ইসলামী আন্দোলনের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেছেন, ফারুকীকে কোন যোগ্যতা ও কোন গুণে উপদেষ্টা করা হলো তা আমার প্রশ্ন। যদি ফারুকীকে পদত্যাগ করতে বাধ্য না করা হয় তাহলে কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।
শনিবার (১৬ নভেম্বর) বিকেলে মাদারীপুরের শিবচর নন্দকুমার মডেল ইনস্টিটিউশন মাঠ প্রাঙ্গণে আয়োজিত গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে পার্থক্য নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, যে ফ্যাসিস্টের বিরুদ্ধে এদেশের মানুষ আন্দোলন করেছে, চিহ্নিত একটি রাজনৈতিক দল তাদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে এদেশের শহীদদের সঙ্গে বেইমানি করছে। তারা এদেশের মানুষের আবেগের ওপর দাঁড়িয়ে ক্ষমতায় যেতে চায়।
অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে ফয়জুল করিম আরও বলেন, এদেশের মানুষ আন্দোলন করে জীবন দিয়েছে। আর উপদেষ্টা বানানো হচ্ছে বিদেশি চাটুকারদের। যারা ইসলাম ও দেশের দুষমন। দেশের সাধারণ মানুষ এসব মেনে নেবে না।
ইসলামী আন্দোলনের নায়েবে আমির বলেন, ১৯৭১ সালের পর থেকে যারা ক্ষমতায় ছিল তারা মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটাতে পারেনি। শাসন, শোষণ, নির্যাতন, নিপীড়ন এবং লুটতরাজের মাধ্যমে দেশকে অস্থিতিশীল করে রেখেছিল। তারা দুর্নীতিতে পরপর পাঁচবার চ্যাম্পিয়ন হওয়া দেখেছেন। অবশেষে ২০২৪ সালে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে এদেশের মানুষ আবার ও বাংলাদেশ স্বাধীন করেছেন।
তিনি আরও বলেন, কেবল দল ও নেতা পরিবর্তনের মাধ্যমে দেশের শান্তি আসতে পারে না। যতদিন ন্যায়-নীতির পরিবর্তন আসবে না, ততদিন দেশের মানুষের শান্তি শৃঙ্খলা এবং আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটাতে পারবে না। ১৯৭১ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত এদেশে সবচেয়ে বেশি বৈষম্যের শিকার হয়েছে সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ। ইসলামী শাসন কায়েম হলে দেশে হিন্দু, মুসলমান, বৌদ্ধ, খ্রিস্টানসহ সব ধর্মের মানুষ শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করার সুযোগ পাবেন।
ইসলামী আন্দোলনের শিবচর উপজেলা শাখার সভাপতি হাফেজ জাফর আহমেদের সভাপতিত্বে উক্ত গণ সমাবেশ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ফরাজী আন্দোলনের সভাপতি হাফেজ মাওলানা আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ হাসান পীর সাহেব বাহাদুরপুর, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক লোকমান হোসেন জাফরী।