শারদীয় দুর্গোৎসবের বিজয়া দশমীতে সারা দেশের ন্যায় রাজশাহীর মণ্ডপগুলোতেও সিঁদুর খেলায় মেতে উঠেছিলেন নারীরা। সিঁদুর খেলা শেষেই শুরু হয় দেবী দুর্গাকে বিদায় দেওয়ার প্রস্তুতি। দুপুরের পর থেকেই রাজশাহী নগরীর বিভিন্ন এলাকায় পদ্মা নদীতে প্রতীমা বিসর্জন শুরু হয়।
পাঁচ দিনব্যাপী শারদ উৎসবের শেষ দিন মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) নগরীর বিভিন্ন পূজা মণ্ডপে ঘুরে দেখা যায়, ঢাকের তালে তালে সিঁদুর খেলায় মেতে উঠেছেন বিবাহিত নারীরা। একজন অপরজনের সিঁথিতে সিঁদুর তুলে দিচ্ছিলেন তারা। অনেকে একজন আরেকজনের গালেও লাগিয়ে দিচ্ছিলেন সিঁদুরের রঙ। স্বামীর মঙ্গল কামনায় দেবীর পা ছোঁয়ানো এ সিঁদুর নিয়ে খেলায় মেতে ওঠেন তারা।
এর আগে সকাল থেকে শুরু হয় ভক্তদের আরাধনা। দশমী পূজার পর সিঁদুর খেলা শুরু হয়। দুপুরের পর দেবী দুর্গাকে এক বছরের জন্য বিদায় দিতে গিয়ে বিষাদে ভরে ওঠে সবার মন। নগরীর মন্নুজান স্কুল সংলগ্ন পদ্মা নদীর পড়ে গিয়ে চোখের জলে দেবী দুর্গাকে বিদায় জানাতে দেখা গেছে তাদের। দেবী দুর্গাকে বিসর্জন দেওয়ার সময় যাতে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সেজন্য সতর্ক অবস্থায় দেখা গেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদেরকেও।
রাজশাহী নগরীর ভদ্রা আবাসিক পূজা পরিষদের প্রধান পৃষ্ঠপোষক ডা. বি কে দাম বলেন, ‘এবারের পূজায় প্রার্থনা করেছি দেশ ও জাতির কল্যাণের। মানুষ যেন সুখে ও শান্তিতে বসবাস করতে পারে সেই প্রার্থনা করেছি। মানুষের মঙ্গল নিয়ে দেবী আবার আসবেন, সেই পর্যন্ত আমরা অপেক্ষায় থাকব।’
রাজশাহীর ৯ উপজেলা এবং মহানগর মিলে এবার প্রায় ৪৫০ মণ্ডপে শারদীয় দুর্গোৎসব উদযাপিত হয়েছে। উৎসব চলাকালে কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির মধ্যে দিয়েই উদযাপিত হলো সনাতন ধর্মাবলাম্বীদের সবচেয়ে বড় এই ধর্মীয় উৎসব।