ইউরোপে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি বেড়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক
  ১৭ এপ্রিল ২০২৩, ১২:৩৪

বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দার মধ্যেও ভালো করছে বাংলাদেশের রপ্তানি আয়ের প্রধান খাত তৈরি পোশাক। গত অর্থবছরের ৯ মাসের তুলনায় এই বছরের একই সময়ে ইউরোপের বাজারে রপ্তানি আয় বেড়েছে ১১ দশমিক ৭৮ শতাংশ। এই সময়ে মোট পোশাক রপ্তানি হয়েছে ১৭ দশমিক ৬১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের। যা গত অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ১৫ দশমিক ৭৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) ও তৈরি পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর হালনাগাদ তথ্য বিশ্লেষণ করে এমন চিত্র পাওয়া গেছে। হালনাগাদ তথ্য বলছে, আগের বছরের তুলনায় চলতি অর্থবছরের প্রথম নয় মাসে ইউরোপের প্রধান বাজার জার্মানিতে রপ্তানি কমেছে ৪ দশমিক ১৬ শতাংশ। পোল্যান্ডেও রপ্তানি কমেছে ১৪ দশমিক ৮৬ শতাংশ। তবে ফ্রান্স এবং স্পেনে রপ্তানি যথাক্রমে ২৫ দশমিক ২৩ শতাংশ এবং ১৮ দশমিক ৮২ শতাংশ বেড়েছে।
জানা গেছে, চলতি অর্থবছরের প্রথম নয় মাসে তৈরি পোশাকে মোট রপ্তানি হয়েছে ৩৫ দশমিক ২৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। আগের বছর একই সময়ে তা ছিল ৩১ দশমিক ৪৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। রপ্তানিতে সামগ্রিক প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১২ দশমিক ১৭ শতাংশ।
তৈরি পোশাকের মোট রপ্তানি আয়ের মধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে এসেছে ৪৯ দশমিক ৯৬ শতাংশ, যুক্তরাষ্ট্র থেকে ১৭ দশমিক ৭৬ শতাংশ, যুক্তরাজ্য থেকে ১০ দশমিক ৯১ শতাংশ, কানাডা থেকে ৩ দশমিক ০৯ শতাংশ এবং অপ্রচলিত বাজার থেকে ১৮ দশমিক ২৮ শতাংশ এসেছে।
যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে চলতি বছর ৫ দশমিক ০১ শতাংশ ঋণাত্মক প্রবৃদ্ধি হয়েছে। তার পরও দেশটিতে রপ্তানি দাঁড়িয়েছে ৬ দশমিক ২৫ বিলিয়ন ডলার। এ ছাড়া যুক্তরাজ্য ও কানাডায় রপ্তানি যথাক্রমে ১৪ দশমিক ০৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধিসহ ৩ দশমিক ৮৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং ১৭ দশমিক ৬৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধিসহ ১ দশমিক ০৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে।
অপ্রচলিত বাজারে আগের বছরের চেয়ে রপ্তানি ৩৪ দশমিক ৭৪ শতাংশ বেড়ে ৬ দশমিক ৪৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে দাঁড়িয়েছে। প্রধান অপ্রচলিত বাজারগুলোর মধ্যে জাপান, ভারত, অস্ট্রেলিয়া, তুরস্ক, ব্রাজিল এবং দক্ষিণ কোরিয়ায় রপ্তানি বেড়েছে।
তৈরি পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল জানান, তারা নতুন বাজার অনুসন্ধানের পাশাপাশি ব্যবসায় গতিশীলতা আনতে ও সহজীকরণের জন্য নীতি সংস্কার নিয়ে কাজ করছেন। তিনি বলেন, ‘এই প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে এবং নতুন সুযোগগুলো কাজে লাগানোর জন্য নতুন পণ্য এবং নতুন বাজারে আমাদের শিল্পের শক্তি ও সক্ষমতা বৈশ্বিক ক্রেতাদের (বিদ্যমান এবং নতুন) সামনে উপস্থাপন এবং হাইলাইট করার উপযুক্ত সময় এখনই। দীর্ঘমেয়াদে এটি আমাদের প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে সাহায্য করবে।’