মার্কিন হোমল্যান্ড সিকিউরিটি প্রধান ক্রিস্টি নোম

খুনি-পরজীবী পাঠানো দেশগুলোর ওপর নিষেধাজ্ঞা

ডেস্ক রিপোর্ট
  ০৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৪:০৬

মার্কিন হোমল্যান্ড সিকিউরিটি প্রধান ক্রিস্টি নোম বলেছেন, যেসব দেশ যুক্তরাষ্ট্রে 'খুনি, পরজীবী ও ভাতা-নির্ভর' মানুষ পাঠাচ্ছে- সেই দেশগুলোর ওপর পূর্ণ ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার জন্য তিনি সুপারিশ করেছেন। 
মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে নোম জানান, তিনি এ বিষয়ে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকও করেছেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে নোম লিখেছেন, “I just met with the President. I am recommending a full travel ban on every damn country that’s been flooding our nation with killers, leeches, and entitlement junkies.”
বাংলায় যার অর্থ- ‘আমাদের দেশে খুনি, পরজীবী আর ভাতা-নির্ভর মানুষ’ পাঠানো দেশগুলোর ওপর নিষেধাজ্ঞা চাই।
নোম আরও বলেন, “আমাদের পূর্বপুরুষরা রক্ত, ঘাম আর অবিচল স্বাধীনতার ভালোবাসায় এই দেশ গড়েছেন। কোনো বিদেশি অপরাধী যেন আমাদের নায়কদের হত্যা করতে না পারে, করদাতার টাকা শুষে নিতে না পারে কিংবা আমেরিকান নাগরিকদের বরাদ্দ সুবিধা দখল করতে না পারে, আমরা তা হতে দেব না। আমরা কাউকে চাই না, একটিও নয়।”
নোমের এই মন্তব্য সে সময় এসেছে, যখন ওয়াশিংটন ডিসিতে এক ঘটনায় দুই ন্যাশনাল গার্ড সদস্য গুলিবিদ্ধ হন এবং তাদের একজনের মৃত্যু হয়। ওই ঘটনার পর দেশজুড়ে নিরাপত্তা ও অভিবাসন নীতি নিয়ে নতুন বিতর্ক তৈরি হয়েছে।
বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের ভ্রমণ নিষিদ্ধ বা সীমাবদ্ধ দেশগুলোর সংখ্যা প্রায় ১৯। এর মধ্যে আফগানিস্তান, মিয়ানমার, চাদ, কঙ্গো, ইরিত্রিয়া, হাইতি, ইরান, লিবিয়া, সোমালিয়া, সুদান ও ইয়েমেনসহ বেশ কয়েকটি দেশ রয়েছে। নোমের প্রস্তাব কার্যকর হলে এ তালিকা বাড়িয়ে ৩০–৩২টি দেশ করা হতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছে প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
নতুন কোন কোন দেশ যুক্ত হতে পারে তা শিগগিরই জানানো হবে বলে কর্মকর্তােরা জানিয়েছেন। তবে নোমের ব্যবহৃত কঠোর ও আক্রমণাত্মক ভাষা অনেক মানবাধিকার সংগঠন ও আইন বিশেষজ্ঞদের উদ্বেগ বাড়িয়েছে। তাদের মতে, দেশভিত্তিক এমন ঢালাও নিষেধাজ্ঞা আইনগত প্রশ্নের মুখে পড়তে পারে এবং মানবাধিকারমানেও চ্যালেঞ্জ তৈরি করতে পারে।
সব মিলিয়ে, অভিবাসন ও ভ্রমণ নীতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র আবারও কঠোর অবস্থানের দিকে যাচ্ছে। আর যেসব দেশ আগে থেকেই নিষেধাজ্ঞার তালিকায় আছে, তাদের জন্য পরিস্থিতি আরও কঠিন হতে পারে।