প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ ঘোষিত ১২ দফা নির্দেশনার আলোকে বিচারসেবায় দুর্নীতির বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি অনুযায়ী পদক্ষেপ নেওয়া শুরু হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে একজন বেঞ্চ সহকারীকে সাময়িক বরখাস্ত করার পাশাপাশি তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
সোমবার (২১ এপ্রিল) সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের গণসংযোগ কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ বিষয়ে জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, গত ১৮ সেপ্টেম্বর প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ বিচারসেবা সহজীকরণসহ পেশাগত কাজে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিতকরণে সুপ্রিম কোর্ট রেজিস্ট্রির সব কর্মকর্তা-কর্মচারীর উদ্দেশ্যে ১২ দফা নির্দেশনা দেন।
পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে সবধরনের আর্থিক লেনদেন বর্জন করা ১২ দফা নির্দেশনার মধ্যে অন্যতম। তবে সম্প্রতি ‘সংবাদ ২৪ ঘণ্টা’ নামক একটি স্থানীয় অনলাইন মিডিয়ায় রাজশাহীর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে কর্মরত বেঞ্চ সহকারী মোহাম্মদ নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে ঘুস গ্রহণ, নথি ব্যবস্থাপনায় অনিয়ম ও অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ সম্পর্কিত একটি রিপোর্ট প্রচারিত হয়। এক্ষেত্রে প্রধান বিচারপতি ঘোষিত ১২ দফা নির্দেশনার আলোকে বিচারসেবা দেওয়ায় যে কোনো দুর্নীতির বিষয়ে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি অবলম্বনের অংশ হিসেবে বেঞ্চ সহকারী মোহাম্মদ নজরুল ইসলামকে সাময়িক বরখাস্তের আদেশ দেন সুপ্রিম কোর্ট।
এছাড়া ৩০ দিনের মধ্যে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় তদন্ত সম্পন্ন করে প্রতিবেদন পাঠাতে রাজশাহীর জেলা জজকে নির্দেশনা দেন হাইকোর্ট বিভাগ। এরই মধ্যে অভিযুক্ত বেঞ্চ সহকারী মোহাম্মদ নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে দুদক আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।