দীর্ঘ সময় ধরে বিশ্বের অর্থনীতিকে নিয়ন্ত্রণ করছে আমেরিকা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রই বিশ্ব অর্থনীতির শেষ কথা- এ আধিপত্য বজায় রয়েছে অর্ধ শতকেরও বেশি সময় ধরে। গত কয়েক দশকে চীনা অর্থনীতিরও বিপুল উত্থান হয়েছে। গত শতকের শেষ দশক থেকেই চীনের অর্থনীতির বহর বাড়ছে। এর জেরে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রেও অনেক সমীকরণ বদলে গিয়েছে।
চীনের এই বৃদ্ধির হার দেখে বিভিন্ন সময় অনেক বিশেষজ্ঞই ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন, আগামী কয়েক বছরের মধ্যেই মার্কিন অর্থনীতিকে ছাপিয়ে যাবে চীন। গত দশকেও চীনের বৃদ্ধির হার যা ছিল, তাতে মনে হত আমেরিকাকে ছাপিয়ে যাওয়া কেবল সময়ের অপেক্ষা। বিষয়টি নিয়ে গত এক দশকের বেশি সময় ধরে চীন ও আমেরিকার প্রতিদ্বন্দ্বিতা কম হয়নি। অনেক বিশেষজ্ঞই চীন-আমেরিকার বাণিজ্যযুদ্ধে ঠান্ডা যুদ্ধের ছায়াও দেখতে পান। এ সবের মধ্যেই কোভিড মহামারি সব হিসাবে উল্টেপাল্টে দিয়েছে। মহামারি বিশ্ব অর্থনীতিকেই বড় ধাক্কা দিয়েছে। এর জেরে আমেরিকা এবং চীনেরও ক্ষতি কম হয়নি।
সেই পরিস্থিতি কাটিয়ে দুই দেশ ইতিমধ্যেই ঘুরে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু গত এক দশকের তুলনায় বর্তমানে চীনের অর্থনৈতিক বৃদ্ধি যেন অনেকটাই কম। সেই ‘গ্রোথ মিরাকেল’ যেন উধাও। এই পরিস্থিতিতেই বিভিন্ন অর্থনৈতিক বিশ্লেষক সংস্থা জানাচ্ছে, আমেরিকার অর্থনীতিকে পিছনে ফেলে এগিয়ে যাওয়া এখনই চীনের পক্ষে সম্ভব নয়। কেউ কেউ মনে করছেন, ২০৪০ সালেও ওয়াশিংটনকে পিছনে ফেলতে পারবে না বেইজিং! কিন্তু কী হল চীনের? কেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে লড়াইয়ে পিছিয়ে পড়ল ড্রাগনের দেশ?
২০০৮ সালে প্রথম সারির মার্কিন সংবাদমাধ্যমের এক প্রতিবেদনে লেখা হয়েছিল, “সারা বিশ্বে আমেরিকার আধিপত্যে শেষ হতে চলেছে। নতুন শক্তিরা উঠে আসছে। চীন, ভারত এবং রাশিয়া এই স্থান নিতে পারে।” চীন আমেরিকার অর্থনীতিকে পিছনে ফেলবে এ নিয়ে আশাও কম ছিল না। এর পরবর্তী সময়কালে অর্থনীতির পাশাপাশি ভূ-রাজনৈতিক ক্ষেত্রেও নিজের প্রভাবের বিস্তার ঘটিয়েছে। আর্থিক শক্তির সঙ্গে ভূ-রাজনৈতিক ক্ষমতা বিস্তারের বড় যোগ রয়েছে। সে দিকেও ধীরে ধীরে এগিয়েছে ‘বিশ্বের ফাস্টেস্ট গ্রোয়িং ইকোনমি’ চীন। ‘দ্য বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিটিয়েটিভ’-এর মতো পদক্ষেপও করেছে তারা। কিন্তু তাতেও কাঙ্খিত লক্ষ্যে এখনও পৌঁছতে পারেনি বেইজিং।
এর প্রধান কারণ চীনের অর্থনৈতিক বৃদ্ধি এক দশক আগের থেকে অনেকটাই ঝিমিয়ে পড়েছে। ২০০১-০২ সালের পর থেকেই চীনের বার্ষিক জিডিপি ছিল ৯ শতাংশের বেশি। ২০০৮-০৯ এ তা ১৪ শতাংশও ছাড়িয়ে গিয়েছিল। কোভিডের আগের সময়েই তা কমে ৮-৭ শতাংশ নেমেছে। মহামারিতে এক ধাক্কায় তা অনেকটা কমেছিল। কিন্তু এখন তা বাড়লেও অতীতের মতো ৮ শতাংশ ছাড়াতে পারেনি। ২০২৩ সালে আমেরিকার বার্ষিক জিডিপি ছিল ৬.৩ শতাংশ। সেখানে চীনের মাত্র ৪.৬ শতাংশ। যা প্রত্যাশার থেকে অনেকটা কম। আমেরিকার থেকে চীনের পিছিয়ে পড়ার কারণ হিসাবে বেশ কিছু বিষয় তুলে ধরেছেন বিশেষজ্ঞরা।
