দুর্নীতি দমন কমিশন বর্তমানে বিএনপি দমন কমিশনে পরিণত হয়েছে বলে দাবি করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘জিয়াউর রহমানের পরিবারকে রাজনীতি থেকে আজীবনের জন্য দূরে সরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করছে সরকার।’
শনিবার (১৫ এপ্রিল) দুপুরে গুলশানের বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
আজ ভোরে নিউ সুপার মার্কেটে আগুন লাগার ঘটনা প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, একের পর এক মার্কেট আগুনে পুড়ে যাচ্ছে। আজ আবারও আগুন লেগেছে। আমরা এ ঘটনায় গভীর শোক জানাচ্ছি। যাদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তাদের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি আমরা।
তিনি বলেন, এক এগারো থেকেই খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে রাজনীতি থেকে সরিয়ে দিতে অবিরাম চেষ্টা চলছে। বর্তমানেও সে চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। যার অংশ হিসেবে ২০১৮ সালে একাদশ সংসদ নির্বাচনের ঠিক আগে খালেদা জিয়াকে প্ল্যান করে, অন্যায়ভাবে সাজা দেওয়া হয়েছিল। আবার একই কায়দায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে একতরফাভাবে সাজা দেওয়ার সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে এ সরকার।
মির্জা ফখরুল বলেন, যেসব সম্পত্তির মালিক তারেক রহমান নন, কোনো দলিল-চুক্তিতে তার নাম, স্বাক্ষর বা সংশ্লিষ্টতাও নেই, সেসব সম্পত্তির গায়েবি মালিক বানিয়ে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। এমনকি তারেক রহমান ও ডা. জোবাইদা রহমানের কর পরিশোধকৃত সম্পদ নিয়েও কাল্পনিক অভিযোগে মামলা করা হয়েছে।
তারেক রহমান ও ডা. জোবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে তা অবান্তর ও ভিত্তিহীন বলেও দাবি করে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, চার্জ গঠন করে মামলার একতরফা যে রায় দেওয়া হবে, সেটা হবে প্রতিহিংসামূলক ফরমায়েশি।
তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা, ফরমায়েশি আদেশ এবং দুদকের দায়ের করা মামলা প্রত্যাহারের জোর দাবি জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, একতরফাভাবে সাজা দেওয়ার এমন হীন পরিকল্পনা থেকে সরকারকে সরে আসার আহ্বান জানাই।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, সেলিমা রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স প্রমুখ।