স্বজনদের জন্য ইলিশ-পোলাও রান্না করলেন প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক
  ১২ অক্টোবর ২০২৩, ১১:০৭

দুই দিনের ব্যক্তিগত সফরে গ্রামের বাড়ি গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় গিয়ে নিজ হাতে ইলিশ-পোলাও রান্না করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রান্না করা সেই ইলিশ-পোলাও তার নিকটাত্মীয় এবং টুঙ্গিপাড়ায় বসবাসরত শেখ পরিবারের সদস্যদের নিয়ে একসঙ্গে রাতের খাবার খেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
 এ সময় বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার হাতের রান্না করা খাবার খেতে পেরে উচ্ছ্বাসিত তার স্বজন ও শেখ পরিবারের সদস্যরা।
মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) রাতে টুঙ্গিপাড়ার নিজ বাড়িতে এ আয়োজন করা হয়। সেই মুহূর্তের একটি ভিডিও বুধবার (১১ অক্টোবর) প্রকাশিত হয়েছে আওয়ামী লীগের ফেসবুক পেজে।
ওই পোস্টে লেখা হয়েছে, ‘টুঙ্গিপাড়ায় গ্রামের বাড়িতে নিজ হাতে ইলিশ-পোলাও রান্না। পরিবারের সবার সাথে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এক ব্যতিক্রমী সন্ধ্যা। ’
ভিডিওতে দেখা যায়, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা স্বজনদের মাঝে ইলিশ-পোলাও পরিবেশন করছেন। গরম ভাপ ওঠা ইলিশের টুকরো যাতে ভেঙে না যায়, সেজন্য তিনি একটি একটি করে পাতে তুলে দিচ্ছেন।
জানা গেছে, দুই দিনের ব্যক্তিগত সফরে মঙ্গলবার বিকেলে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় আসেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার ছোটবোন শেখ রেহানা এবং তাদের পরিবারের সদস্যরা।
মঙ্গলবার বিকেলে তারা টুঙ্গিপাড়ায় পৌঁছে প্রথমে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এরপর টুঙ্গিপাড়ায় নিজ বাড়িতে যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানে পৌঁছে স্বজন ও শেখ পরিবারের সদস্যদের জন্য নিজ হাতে ইলিশ-পোলাও রান্না করে সবার মাঝে নিজ হাতে পরিবেশন করেন প্রধানমন্ত্রী। সবাইকে নিয়ে একসঙ্গে রাতের খাবার খান তিনি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন শেখ পরিবারের সদস্য, বাগেরহাট-১ আসনের সংসদ সদস্য শেখ হেলাল উদ্দিন, তার ছেলে বাগেরহাট-২ আসনের সংসদ সদস্য শেখ সারহান নাসের তন্ময়, শেখ দিপু, শেখ লিপু, গোপালগঞ্জ পৌরসভার মেয়র শেখ রকিব হোসেন, টুঙ্গিপাড়ার মেয়র শেখ তোজাম্মেল হক টুটুল ও টুঙ্গিপাড়ায় বসবাসরত শেখ পরিবারের সদস্যরা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে টুঙ্গিপাড়ার মেয়র শেখ তোজাম্মেল হক টুটুল বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী এত ব্যস্ততার মধ্যেও আমাদের নিজ হাতে রান্না করে খাবার খাইয়েছেন। এতে আমরা খুবই উচ্ছ্বসিত। রাতে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে খাবার খেয়েছি। এটি আমাদের জন্য সৌভাগ্যের বিষয়। প্রধানমন্ত্রী আগামীতে টুঙ্গিপাড়ায় এসে আমাদের সঙ্গে আবারও এভাবে খাবার খাবেন সেই প্রত্যাশা আমাদের। ’