চার দশক আগেও চীন যে অর্থনৈতিকভাবে খুব শক্তিশালী ছিল এমন নয়। তখন চীন অর্থনীতির বিকাশের জন্য ‘ওপেন ডোর’ নীতি নেয়। এর জেরে চীনের বিভিন্ন এলাকায় অর্থনৈতিক জোন তৈরির কাজ শুরু হয়। বৈদেশিক বিনিয়োগের রাস্তাও প্রশস্ত হয় চীনে। এর পর চীন অর্থনীতির বৃদ্ধির জন্য একাধিক সংস্কারের পথে হেঁটেছে। বিভিন্ন সংস্থায় রাষ্ট্রের মালিকানা, লিগাল সিস্টেম, কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক নিয়ে একাধিক পদক্ষেপ করেছে বেইজিং। এর পর থেকেই বিশ্বের উৎপাদন শিল্পের ঠিকানা হয়ে উঠেছে চীন। ‘বিশ্বের কারখানা’ হিসাবেও ডাকা হয় এশিয়ার এই দেশকে।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সংস্থা কারখানা তৈরি করেছে চীনে। এবং চীনে উৎপাদিত পণ্য ছড়িয়ে পড়েছে গোটা বিশ্বে। এ ভাবেই দিনে দিনে বেড়েছে চীনের অর্থনীতি। ২০০৭ সালে চীনের জিডিপি-র ৩২ শতাংশ এসেছিল রফতানি থেকে। এ ভাবে যতই বেড়েছে চীনের অর্থনীতির বহর, ততই রাষ্ট্রের আগলও শক্তিশালী হয়েছে। বিভিন্ন সংস্থায় রাষ্ট্রের মালিকানা ১০-১৫ শতাংশ থেকে বেড়ে ৫০-৬০ শতাংশে পৌঁছেছে। আবার রাষ্ট্রের সম্পূর্ণ মালিকানাধীন সংস্থার সংখ্যা কমেছে। চীনের কমিউনিস্ট পার্টির হস্তক্ষেপ বৃদ্ধি, মুক্ত অর্থনীতির পরিসরকে অনেকটাই খাটো করেছে বলে মত বিশেষজ্ঞদের।
চীনের উৎপাদন শিল্পে জোয়ার আসা এবং অর্থনীতির বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে সেখানে নগরায়ন প্রবণতাও বেড়েছিল। এর জেরে ফুলেফেঁপে উঠেছিল চীনের আবাসনক্ষেত্র বা রিয়েল এস্টেট ব্যবসা। কিন্তু গত কয়েক বছরে চীনের আবাসনক্ষেত্র দারুণ ধাক্কা খেয়েছে। যার প্রভাব পড়েছে চীনা অর্থনীতিতে। এর পাশাপাশি সময়ের সঙ্গে পরিকাঠামোগত যে পরিবর্তন দরকার ছিল, তার অনেক কিছুই হয়নি চীনে। অর্থনৈতিক বৃদ্ধির প্রাথমিক পরিচালন শক্তি হিসাবে পুঁজি বিনিয়োগের থেকে ব্যক্তিগত ভোক্তাজগতের উপর অধিকতর গুরুত্ব দেওয়ার বহুকথিত পরিবর্তনের বিষয়টি শেষ পর্যন্ত ঘটেনি। যা ধাক্কা দিয়েছে চীনের অর্থনৈতিক বৃদ্ধিতে।
কোনও দেশকে অর্থনীতিতে সবথেকে শক্তিশালী হতে চাইলে প্রযুক্তির উদ্ভাবনেও এগিয়ে থাকা আবশ্যক। কিন্তু এ ব্যাপারে আমেরিকাকে কখনই টেক্কা দিতে পারেনি চীন। নতুন প্রযুক্তির উদ্ভাবন এবং গবেষণায় চীনের থেকে অনেক এগিয়ে রয়েছে আমেরিকা। বিশ্ব ব্যাঙ্কের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টির নিরিখে আমেরিকার থেকে কয়েক যোজন পিছিয়ে চীন। এমনকি জাপানও এ ব্যাপারে চীনের থেকে এগিয়ে। এমনকি বিভিন্ন পেটেন্ট এবং পুরষ্কারের নিরিখেও পিছিয়ে রয়েছে চীন। এর পাশাপাশি চীনের বিরুদ্ধে প্রযুক্তি চুরির অভিযোগও উঠেছে বিভিন্ন সময়ে। তাই কোনও প্রযুক্তির উপর ভিত্তি করে পণ্য উৎপাদন। সেই পণ্য বিশ্বের বাজারে পৌঁছে দেয়া এবং তার গতি নিয়ন্ত্রণ করার পর্যায়ে চীন ততটা সফল হয়নি। বরং বাইরের বিভিন্ন দেশ থেকে যন্ত্রাংশ এসে, চীনে অ্যাসেম্বল হয়েছে। এবং পণ্য বাইরে রফতানি হয়েছে।
