রিমান্ড শুনানি শেষে আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে উপস্থিত সবাইকে ঈদ মোবারক জানিয়েছেন সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
সোমবার (২৪ মার্চ) সকাল ১০টায় পলককে ঢাকার সিএমএম আদালতে হাজির করা হয়। এসময় তাকে আদালতের কাঠগড়ায় রাখা হয়। এরপর এ মামলায় তাকে ৭ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা।
রাষ্ট্রপক্ষে পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী রিমান্ড মঞ্জুরের পক্ষে শুনানি করেন। অন্যদিকে, আসামিপক্ষে অ্যাডভোকেট ফারজানা ইয়াসমিন রাখি ও অ্যাডভোকেট তরিকুল ইসলাম রিমান্ড বাতিল চেয়ে আবেদন করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদেশ দেন আদালত। রিমান্ড শুনানি শেষে পলকের আইনজীবী অ্যাডভোকেট তরিকুল ইসলাম জানান, পলক ভাই সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী চাত্র আন্দোলন কেন্দ্রিক রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানার ওবায়দুল হত্যা মামলায় পলকের এ রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়। ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জি এম ফারহান ইশতিয়াকের আদালত এ রিমান্ড মঞ্জুর করে আদেশ দেন।
মামলার সূত্রে জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নিয়ে গত ৫ আগস্ট যাত্রাবাড়ীর মেয়র হানিফ ফ্লাইওভার এলাকায় পুলিশ ও আওয়ামী লীগের হামলায় মৃত্যুবরণ করেন ভুক্তভোগী ওবায়দুল ইসলাম। এ ঘটনায় রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়।
গত ১৪ আগস্ট রাতে রাজধানীর খিলক্ষেত থানাধীন নিকুঞ্জ আবাসিক এলাকা থেকে আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় জুনায়েদ আহমেদ পলককে গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশ। এরপর থেকে বিভিন্ন মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে দফায় দফায় রিমান্ডে নেওয়া হয়। বর্তমানে তিনি গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে আছেন।
এছাড়াও যাত্রাবাড়ী থানার সাজেদুর রহমান ওমর ও জাহাঙ্গীর আলম হত্যার ঘটনায় করা পৃথক দুই মামলায় পলককে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। সাবেক মন্ত্রী কামরুল ইসলাম, প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদারকে কাফরুল থানার তরিকুল ইসলাম রুবেল হত্যা মামলায় এবং ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র আতিকুল ইসলাম ও কামরুল ইসলামকে বাড্ডা থানার সাজিদ হাওলাদার হত্যা মামলায় গ্রেফতার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত।
সোমবার (২৪ মার্চ) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জি.এম. ফারহান ইশতিয়াকের আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।