পাকিস্তানের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ কারো ব্যক্তিগত নৈপুণ্যের উপর ভর করে জিতেনি বাংলাদেশ। পুরো দলই ভালো খেলেছে। তবুও মেহেদী হাসান মিরাজ, লিটন দাস ও মুশফিকুর রহিমকে একটু বেশি কৃতিত্ব দেওয়াই যায়। সঙ্গে দুই পেসার হাসান মাহমুদ ও নাহিদ রানা বেশ ভালো বোলিং করেন।
ব্যাটিংয়ে ভালো করতে না পারলেও বোলিংয়ে খুব বেশি পিছিয়ে ছিলেন না সাকিব আল হাসান। প্রথম টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে পাকিস্তানি ব্যাটারদের কাছ থেকে সমীহ আদায়ের পাশাপাশি ৪৪ রানে ৩ উইকেট দখল করে দলকে ম্যাচে ফেরাতে কার্যকর ভূমিকা রাখেন সাকিব।
পাকিস্তান সিরিজ শেষে ইংল্যান্ডের কাউন্টি ক্রিকেটে সারের হয়ে খেলতে যান সাকিব। সেখানে একমাত্র ম্যাচে সামারসেটের বিপক্ষে ব্যাট হাতে সুবিধা করতে পারেননি বাংলাদেশের সেরা অলরাউন্ডার। দুই ইনিংসে অভিজ্ঞ এ ব্যাটারের রান যথাক্রমে ১২ ও ০।
তবে বোলার সাকিব ছিলেন দারুণ উজ্জ্বল। দুই ইনিংস মিলিয়ে তিনি দখল করেছেন ৯ উইকেট। প্রথম ইনিংসে ৯৭ রান খরচায় ৪ উইকেট, আর দ্বিতীয় ইনিংসে ৯৬ রানে সকিব তুলে নিয়েছেন ৫ উইকেট।
ভারতের বিপক্ষে বল হাতে কাউন্টি ক্রিকেটের সেই সাকিবকেই চান ভক্তরা। টাইগার অলরাউন্ডারকে নিয়ে নিজের প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তও।
ভারতের উদ্দেশে দেশ ছাড়ার আগে সাকিবকে নিয়ে শান্ত বলেন, ‘সাকিব ভাইকে নিয়ে আগে যা প্রত্যাশা করতাম, এখনো তাই করছি।’
সাকিব দলের সঙ্গে অনুশীলন করেননি। তবুও বাঁহাতি অলরাউন্ডারের প্রস্তুতিতে ভরসা রাখছেন শান্ত। কারণ, বাংলাদেশের সিরিজ প্রস্তুতির সময় কাউন্টি ক্রিকেটে খেলেছেন সাকিব।
সেদিকে ইঙ্গিত করে শান্ত বলেন, ‘সাকিব ভাইয়ের প্রস্তুতি ভালোই হয়েছে, বোলিংয়ের কথা বলা যায়। যদিও ব্যাটিংয়ে রান করতে পারেননি। কিন্তু প্রস্তুতি ভালো হয়েছে উনার। এই সিরিজে আশা করি ভালো করবেন।’