প্রযুক্তির উদ্ভাবনে আমেরিকাকে টেক্কা দিতে না পারাও চীনেও পিছিয়ে পড়ার অন্যতম কারণ বলে মত বিশেষজ্ঞদের। এ বিষয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ইমন কল্যাণ লাহিড়ী বলেছেন, “বিভিন্ন প্রযুক্তির উদ্ভাবনী, পেটেন্টের বিষয়ে আমেরিকা অনেক এগিয়ে। এ ব্যাপারে চীনও অনেকাংশে আমেরিকার উপর নির্ভরশীল। প্রযুক্তি আমেরিকার হাতে যেহেতু বেশি, চীন এ ব্যাপারে আমেরিকার সঙ্গে তেমন পেরে ওঠে না। বাজারকেন্দ্রিক প্রযুক্তি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হাতেই বেশি। এর সঙ্গে সিলিকন প্রযুক্তি অর্থাৎ চিপ তৈরি নিয়ে যে লড়াইটা হচ্ছে, সেখানে চীন এগিয়ে থাকলেও কিছু সমস্যা তৈরি হচ্ছে। চীনে থাকা সংস্থা পরিচালনা, পণ্য নিয়ে যাওয়া, নিরাপত্তা সংক্রান্ত জটিলতা তৈরি হচ্ছে।”
অর্থনৈতিক শক্তি বৃদ্ধির সঙ্গে ভূ-রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তারের সম্পর্ক অনেকটাই অবিচ্ছেদ্য। বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতি আমেরিকা বিশ্বের ভূ-রাজনীতিতে নিজের প্রভাব বজায় রেখেছে। যদিও সেই প্রভাব আগের তুলনায় কমেছে, কিন্তু এখনও এ ব্যাপারে আমেরিকাই এগিয়ে। যদিও চীন আর্থিক বৃদ্ধিকে কাজে নিজের মিলিটারির ক্ষমতা আগের থেকে অনেক বাড়িয়েছে। কিন্তু মিলিটারি যন্ত্রাংশ তৈরির ক্ষমতাতেও চীন আমেরিকার থেকে অনেক পিছিয়ে। যদিও চীন এশিয়া এবং আফ্রিকার অনেক দেশে অতীতের থেকে নিজের প্রভাব কয়েক গুণ বাড়িয়েছে। কিন্তু চীনের ঋণের ফাঁদে জড়িয়ে সর্বস্বান্ত অবস্থাও হয়েছে অনেক দেশেরই। এই সব ঘটনাক্রম চীনের প্রতি বিশ্বাসেও ভাঙন ধরিয়েছে বলে মনে করেছে আন্তর্জাতিক মহল।
চীনের উপর পুরোপুরি নির্ভর করতে ভয় পাচ্ছে অনেক দেশই। তুলনায় বিশ্বের বড় বড় গণতান্ত্রিক দেশ যেখানে বাজার অর্থনীতি অনেক বেশি মুক্ত, সেই সব বাজারে আমেরিকার প্রভাব অনেক বেশি। এই প্রেক্ষিতে ইমন কল্যাণ লাহিড়ী বলেছেন, “চীনের অর্থনীতি সম্পর্কে আশপাশের দেশগুলির ধারণা ছিল চীনের অর্থনীতি অনেকটা এগিয়ে আছে। একটা জিনিস মাথায় রাখতে হবে, ওদের প্রোডাকশন সেক্টর বেশ বড়। কিন্তু এই উৎপাদন আভ্যন্তরীণ প্রয়োজনীয়তা মেটাতে খরচ হয়ে যায়। চীন চেষ্টা করে পাশ্বর্বতী দেশগুলির উপর তাদের পণ্য চাপিয়ে দিতে। চীন অথোরেটেরিয়ান রাষ্ট্র। গণতান্ত্রিক পরিকাঠামোতে থাকে না। আমেরিকা ভারতের মতো বিভিন্ন বড় গণতান্ত্রিক দেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক রেখেছে। মুক্ত বাজার বা বিশ্বায়ন সংক্রান্ত বিভিন্ন মাপকাঠিগুলি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অনেক বেশি করেছে গণতান্ত্রিক দেশগুলির সঙ্গে। সে দেশের বাজার পাওয়া আমেরিকার কাছে সহজ হয়েছে।”
