ডেস্ক রিপোর্ট
স্বজনদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগ করে নিতে গ্রামের পথে ছুটছে মানুষ। এতে করে ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কে বেড়েছে যানবাহনের চাপ। তবে মহাসড়কে নেই কোনো যানজট।
এরমধ্যে আবার অনেকেই খরচ বাঁচাতে পণ্যবাহী ট্রাক-পিকআপে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাড়ি ফিরছেন। শনিবার (২৯ মার্চ) ঢাকা-টাঙ্গাইল যমুনা সেতু মহাসড়কে এ দৃশ্য দেখা যায়।
আফরোজা আক্তার নামে ট্রাকের এক যাত্রী বলেন, বাসে দ্বিগুণ ভাড়া দিতে হয়। এজন্য ট্রাকে করে সিরাজগঞ্জ যাচ্ছি। খরচ কম লাগছে।
লতিফ মিয়া নামের আরেক ট্রাক যাত্রী বলেন, আমি রংপুর যাবো। ট্রাক করে যাচ্ছি। বাস-গাড়ির খুবই সংকট। বাসে ভাড়াও বেশি চায়। বাসে না এসে ট্রাকে করে যাচ্ছি। ট্রাকে ভাড়া নিচ্ছে কম।
যমুনা সেতু কর্তৃপক্ষ জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় বৃহস্পতিবার রাত ১২টা থেকে শুক্রবার রাত ১২টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ৪৮ হাজার ৩৩৫টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এরমধ্যে উত্তরবঙ্গগামী ৩০ হাজার ৩৯৮টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এতে টোল আদায় হয়েছে ১ কোটি ৯০ লাখ ৯৮ হাজার ৫৫০ টাকা। অপরদিকে ঢাকাগামী ১৭ হাজার ৯৩৭টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এর বিপরীত টোল আদায় ১ কোটি ৪৭ লাখ ৫৪ হাজার ৩৫০ টাকা।
এ বিষয়ে এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মুহাম্মদ শরীফ বলেন, শুক্রবার দুপুরের পর থেকে সড়কে যানবাহনের চাপ বেড়ে যায়। যানবাহনের চাপ থাকলেও এখনো কোনো যানজট হয়নি। ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে মহাসড়কে পর্যাপ্ত পরিমাণে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন রয়েছে।