ইসকন সংশ্লিষ্ট ২০২টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের সন্ধান পেয়েছে আর্থিক খাতের গোয়েন্দা সংস্থা বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। এসব ব্যাংক হিসাবে মোট ২৩৬ কোটি ৪২ লাখ টাকা জমা দেওয়া হয়েছিল। সংস্থাটির এক সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
বিএফআইইউ সূত্র জানায়, ইসকনের ২০২ ব্যাংক হিসাবে ২৩৬ কোটি টাকা জমার তথ্য পাওয়া গেছে। গত ২৯ নভেম্বর পর্যন্ত এসব হিসাব বা অ্যাকাউন্ট থেকে ২২৩ কোটি ৭৩ লাখ টাকা উত্তোলন করা হয়েছে। এখনও ব্যাংক হিসাবগুলোতে ১২ কোটি ৯৪ লাখ টাকা জমা রয়েছে।
ইসকনের বিতর্কিত নেতা চিন্ময় কুমার দাসের নামে তিন কোটি ৯২ লাখ টাকা জমা হয়েছিল। তার পুরো অর্থই উত্তোলন করা হয়েছে। এসব ব্যাংক হিসাবে কারা অর্থ জমা দিয়েছিল কিংবা জমা করা অর্থের উৎসের সন্ধানে কাজ শুরু করেছে বিএফআইইউ।
গত ২৮ নভেম্বর বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র ও পুণ্ডরীক ধামের অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীসহ ইসকনের ১৭ জনের ব্যাংক হিসাবে স্থগিতের নির্দেশ দিয়েছিল বিএফআইইউ।
বিএফআইইউ যাদের ব্যাংক হিসাবে লেনদেন স্থগিতের নির্দেশনা দেওয়া হয় তাদের মধ্যে রয়েছেন-চন্দন কুমার ধর ওরফে চিন্ময় কৃষ্ণ দাস, কার্ত্তিক চন্দ্র দে, অনিক পাল, সরোজ রায়, সুশান্ত দাস, বিশ্ব কুমার সিংহ, চণ্ডীদাস বালা, জয়দেব কর্মকার, লিপি রানী কর্মকার, সুধামা গৌর দাস, লক্ষণ কান্তি দাশ, প্রিয়তোষ দাশ, রূপন দাস, রূপন কুমার ধর, আশীষ পুরোহিত, জগদীশ চন্দ্র অধিকারী ও সজল দাস।