অ্যামেরিকায় বাংলাদেশি আটক আইনগতভাবে কোন প্রশ্নগুলোকে সামনে আনে?

ডেস্ক রিপোর্ট
  ২৭ অক্টোবর ২০২৫, ১৯:২৩


চলতি মাসের শুরুর দিকে ক্যালিফোর্নিয়ায় নিয়মিত হাজিরা দিতে গিয়ে ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট-আইসের হাতে আটক হন বাংলাদেশি নারী মাসুমা খান। এ ধরনের ঘটনা আইনগতভাবে কোন প্রশ্নগুলো সামনে আনে, তা কমিউনিটি লিডার মোহাম্মদ এন. মজুমদারের কাছে জানতে চেয়েছেন টিবিএন অ্যানালাইসিসের সঞ্চালক রানা আহমেদ। আইন ও বাস্তবতার আলোকে উত্তর দিয়েছেন অতিথি।
টিবিএন: গত ৬ অক্টোবর ক্যালিফোর্নিয়াতে যে ঘটনাটা ঘটল, সামরিক স্টাইলে যে অভিযানের ভিডিওটা ভাইরাল হয়েছে এবং আমাদের বাংলাদেশের একজন নারী, মাসুমা খান, তাকে যেভাবে ধরে নেওয়া হয়েছে…তো আইনগতভাবে কোন প্রশ্নগুলো উদ্ভব করে এই ধরনের গ্রেপ্তার এবং স্টেইট বা সিটি কর্তৃপক্ষ কী ধরনের পদক্ষেপ নিতে পারে?
মজুমদার: এইটা আপনাকে বলি। আমরা যুক্তরাষ্ট্রে যারা বাস করি, প্রত্যেকে থ্রি লেয়ার্স অফ গভর্নমেন্ট আমরা এনজয় করি।
যেমন: সিটি গভর্নমেন্ট, স্টেইট গভর্নমেন্ট অ্যান্ড ফেডারেল গভর্নমেন্ট, বাট প্রত্যেকটি গভর্নমেন্টের একটা আইনসভা আছে।
সে আইনসভার আইন অনুসারে ওই জুরিসডিকশনটা ম্যান্ডেট হয় বা পরিচালিত হয়, বাট দেয়ার ইজ অ্যানাদার ক্লজ, যেটাকে বলে সুপারসিডিং ক্লজ।
যখন দুইটা লয়ের ভিতরে সাংঘর্ষিক হয়, তখন কোন লটা সুপারসিড করবে, কোন লটা অগ্রাধিকার পাবে…যেমন: ইমিগ্রেশনটা এক্সক্লুসিভলি ফেডারেল ল।
ল্যান্ড ল, ফেডারেল ল, ব্যাংক্রাপসি ল, ম্যাট্রিমনি ল শুনছেন না? তো ইমিগ্রেশনটা টোটালি ফেডারেল। এটা ফেডারেলদের এখতিয়ার; স্টেইটের এখতিয়ার না।
সেখানে স্টেইটের লোকেরা যে কতগুলা কাজ করে, এটা অনেকটা এইটাকে আমি বেআইনি বলব না, এটা দে ট্রাই টু প্রটেক্ট দেয়ার সিটিজেন।
অন দি আদার হ্যান্ড, ফেডারেল গভর্নমেন্ট বলতেছে, এটা তোমার কাজ না; এটা ফেডারেল এজেন্টদের কাজ।
সেকেন্ডলি, এখানে আরেকটা সমস্যা হচ্ছে ফেডারেল গভর্নমেন্ট এই যে একটু আগে এক্সেসিভ ইউজ অফ ফোর্স, আইনের প্রয়োগ এবং ফার্স্ট এমেন্ডমেন্ট রাইট, যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে এনজয়েবল থিং হলো ফার্স্ট এমেন্ডমেন্ট রাইট। যেমন: টেলিভিশনে প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে অনর্গল কথা বলে যাওয়ার অধিকার আছে আপনার, এজ লং এজ প্রেসিডেন্টকে হত্যা করার জন্য বলেন নাই, রাষ্ট্রদ্রোহিতার কোনো সংক্রান্ত গলদ যদি না করে থাকেন, আজীবন বক্তব্য দেন, পুলিশও ধরবে না, ফেডারেল এজেন্ট আপনাকে ধরবেন না।
