‘সরকারের আজ্ঞাবহ’ নির্বাচন কমিশনের পদত্যাগের দাবিতে নির্বাচন ভবন ঘেরাও কর্মসূচি পালনের চেষ্টা করে বাম গণতান্ত্রিক জোট। তবে পুলিশ তাদের ভবনের কাছে যেতে দেয়নি, রাস্তা থেকেই সরিয়ে দেয়।
এর আগে বিক্ষোভ মিছিল করে জোটের নেতারা বলেন, ২০১৪ ও ‘১৮ সালের মতো এবারও প্রহসনের নির্বাচনের জন্য তফসিল ঘোষণা করা হলে সারা দেশে আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) আইডিবি ভবনের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ শেষ করে নির্বাচন ভবন অভিমুখে যাত্রা শুরু করেন বাম গণতান্ত্রিক জোটের নেতারা। এসময় পুলিশের বাধা দিলে তারা সেখানে ১০ মিনিটের মতো অবস্থান করেন।
ঘেরাও কর্মসূচি থেকে বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজ বলেন, সরকারের আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশন দিয়ে সুষ্ঠু ভোট হবে না। ইসির কাজ দেখে মনে হয় তারা জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে।
চলমান রাজনৈতিক সংকটের সমাধানে তিনটি পরামর্শ দিয়ে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, সরকার পদত্যাগ করে সংসদ ভেঙে দিয়ে নির্বাচনকালীন সরকার গঠনের বিষয়ে আলোচনায় বসতে হবে। নির্বাচন কমিশন সরকারকে বলবে যে সারা দেশের মানুষ চায় নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন।
তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) আজিমুল হক সাংবাদিকদের বলেন, এটি একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ এলাকা। এই এলাকায় অনেক গুরুত্বপূর্ণ অফিস রয়েছে। তাই পূর্ব অনুমতি না নিয়ে তারা এখানে বিক্ষোভ মিছিল করতে পারেন না। আমরা বিষয়টি জানতাম না। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রথম বিষয়টি জেনেছি। তারপর তাদের অনুরোধ করে শান্তিপূর্ণভাবে সরিয়ে দিয়েছি।