সিলেটে আলোচিত রিসোর্ট কাণ্ডে ছাত্রদল নেতাকে প্রধান আসামি করে ৩০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) মোগলাবাজার থানায় মামলাটি করেন রিজেন্ট পার্ক অ্যান্ড রিসোর্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হেলাল উদ্দিন আহম্মদ।
শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) রাতে এসএমপির অতিরিক্ত উপকমিশনার (মিডিয়া) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। মামলায় ৬ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ২৫০-৩০০ জনকে আসামি করা হয়েছে বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।
মামলায় রিসোর্ট ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও চাঁদাবাজির কথা উল্লেখ করা হয়েছে। মামলায় নাম উল্লেখ করা আসামিরা হলেন, সালেহ আহমদ, আলাউদ্দিন ফারাবি, সানোয়ার বকত রাহিন, হুসাইন, কবির আহম্মদ ও সুমন মিয়া। এদের মধ্যে সালেহ আহমদ দক্ষিণ সুরমা উপজেলা ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। অন্য আসামিরাও ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত বলে জানা গেছে।
তবে প্রধান আসামি সালেহ আহমদ ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত থাকলেও তার কোনো দলীয় পদ-পদবি নেই বলে জানিয়েছেন সিলেট জেলা ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জুবের আহমদ জুবের। তিনি বলেন, সালেহ আহমদ ছাত্রদলের রাজনীতি করেন। কিন্তু তার কোনো পদ-পদবি নেই।
এর আগে সিলেটের দক্ষিণ সুরমা উপজেলার সিলাম এলাকার রিজেন্ট পার্ক অ্যান্ড রিসোর্টে অসামাজিক কার্যকলাপের অভিযোগ তুলে স্থানীয়রা ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেন। এ সময় ১৬ তরুণ তরুণীকে আটক করেন স্থানীয়রা। পরে ৮ তরুণ-তরুণীকে কাজী ডেকে বিয়ে পড়িয়ে দেন। বাকি আটজনের বয়স না হওয়ায় তাদের অভিভাবকদের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়। এ ঘটনার পর থেকে সিলেট জুড়ে তোলপাড় চলছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কোনো মন্তব্য করেননি রিজেন্ট পার্ক অ্যান্ড রিসোর্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হেলাল উদ্দিন আহম্মদ।
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (মিডিয়া) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, ৬ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ২৫০-৩০০ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে। তবে এখনও কাউকে আটক করা হয়নি।