আপনি দেখছেন না, একটা লোক কী গালাগালি করতেছে। কী ওয়ার্ড ইউজ করতেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। সে কিছু করতেছে না। কারণ সে জানে, এটার জন্য তাকে অ্যারেস্ট করতে পারে না। বিকজ এটা ফার্স্ট অ্যামেন্ডমেন্ট রাইট।
তোমাকে বলতে পারে, তুমি কাছড়া মানুষ, তুমি ফালতু মানুষ। সুতরাং আইনের প্রয়োগ ওখানে হয়, বাট কিছুটা ডেভিয়েট (বিচ্যুতি) হইছে, কিছুটা এক্সেসিভ ইউজ অফ ফোর্স তারা করতেছে।
অ্যাট দি সেইম টাইম দেখতে হবে, স্টেইট এজেন্সি এবং সিটি গভর্নমেন্টের কিছু কিছু লোক যে তাদেরকে অ্যাবিউজ করছে, সেটাও আপনাকে দেখতে হবে। তারা কিন্তু ওখানে যাইয়া এক একটা আইন প্রয়োগকারী সংস্থা,পুলিশ যদি একজনকে অ্যারেস্ট করে, সেখানে আপনি যাইয়া বাধা দিতে পারেন না।
বাধা দিলে সেটাকে বলে অবস্ট্রাকশন অফ জাস্টিস। সিরিয়াস ওয়ার্ড, যে আমি ল এনফোর্সমেন্ট। আমি রানা ভাইকে গ্রেপ্তার করতেছি। তৃতীয় ব্যক্তি সে এসে আমাকে বাধা দিতেছে। সে কিন্তু তাকেও অ্যারেস্ট করতে পারে।
পুলিশ কিন্তু ওই পর্যায়েও যায় না। ওই দিকেও আপনাকে দেখতে হবে। আমাদের ডিসকাশনের জন্য বলতেছি। সো লেট’সে সি হোয়াট হ্যাপেন। কারণ এটা শুনেন, যত গর্জে তত বর্ষে না।
পৃথিবীর ইতিহাসে যত শাসক আছে, দেখছেন আপনি, হোয়েন ইউ এক্সিড দ্য লিমিট, দ্যান, দেয়ার ইজ অ্যা এন্ড।
একটা এজ (প্রান্ত) আছে না? শেষ মাথা পর্যন্ত আপনি চলে গেলেন। এরপর কোথায়? পড়তে হবে।
সুতরাং মাঝামাঝি থাকতে হবে। একটা চক্রাকার টেবিলটা, টেবিলের মাঝে আমি থাকতে হবে; ভিতরে থাকতে হবে। একদম কাছাকাছি যাইতে পারব। আর বেশি যদি যাই, আই উইল ফল।
সো আমরা সবাইকে ধৈর্য ধরতে হবে, অপেক্ষা করতে হবে। যে সহে, সে রহে।
কারণ অনেক অঝোর বৃষ্টি। অঝোর বৃষ্টি কিন্তু থাকবে না, চলে যাবে। অনেক ঠান্ডা, হিমাঙ্কের নিচে আসছে। সামার তো আসতেছে।
আমি আশাবাদী থাকি। কারণ এই জীবনে আমি সিক্সটি টু ইয়ার ওল্ড। আজকে যখন কথা বলি, চোখের সামনে মুক্তিযুদ্ধে কত মানুষ মরতে দেখছি, কত মানুষকে মারতে দেখছি।
যারা মরে গেছে, তাদের সন্তানেরা আবার বড় হইয়া ওদেরকে আক্রমণ করতেছে। সুতরাং সিচুয়েশন উইল বি বেটার। জাস্ট টেক ইট ইজি।

 

তথ্যসূত্র:টিবিএন২৪