ঈদুল ফিতর উপলক্ষে তিন দিনব্যাপী কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ রোববার দ্বিতীয় দিনে দলীয় নেতাকর্মী, সমর্থক ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। সকাল থেকে দিনভর ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের কোন্ডা ইউনিয়নের মির্জাপুর গ্রামের নিজ বাসভবনে এই ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় করেন তিনি। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন বিএনপির ঢাকা জেলার সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নিপুণ রায় চৌধুরী।
এ সময় গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘ঈদ মানে আনন্দ। কিন্ত সরকারের অত্যাচার-নির্যাতন, দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতিতে দেশের মানুষ এবারও আনন্দ-উচ্ছ্বাসের মধ্য দিয়ে ঈদ করতে পারেনি। দুঃখ-কষ্টের মধ্য দিয়ে তাদের ঈদ কেটেছে। এই অবস্থায় দেশের চলমান সংকট থেকে দেশ ও দেশের মানুষকে উত্তরণে আন্দোলন আরও বেগবান করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে চলমান এই আন্দোলনের মধ্য দিয়ে এই আওয়ামী লীগ সরকারকে বিদায় করতে হবে। গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠায় দেশে একটি জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এই আন্দোলনে দেশবাসীকে ঐক্যবদ্ধভাবে অংশ নিয়ে বিজয় অর্জন করা গেলেই দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করা সম্ভব হবে।’
নিপুণ রায় চৌধুরী বলেন, ঈদের দিনও কারান্তরীণ এবং গুম, খুন ও পঙ্গুত্ববরণকারী নেতাকর্মীদের সদস্যদের সঙ্গে সশরীরে সাক্ষাৎ করেছেন গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। তারেক রহমানের পক্ষ থেকে ঈদ উপহারসহ নববর্ষ ও ঈদের শুভেচ্ছা কার্ড তাদের বাড়িতে গিয়ে হস্তান্তর করা হয়েছে। দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ ছাড়াও ঢাকা জেলায়য় একই কর্মসূচি চলছে।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ছিলেন জাতীয়তাবাদী মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্মের সাবেক আহ্বায়ক কালাম ফয়েজী, দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোজাদ্দেদ আলী বাবু, বিএনপি নেতা আব্দুল মান্নান রতন, আলী হোসেন, ঈসা খান, আবু সেলিম চৌধুরী, জিয়াউদ্দিন পিন্টু, শাহ নেওয়াজসহ অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।