ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার খবর প্রকাশের পর প্রথমবারের মতো জনসমক্ষে উপস্থিত হন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এ সময় অসুস্থতা সত্ত্বেও তিনি বলেন যে, তিনি ‘ভালো আছেন।
এর আগে ১৮ মে বাইডেনের কার্যালয় নিশ্চিত করে, ৮২ বছর বয়সী বাইডেন হরমোন-সংবেদনশীল প্রোস্টেট ক্যান্সার ধরা পড়েছে। তিনি চতুর্থ পর্যায়ের প্রোস্টেট ক্যান্সারে আক্রান্ত বলেও জানানো হয়।
শুক্রবার (২৩ মে) কানেকটিকাটের ব্র্যাডলি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলার সময়, বাইডেন বলেন যে, তিনি ভালো আছেন। সেখানে তিনি তার নাতির স্নাতকোত্তর অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন। এ সময় বাইডেনের সাথে সাবেক ফার্স্ট লেডি জিল বাইডেনও ছিলেন।
এদিকে, এত অ্যাডভান্স ক্যান্সার হওয়ার পরও তা কীভাবে চোখে পড়ল না তা নিয়ে চিকিৎসা বিশেষজ্ঞরা প্রশ্ন তুলেছেন বলে আর টির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
মঙ্গলবার বাইডেনের একজন মুখপাত্র বলেছেন যে, সাবেক প্রেসিডেন্টের এক দশকেরও বেশি সময় ধরে এই অসুস্থতার জন্য কোনো পরীক্ষা করা হয়নি।
তিনি আরও যোগ করেছেন, বাইডেনের সর্বশেষ পিএসএ পরীক্ষাটি ২০১৪ সালে হয়েছিল এবং গত সপ্তাহের আগে তার কখনও প্রোস্টেট ক্যান্সার ধরা পড়েনি।
অন্যদিকে, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেছেন, বাইডেনের সহযোগীরা তার শারীরিক অবস্থা ব্যবহার করে অননুমোদিত নীতিমালা এগিয়ে নিয়ে গেছেন। এটিকে ‘সর্বোচ্চ স্তরে বিশ্বাসঘাতকতা’ বলে অভিহিত করেন ট্রাম্প।
এদিকে, বাইডেনের নেতৃত্ব দেয়ার ক্ষমতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন ভাইস প্রেসিডেন্ট জে.ডি. ভ্যান্স। বলেন, ‘আমি মনে করি না তিনি যুক্তরাষ্ট্রের জনগণের জন্য ভালো কাজ করতে পেরেছেন।’
এছাড়া রিপাবলিকান সিনেটর রন জনসন এবং জন কর্নিন বাইডেনের ক্ষমতায় থাকাকালীন তার অবস্থা গোপন করা হয়েছিল কিনা তা তদন্তের আহ্বান জানিয়েছেন। জনসন সংবাদমাধ্যম অ্যাক্সিওসকে বলেছেন, তিনি ‘কয়েক ডজন লোকের’ কাছ থেকে সাক্ষ্য নেয়ার পরিকল্পনা করছেন যাদের বাইডেনের সাথে ‘সরাসরি যোগাযোগ’ ছিল।
এই তদন্তের বিষয়টি এমন এক সময় সামনে এলো যখন ‘অরিজিনাল সিন’ নামে একটি নতুন বইয়ে অভিযোগ করা হয়েছে যে, বাইডেনের কর্মীরা তার প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন মানসিক অবক্ষয়ের লক্ষণ গোপন করেছিলেন।
গত মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে ট্রাম্পের সাথে বিতর্কে খারাপ পারফরম্যান্সের জন্য তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েন বাইডেন।
সূত্র: আর টি