সম্প্রতি চীনা অর্থনীতিতে ভাটার টান দেখা দিয়েছে। সারা বিশ্বে যেখানে পণ্যমূল্যের বৃদ্ধি হয়েছে, চীনের ছবি তার উল্টো। উৎপাদকের দিক থেকে পণ্যমূল্যে যে পরিমাণ বৃদ্ধি দেখা গিয়েছে, ভোক্তার দিক থেকে ঘটেছে তার উল্টো ঘটনা। যখন সর্বত্র কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কগুলি সুদের হার বাড়াচ্ছে, চীনের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক তার আর্থিক নীতি শিথিল করছে। ভারতের শেয়ার বাজারে যখন তেজি ভাব তখন বেইজিংয়ের সূচক অনেকটাই নীচে। আমেরিকান ডলারের তুলনায় ইউয়ানের মূল্যও হ্রাস পেয়েছে সাম্প্রতিককালে। দেশজ চাহিদার হ্রাস এবং ব্যক্তিগত বিনিয়োগের অভাব কাজ করছে বলে অর্থনীতির বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন। চীনে ব্যক্তিগত বিনিয়োগে একটা ভাটা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বাণিজ্যক্ষেত্রে গত কয়েক মাসে পতন ঘটেছে। আমদানিও উল্লেখযোগ্য ভাবে কমেছে।
চীনের জনসংখ্যার বড় অংশের বয়স বেড়েছে। কর্মক্ষমতা কমেছে। সে দেশের কর্মক্ষম জনসংখ্যা হ্রাস, সরকার এবং আধা-সরকারি ক্ষেত্রে বিপুল ঋণ, আবাসনক্ষেত্রে প্রয়োজনের থেকে বেশি মাত্রায় নির্মাণ— এ সব কিছুকে অর্থনীতির ভাঙনের পিছনে দায়ী করেছেন বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু আমেরিকাকে টেক্কা দিতে না পারলেও চীনের অর্থনীতি যে ধসে গিয়েছে, তা কিন্তু নয়। বরং পশ্চিমী বিশ্ব এখনও উৎপাদনের বিষয়ে অত সহজে চীনকে এড়াতে পারবে না। তাতে সাপ্লাই চেনে বড়সড় ঘাটতি তৈরি হতে পারে। যদিও আমেরিকা ও পশ্চিমী দেশগুলি উৎপাদনের জন্য বিকল্প দেশের সন্ধান চালাচ্ছেন।
জাপান যেমন চীন থেকে আস্তানা গোটানোর পথে হাঁটছে। গত কয়েক বছরে ১৩৫ জাপানি সংস্থা চীন ছেড়ে অন্য দেশে তাঁদের কারখানা তৈরি করেছে। দক্ষিণ কোরিয়াও তার বন্ধু মনোভাবাপন্ন দেশগুলিতে যন্ত্রাংশ তৈরির বরাত দিচ্ছে। এই পরিস্থিতিতেই দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন দেশের সামনে শিল্পস্থাপনের ভালো সুযোগ তৈরি হচ্ছে। যার মধ্যে রয়েছে আমাদের দেশ ভারত। বিভিন্ন সংস্থা ইতিমধ্যেই ভারতে উৎপাদন শুরুর বিষয়ে আগ্রহ দেখিয়েছে। কথা বার্তাও চলছে অনেক সংস্থার সঙ্গেই। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার পূর্বাভাস, আগামী কয়েক বছরে ভারত বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি হয়ে উঠবে।
নিজের অতীতের থেকে বৃদ্ধি কমুক বা আমেরিকার সঙ্গে লড়াইয়ে পিছিয়ে পড়ুক। এখনই চীনের উৎপাদন কেন্দ্র এবং বাজারকে খাটো করে দেখতে নারাজ বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতে, চীন এখনও বৃদ্ধির পথেই রয়েছে। তবে এই বৃদ্ধি দিয়ে চটজলদি আমেরিকাকে হারানো সম্ভব নয়, তাও মনে করাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।