১৩৬ তম বন্দর দিবস উপলক্ষে প্রায় ৩৫ হাজার মানুষের জন্য বিশাল মেজবানির আয়োজন করেছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ।
রোববার (১৫ অক্টোবর) দুপুর ১২টা থেকে চট্টগ্রাম বন্দর স্টেডিয়ামে এই মেজবানি শুরু হয়েছে।
মেজবানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দিয়েছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এবং নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোস্তফা কামাল।
এছাড়া মেজবানে অংশ নিবেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এমপি, শিক্ষা উপমন্ত্রী মুহিবুল হাসান চৌধূরী নওফেলসহ সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব ওমর ফারুক জানান, চট্টগ্রাম বন্দরের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে প্রতিবছরই বড় আয়োজন করে থাকে বন্দর কর্তৃপক্ষ। এরই ধারাবাহিকতায় এবার ১৩৬ তম বন্দর দিবসে ৩৫ হাজার মানুষের জন্য বড় মেজবানির আয়োজন করা হয়েছে। এ জন্য জবাই করা হয়েছে ৩৫টি বড় গরু। এছাড়া সনাতন ধর্মাবলম্বীদের জন্য জবাই করা হয়েছে শতাধিক খাসি। প্রতি ব্যচে ৬ হাজার মানুষ এক সাথে খাওয়ার মতো প্যান্ডেল তৈরি করা হয়েছে বন্দর স্টেডিয়ামে। আমন্ত্রিত অতিথি ছাড়া চট্টগ্রাম বন্দর ও বন্দরসংশ্লিষ্ট সকল স্তরের কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শ্রমিকরা এই মেজবানিতে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে মেজবান উপভোগ করবেন।
মেজবানি আয়োজনের প্রধান বাবুর্চি মোহাম্মদ বাকের জানান, সাম্প্রতিক সময়ে সবচেয়ে বড় মেজবানির আয়োজন হয়েছে এবার বন্দরের আয়োজনে। ১৮৫ মণ গরুর মাংসের সাথে ৫ হাজার কেজি চালের সাদা ভাত দিয়ে প্রায় ৩৫ হাজার মানুষকে মেজবানি খাওয়ানো হবে। মেজবানির মেনুতে রয়েছে সাদা ভাত, মেজবানির মাংস, মেজবানির চনার ডাল, গরুর নলা ও নলার ঝোল বা নেহেরী। এছাড়া সনাতন ধর্মাবলম্বীদের জন্য পৃথকভাবে খাসির মাংসের মেজবানির আয়োজন রাখা হয়েছে। দুপুর ১২টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত মেজবানির আপ্যায়ন চলবে।