নাশকতার অভিযোগে রাজধানীর ভাটারা থানায় দায়ের করা মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, দলটির ভাইস চেয়ারম্যান ও নোয়াখালী-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মো. শাহজাহান, কুষ্টিয়া-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আহসান হাবিব লিংকনসহ ১৫ জনের চার বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
আজ সোমবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জসিম এ রায় ঘোষণা করেন। রায়ে পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে দুই বছর কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। অনাদায়ে তাদের আরও এক মাসের কারাভোগ করতে হবে।
এছাড়া অগ্নিসংযোগ করে ক্ষতি সাধনের অভিযোগে আরও দুই বছরের কারাদণ্ড, পাঁচ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দেওয়া হয়। জরিমানা অনাদায়ে তাদের আরও এক মাসের কারাভোগ করতে হবে। দুই ধারার সাজা এক সঙ্গে চলবে বলে রায়ে উল্লেখ করেন বিচারক।
আসামিপক্ষের আইনজীবী শেখ শাকিল আহমেদ রিপন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
কারাদণ্ডপ্রাপ্ত অপর আসামিরা হলেন- বিএনপির গ্রাম সরকার বিষয়ক সহসম্পাদক মোহাম্মদ বেলাল আহমেদ, সহ-প্রচার সম্পাদক মোহাম্মদ শামীমুর রহমান শামীম, তৌহিদুল ইসলাম, তুহিন, মনিরুল হক মনির, মোহাম্মদ দিদারুল ইসলাম, মাসুদ রানা, আব্দুর রাজ্জাক, জিয়াউল ইসলাম জুয়েল, মো. আরিফ, মোহাম্মদ নিশান মিয়া, মোহাম্মদ মাহমুদুল হাসান সুমন, মোজাম্মেল হক।
অপরদিকে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় চার আসামিকে খালাস দেন আদালত। তারা হলেন- মোহাম্মদ কফিল উদ্দিন, দ্বীন ইসলাম, মোহাম্মদ মামুন ও আমিনুল ইসলাম।
রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন আমিনুল ইসলাম। অপর কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা আদালতে উপস্থিত না হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাসহ সাজা পরোয়ানা জারি করেন আদালত।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০ দলীয় জোটের লাগাতার অবরোধ চলাকালে ২০১৫ সালের ৪ জানুয়ারি বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে ৩০-৪০ জন যমুনা ফিউচার পার্কের বিপরীতে প্রগতি সরণীতে জনসাধারণের চলাচলে গতিরোধ, পুলিশের কাজে বাধা ও বাসে অগ্নিসংযোগ করেন। অগ্নিসংযোগে এক লাখ ৬০ হাজার টাকার ক্ষতি হয়।
এ ঘটনায় ভাটারা থানার সাব-ইন্সপেক্টর নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলা করেন। মামলা তদন্ত করে ওই বছরের ১২ মে হাবিবুর রহমান হাবিবসহ ১৯ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন ভাটারা থানার সাব-ইন্সপেক্টর শাহ মো. সাজু মিয়া।