‘আওয়ামী লীগের বড় নেতারা বাসায় ঘুমায়, ছাত্রলীগ পালিয়ে বেড়ায়’

ফেসবুক লাইভে ছাত্রলীগে নেতার ক্ষোভ
ডেস্ক রিপোর্ট
  ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ২৩:১৬

‘আওয়ামী লীগের বড় বড় নেতারা বাসায় ঘুমায় আর ছাত্রলীগ পালিয়ে বেড়ায়’ বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন পটুয়াখালী জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান বাদল। বুধবার (২৩ এপ্রিল) দিনগত রাতে ফেসবুক লাইভে তিনি এ ক্ষোভ প্রকাশ করেন। যা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়।
মেহেদী হাসান বাদল বলেন, ‘বড় বড় আওয়ামী লীগ নেতা- যারা শতশত কোটি টাকার মালিক হয়েছেন তারা শহরে ঘুরছে, বাড়িতে ঘুমাচ্ছেন। তাদের বিরুদ্ধে কোনো মামলা নেই, বাড়িঘরে হামলা-ভাঙচুর নেই। যত হামলা-ভাঙচুর মামলার আসামি ছাত্রলীগের সাধারণ নেতাকর্মী।’
সাত মিনিট ৪৯ সেকেন্ডের লাইভে বাদল দাবি করেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকাকালীন সময় তিনিসহ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা কোন টাকা-পয়সা ইনকাম করতে পারেনি। উল্টো তারা খরচ করেছেন। তবে ৫ আগস্ট পরবর্তী সময় কেউ তাদের খোঁজখবর রাখছেন না।
ক্ষোভ নিয়ে তিনি বলেন, জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি কাজী আলমগীর, সাধারণ সম্পাদক ভিপি মন্নান ও আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেনকে যারা পরিচালনা করেছেন সেসব নেতারাও শহরের বাসায় কিংবা ঢাকার ফ্লাটে বসবাস করছেন। এ সময় তিনি তার বসতবাড়িতে একাধিকবার হামলা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন। জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান আরিফের বাসায় একাধিকবার হামলা হলেও যুবলীগ সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, শ্রমিকলীগ সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ অনেক নেতার বাড়িতে কোনো ধরনের হামলা-ভাঙচুর হয়নি।
৫ আগস্টের আগে অনেক ছাত্রদল নেতার সঙ্গে ভালো সম্পর্ক ছিল এবং ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের কোনো ধরনের মারধর করেননি বলেও লাইভে দাবি করেন মেহেদী হাসান বাদল।
এ বিষয়ে জানতে মেহেদী হাসান বাদলের মোবাইল, হোয়াটসঅ্যাপে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
পটুয়াখালী জেলা ছাত্রদলের সদস্যসচিব জাকারিয়া আহমেদ বলেন, ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা যাতে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে সে বিষয়ে আমরা সতর্ক রয়েছি। তারা এখন লুকিয়ে এ ধরনের লাইভ করছে। সন্ত্রাসী ও মামলার আসামিদের গ্রেফতারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের আরও সক্রিয় হওয়া দরকার।
পটুয়াখালী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইনচার্জ মো. ইমতিয়াজ আহমেদ জানান, চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারে পুলিশ নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছে।