যুক্তরাষ্ট্রের কেনটাকি ও মিসৌরি রাজ্য ভয়াবহ টর্নেডোর কারণে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ২১ জন। শুক্রবার (১৬ মে) রাত থেকে শুরু হওয়া এই টর্নেডোর তাণ্ডবে দেশটির দক্ষিণ ও মধ্য-পশ্চিম সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
দেশটির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ভয়াবহ এই প্রাকৃতিক দুর্যোগের পর বহু মানুষ এখনো নিখোঁজ, অসংখ্য বাড়িঘর ধ্বংস হয়ে গেছে, এবং হাজার হাজার মানুষ বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন অবস্থায় আছেন।
কেনটাকির গভর্নর অ্যান্ডি বেশিয়ার শনিবার (১৭ মে) এক বিবৃতিতে জানান, তার রাজ্যে অন্তত ১৪ জন নিহত হয়েছেন। শুক্রবার রাতের প্রচণ্ড ঝড়ে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে লরেল কাউন্টিতে। সেখানকার শেরিফ অফিস জানিয়েছে, স্থানীয় সময় গভীর রাতে টর্নেডোর আঘাতে অনেকেই গুরুতর আহত হয়েছেন। এখনো ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে থাকা মানুষদের উদ্ধারে কাজ চলছে।
মিসৌরির সেন্ট লুইস শহরে পাঁচজনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মেয়র কারা স্পেন্সার। তিনি বলেন, আমাদের শহর আজ শোকে ডুবে গেছে। প্রাণহানি এবং ধ্বংসের পরিমাণ সত্যিই ভয়াবহ। সেন্ট লুইস থেকে প্রায় ১৩০ মাইল দক্ষিণে স্কট কাউন্টিতেও আরেকটি টর্নেডো আঘাত হানে। সেখানে মারা গেছেন আরও দুইজন। স্থানীয় শেরিফ ডেরিক হুইটলি জানান, উদ্ধারকর্মীরা ঝুঁকি নিয়ে দ্রুত উদ্ধারকাজ চালান এবং আহতদের তাৎক্ষণিক চিকিৎসা দেন। এই ভয়াবহ ঝড় ও টর্নেডোর প্রভাবে উত্তরাঞ্চলের উইসকনসিন পর্যন্ত ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বজ্রঝড়ের কারণে সেখানে হাজার হাজার মানুষ বিদ্যুৎবিহীন হয়ে পড়েছেন।
এদিকে টর্নেডোর মাঝেই শুক্রবার রাতে শিকাগো এলাকায় জারি হয়েছে ধুলোঝড়ের সতর্কতা। আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, প্রায় ১৬১ কিলোমিটার জুড়ে বিশাল ধুলো ঝড় সৃষ্টি হয়েছে।
মৌসুমি ঝড়ের তাণ্ডব চলতে থাকলেও দেশটির দক্ষিণাঞ্চলে শুরু হয়েছে আরেক বিপর্যয়। টেক্সাসের সান আন্তোনিও এবং অস্টিনে জারি করা হয়েছে তাপ সতর্কতা। তাপমাত্রা পৌঁছেছে ৯৫ থেকে ১০৫ ফারেনহাইটে।
জাতীয় আবহাওয়া পরিষেবার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আর্দ্রতার কারণে পরবর্তী দিনগুলোতে আরও বেশি গরম অনুভূত হতে পারে।
তথ্যসূত্র: আল জাজিরা