বিপিএলের ঘণ্টা বাজতে শুরু করেছে। কারা কোন দলের ফ্র্যাঞ্চাইজি? তাও জানা হয়ে গেছে। সাবেক বিসিবি, আইসিসি প্রধান ও সাবেক অর্থ মন্ত্রী আ হ ম মোস্তাফা কামাল কন্যা নাফিসা কামালের কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স এবার নেই। মূলত কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সই শুধু নয়, নাফিসা কামালই নেই।
টিম কুমিল্লার পরিবর্তে এবার আবার নতুনভাবে যুক্ত হয়েছে রাজশাহী। বেক্সিমকো গ্রুপের পর ঢাকার মালিকানা পাওয়া ফ্র্যাঞ্চাইজিও নেই এবার। ঢাকা আর চট্টগ্রাম খেলবে নতুন মালিকানায়। এর মধ্যে প্রথম দু’বার চট্টগ্রামের মালিকানায় থাকা সামির কাদের চৌধুরী আবার ফ্র্যাঞ্চাইজি হয়েছেন চট্টগ্রামের। মোটকথা, ৪ টি দল (খুলনা, সিলেট, রংপুর, ফরচুন বরিশাল) আছে পুরনো নাম ও মালিকানায়। আর তিন দলের মালিকানা নতুন।
এদিকে মালিকানা নির্ধারনের পর শুরু হচ্ছে দল গোছানোর পালা। আর ৭২ ঘণ্টা পর বিপিএলের প্লেয়ার্স ড্রাফট। ১৪ অক্টোবর দুপুরের পরই জানা যাবে সাকিব, তামিম, মুশফিক, মাশরাফি, রিয়াদ, লিটন, মিরাজ, তাসকিন, মোস্তাফিজ আর তাওহিদ হৃদয়রা কে কোন দলে খেলবেন?
এদিকে দল গোছানো ও সাজানোর আগের ধাপ হিসেবে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো ভেতরে ভেতেরে কোচিং স্টাফ ঠিক করার কাজটাও প্রায় সেরে ফেলেছে। তবে একটা অবাক হওয়ার মত খবর আছে।
সম্ভবত দেশের তিন সেরা, নামী ও জনপ্রিয় কোচ খালেদ মাহমুদ সুজন, মোহাম্মদ সালাউদ্দীন ও সোহেল ইসলামকে এবারের বিপিএলে দেখা যাবে না।
প্লেয়ার্স ড্রাফটের তিনদিন আগে মানে আজ বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত বিপিএলের তিন সফলতম কোচের সাথে কোন দলের কথাবার্তা পাকা হয়নি এবং বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত খবর, সুজন, সালাউদ্দীন ও সোহেল ইসলামের এবারের বিপিএলে কোচিং করানোর সম্ভাবনা খুব কম। শেষ পর্যন্ত এদের তিনজনই যদি বিপিএলের ২০২৫-এর আসরে কোচিং না করান, তাতে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।
যদিও তারা তিনজনই বিপিএলের সবচেয়ে সফল কোচ। মোহাম্মদ সালাউদ্দীন বিপিএলেল সর্বোচ্চ চারবারের শিরোপাধারী কোচ। খালেদ মাহমুদ সুজন কোচ হিসেবে বিপিএলে একবার মাত্র শিরোপার স্বাদ পেলেও তিনি বিপিএলে সবচেয়ে বেশিবার সেমিফাইনাল খেলা দলের কোচও জাতীয় দলের এই সাবেক অধিনায়ক।
সুজন ও সালাউদ্দীনের তুলনায় বয়সে সোহেল ইসলামের কোচিং ক্যারিয়াটাও ছোট, তারপরও বিপিএলে কোচ হিসেবে সমান উজ্জ্বল সোহেল ইসলামও। তার দল রংপুর আগেরবার অল্পের জন্য চ্যাম্পিয়ন হতে পারেনি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এই তিনজনেরই এখন পর্যন্ত বিপিএলে কোন দল ঠিক হয়নি এবং অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে এবার হয়ত দেশের নামি, জনপ্রিয় ও বিপিএলের সবচেয়ে সফল তিনকোচকে এবার কোচিং করাতে দেখা নাও যেতে পারে।