সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অংশ নেওয়ার আভাস দিয়েছেন সিলেটের মেয়র ও বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আরিফুল হক চৌধুরী। আজ সোমবার দুপুরে জাতীয় মে দিবস উপলক্ষে সিলেট জেলা ও মহানগর শ্রমিক দল আয়োজিত শোভাযাত্রা ও সমাবেশে অংশ নিয়ে এ আভাস দেন তিনি।
সিলেট সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর গত মাসে বেশ কিছু দিন লন্ডনে অবস্থান করেনে আরিফুল হক চৌধুরী। সেখানে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মন গলাতেই গিয়েছিলেন বলে ধারণা করছেন অনেকেই।
আজ নগরীর রেজিস্টারি মাঠে আয়োজিত শ্রমিক দলের সমাবেশের প্রধান অতিথি, সিলেট করপোরেশনের বর্তমান মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, ‘সিটি নির্বাচনের (পাঁচ সিটি) তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে। ভোটের অধিকার আদায়ের আন্দোলনে সেই নির্বাচনে বিএনপি যাচ্ছে না। তবে বাস্তবতার বিবেচনায় সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আমরা কেন যাব, সে বিষয়ে আগামী ২০ মে সিলেট রেজিস্টারি মাঠে সমাবেশ ডেকে স্পষ্ট করা হবে।’
আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, ‘সিটি নির্বাচন একটি প্রহসনের নির্বাচন করতে চায় নির্বাচন কমিশন। যেখানে জাতীয়ভাবে সারাদেশে জাতীয় নির্বাচনে ইভিএম প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে, সেখানে আবার সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ইভিএম দেওয়া হয়েছে। এই ইভিএম হচ্ছে তাদের মেকানিজমের অন্যতম বিষয়। যে নির্বাচনে আপনারা আপনাদের পছন্দের লোকদের ভোট দেবেন সেই ভোট অন্য পাত্রে চলে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা দেখতে পাই এই মহানগরীর জনগণ ইভিএমের সঙ্গে কোনোভাবেই পরিচিত নয়। কাজেই এই নির্বাচন কমিশনকে বলব, যদি তারা ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার ইলেকশন করতে চায়... জনগণের বিরুদ্ধে কিছু হলে এর দায় দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনকেই বহন করতে হবে। নির্বাচন কমিশন তাদের চোখ থাকতে যদি অন্ধ হয়ে যায়, তবে কিছু বলার নেই।’
সিলেটের মেয়র বলেন, ‘যে ইভিএম প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে সেই ইভিএম দিয়ে সিটি নির্বাচন মানি না। সিটি নির্বাচনে ইভিএম পদ্ধতি বাতিল করতে হবে। ইভিএম কোনো ভোট মানি না।’
আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, গত ১০ বছর তিনি নগরবাসীর সেবা করেছেন। সিলেট মহানগরীর রাজনৈতিক নেতারা নেতৃত্ব দিতে জানে, বাইরে থেকে কাউকে ভাড়া করে নিয়ে এসে মহানগরীর মানুষকে দাস বানানো মানবে না নগরীর মানুষ।
প্রসঙ্গত, সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে এবার আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন যুক্তরাজ্য প্রবাসী নেতা আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী।