জলাবদ্ধতায় পানির নিচে সিলেট নগর

সীমাহীন ভোগান্তিতে নগরবাসী

সিলেট সংবাদদাতা
  ০৮ অক্টোবর ২০২৩, ১২:২১

টানা তিন দিনের ভারী বৃষ্টিতে সিলেটে আবারও জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। শুক্রবার দিবাগত মধ্য রাতে অনেক বাসাবাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে পানি ঢুকে পড়লে সীমাহীন ভোগান্তিতে পড়েন নগরবাসী। জানা যায়, গত বুধবার থেকে সিলেটে টানা বৃষ্টি হয়েছে। অব্যাহত বৃষ্টিপাতের কারণে শুক্রবার দিবাগত মধ্যরাত থেকে নগরীর বিভিন্ন এলাকার বাসাবাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে পানি উঠতে থাকে। গতকাল দুপুর পর্যন্ত এমএজি  ওসমানী মেডিকেলে কলেজ হাসপাতাল, বিমানবন্দর এলাকা, কাজলশাহ, শাহজালাল উপশহর, দরগামহল্লা, কালীঘাট, বাগবাড়ি, কানিশাইল, লামাপাড়া, লালা দিঘিরপাড়, মাছুদিঘিরপাড়, বাদামবাগিছা, শাহপরাণ, কুয়ারপাড় উপশহর, সোবহানীঘাট, যতরপুর, শিবগঞ্জ, মাছিমপুর, কামালগড় ও দক্ষিণ সুরমার পিরোজপুরসহ প্রায় অর্ধেক নগরীর রাস্তাঘাট তলিয়ে যায়। পানি উঠে পড়ে বাসাবাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে। এতে নষ্ট হয় আসবাবপত্র ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালপত্র। শুক্রবার রাত নির্ঘুম কাটান পানি ঢুকে পড়া বাসাবাড়ির লোকজন। মহানগরের বিভিন্ন সড়ক পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ায় গতকাল দিনভর যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটে। এতে আরেক দফা ভোগান্তিতে পড়েন লোকজন।
সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) ৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও খাসদবির এলাকার বাসিন্দা ফরহাদ চৌধুরী শামীম জানান, শুক্রবার দিবাগত গভীর রাতে তার বাসার নিচতলায় পানি ঢুকে পড়ে। আসবাবপত্র অর্ধেক ডুবে যায় পানিতে। তার এলাকার প্রায় সবার বাড়িঘরের চিত্রই এমন। তিনি বলেন, এবারের বৃষ্টির মৌসুমের আগেই মহানগরের ছড়া, নালা ও খালগুলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করেছে সিসিক। তবুও জলাবদ্ধতার শিকার হতে হয়েছে নগরবাসীকে। সুরমা নদী খনন না করলে এ ভোগান্তি থেকে স্থায়ীভাবে রেহাই পাওয়া সম্ভব নয়।
এদিকে টানা বৃষ্টিতে শুক্রবার রাতে পানি ঢুকে পড়ে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেও। এতে ভোগান্তিতে পড়েন সেবা নিতে আসা রোগী ও তাদের স্বজনরা।
সিলেট আবহাওয়া অধিদফতর জানায়, গত শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে গতকাল শনিবার ৬টা পর্যন্ত সিলেটে বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে ৩৫৭.৮ মিলিমিটার। এ ছাড়া গতকাল সকাল ৬টা থেকে ৯টা পর্যন্ত মাত্র ৩ ঘণ্টায় ১০২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে সিলেটে। অক্টোবরে এটি বৃষ্টিপাতের রেকর্ড বলে জানায় আবহাওয়া অধিদফতর।