নতুন একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে কমলা হ্যারিসের চেয়ে সামান্য এগিয়ে আছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। সোমবার (২১ অক্টোবর) প্রকাশিত আরব নিউজ/ইউগভ সমীক্ষায় দেখা গেছে, নির্বাচনের দুই সপ্তাহ আগে আরব আমেরিকানদের মধ্যে হ্যারিসের চেয়ে ৪৩ শতাংশ থেকে ৪৫ শতাংশ ভোটে এগিয়ে আছেন ট্রাম্প। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এ খবর জানিয়েছে।
গাজায় যুদ্ধের কারণে ডেমোক্র্যাটদের সমর্থন হারানোর সর্বশেষ লক্ষণ হিসেবে ধরা হচ্ছে এই জরিপকে। স্যুইং বা দোদুল্যমান রাজ্যে গাজা যুদ্ধে ডেমোক্র্যাটিক সমর্থন আরব আমেরিকান ভোটারদের মধ্যে বড় ধরনের প্রভাব ফেলেছে।
এমনকি ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাত সমাধানে সফল হওয়ার সম্ভাবনার ক্ষেত্রেও ট্রাম্প এগিয়ে রয়েছেন বলে দেখা যাচ্ছে। এই বিষয়ের সমীক্ষায় ট্রাম্প ৩৯ শতাংশ বং হ্যারিস ৩৩ শতাংশ ভোট পেয়েছেন।
মধ্যপ্রাচ্যের জন্য কে ‘সাধারণভাবে’ ভালো হবে- এই প্রশ্নে অবশ্য ট্রাম্প এবং হ্যারিস উভয়েই ৩৮ শতাংশ ভোট পেয়ে সমান অবস্থানে রয়েছেন।
আরব-আমেরিকান সম্প্রদায়ের জন্য সবচেয়ে বড় উদ্বেগের বিষয় কী ছিল? এই প্রশ্নে ২৯ শতাংশ উত্তরদাতা ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাতকে বেছে নিয়েছেন। এর পরের অবস্থানে ২১ শতাংশ অর্থনীতি ও জীবনযাত্রার ব্যয় এবং ১৩ শতাংশ বেছে নিয়েছেন বর্ণবাদ ও বৈষম্যকে।
ডেমোক্র্যাট প্রতিদ্বন্দ্বীর তুলনায় ট্রাম্পকে ইসরায়েলের বর্তমান সরকারের প্রতি আরও সমর্থনকারী হিসেবে দেখা যাচ্ছে, যেখানে ছয় পয়েন্টের ব্যবধানে তিনি এগিয়ে আছেন বলে সমীক্ষায় জানানো হয়েছে।
৫০০ আরব-আমেরিকানদের নমুনার ওপর ভিত্তি করে তৈরি এই সমীক্ষার বেশিরভাগ ফলাফলের প্রান্তিক ত্রুটি প্লাস-মাইনাস ৫.৯৩ শতাংশের মধ্যে রয়েছে।
গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধের প্রতি প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সমর্থন তার ভাইস প্রেসিডেন্টের নির্বাচনী সম্ভাবনাকে হুমকির মুখে ফেলতে পারে বলে ডেমোক্র্যাটদের জন্য এটি সর্বশেষ সতর্কবার্তা।
সমীক্ষায় দেখা গেছে, আরব আমেরিকানদের মধ্যে হ্যারিসের সমর্থন বাইডেনের ২০২০ সালের সমর্থনের চেয়ে ১৮ পয়েন্ট নিচে রয়েছে। আরব-আমেরিকান ভোটাররা হ্যারিসের নির্বাচনী সম্ভাবনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ হতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ মিশিগানে আরব আমেরিকানরাই সংখ্যাগরিষ্ঠ। আর মিশিগান হলো সাতটি গুরুত্বপূর্ণ রাজ্যের মধ্যে একটি, যা ভোটের ফলাফল নির্ধারণ করতে পারে বলে মনে করা হয়।