আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দেশে একটি মহল অস্থিরতা ও সন্ত্রাসের ডাক দিচ্ছে। রাজনীতির এই অশুভ শক্তিকে বধ করতে হবে। ২০০১ সালে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা নির্যাতিত হয়েছে। আমরা এর পুনরাবৃত্তি চাই না।
শারদীয় দুর্গাপূজার মহাসপ্তমীতে শনিবার (২১ অক্টোবর) বিকেলে ঢাকেশ্বরী জাতীয় পূজামণ্ডপ পরিদর্শনকালে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্দির প্রাঙ্গণে এক বক্তব্যে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পাশে সব সময়ই আছে। দুর্গাপূজা শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজে মনিটরিং করছেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ব্রিফ করেছেন। আগের অশুভ ঘটনাগুলো হিন্দু সম্প্রদায়কে কষ্ট দিয়েছে। এসব অপকর্মের পুনরাবৃত্তি চাই না। আশা করি দশমী পর্যন্ত পূজা শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হবে।
তিনি বলেন, দেশে রাজনৈতিক অঙ্গন অস্থির, মানুষের মধ্যে আতঙ্ক। আমাদের দেশে রাজনীতিতে যখন অবরোধ শব্দ শুনি, তখন জনগণ আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। এই অবরোধ কেমন তা জনগণ ২০১৪ সালে দেখেছে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে ক্ষমতার পরিবর্তন চাইলে সেটি হতে হবে নির্বাচনের মাধ্যমে। আর নির্বাচন হবে সংবিধান অনুযায়ী। (বিএনপির প্রতি ইঙ্গিত করে) একটি দল তাদের কর্মীদের বলছে, মাত্র কয়েকটা দিন, আর অপেক্ষা নয়। তাদের হাকডাক শুরু হয়েছে। কর্মীদের মিথ্যা আশ্বাস দেওয়া হচ্ছে। সেই কর্মীরা যখন দেখবে ২৮ অক্টোবরের পরিণতি ১০ ডিসেম্বরের মতো অশ্বডিম্ব হবে তখন সেই কর্মীরাই বিএনপি নেতাদের কাঠগড়ায় দাঁড় করাবে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ২৮ তারিখ আমাদেরও কর্মসূচি আছে। ওইদিন আমাদেরও মহাযাত্রা আছে। চট্টগ্রামে কর্ণফুলী নদীর তলদেশে বঙ্গবন্ধু টানেলের মহাযাত্রা শুরু হবে। বিকেলে বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে জনতার ঢল নামবে।
বিএনপির প্রতি প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, কয়দিন সময় দেবেন? বলে দিচ্ছি, আমাদের সময় নেই। ৪ তারিখে ঢাকায় স্মরণকালের সর্ববৃহৎ সমাবেশ হবে। মেট্রোরেলের উদ্বোধনে দাওয়াত দিচ্ছি। কোনো মেগা প্রকল্প তো আপনারা করেননি। চুরি করেছেন শুধু। দেশের সম্পদ লুট করেছেন, অর্থপাচার করেছেন।
তিনি বলেন, দেশে অস্থিরতার ডাক দিচ্ছে অশুভ শক্তি, এদের বধ করতে হবে। রাজনীতির অশুভ শক্তিকে বধ করতে হবে। উৎসব যেন শান্তিপূর্ণ থাকে, ২০০১ সালের মতো যেন না হয় সেজন্য ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। শেখ হাসিনা ছাড়া সংখ্যালঘুদের আর কোনো নেতা বা আপনজন নেই। আমরা হিন্দু সম্প্রদায়ের পাশে ছিলাম, আছি, থাকবো।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন- আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, সদস্য নির্মল কুমার চ্যাটার্জি, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি জেএল ভৌমিক ও মহানগর সার্বজনীন পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি মনিন্দ্র কুমার রায় প্রমুখ।