশ কুমার। ২৪ বলে ৩০ রান করেন তিনি। তবে রান পাননি আরেক ওপেনার স্টিভেন টেইলর ও অধিনায়ক অ্যারন জোন্স।
পাঁচে নেমে কোরি অ্যান্ডারসন দারুণ শুরু করলেও ২৮ বলে ২৯ রান করতে পারেননি। শেষদিকে যুক্তরাষ্ট্রের শতরান পার করেন হারমিত সিং। ১৭ বলে ২টি চার ও ১ ছক্কায় করেন ২১ রান। তারপরও নির্ধারিত ২০ ওভারের ৭ বল বাকি থাকতে ১১৫ রানে অলআউট হয় মার্কিনিরা।
শেষের দিকে একদমই লড়াই করতে পারেননি যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাটারা। শূন্য রান ও ৬ বলের মধ্যেই ৫ উইকেট হারিয়েছে দলটি। ১৭ ওভার ৫ বলের সময় ১১৫-৫ রাসে থাকা দলটি একই রানে অলআউট হয়েছে ১৮ ওভার ৫ বলের মধ্যে। হ্যাটট্রিকসহ ১৯তম ওভারে ৪ উইকেট পেয়েছেন ক্রিস জর্দান।
শুরুতে মার্কিন ব্যাটারদের কোমড় ভেঙে দেন লেগ স্পিনার আদিল রশিদ। ৪ ওভারে মাত্র ১৩ রান খরচায় তার শিকার ২ উইকেট। শেষের কাজটি করেন জর্দান। ২ ওভার ৫ বল করে মাত্র ১০ রান দিয়ে তিনি নেন ৪ উইকেট। শেষের ৪ ব্যাটারের মধ্যে তিনজনই ফিরেছেন তার বলে। ২টি উইকেট নিয়েছেন প়েছেন পেসার স্যাম কারেনও।