চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্য জাতীয় নির্বাচনের জন্য দেশবাসী উদগ্রীব হয়ে আছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) রাজধানীর গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে বাম গণতান্ত্রিক ঐক্যের সমন্বয়ক আবুল কালাম আজাদের নেতৃত্বে প্রতিনিধিদলের সঙ্গে লিয়াজোঁ কমিটির বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে এ মন্তব্য করেন।
ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য বিএনপি দ্রুত নির্বাচন চাইছে, একটি রাজনৈতিক দল এমন মন্তব্য করেছে—এ বিষয়ে জানতে চাইলে আমীর খসরু বলেন, রাজনৈতিক দল নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় যাবে এটিই তো গণতন্ত্র। এটিই গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া। দেশবাসী ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের জন্য উদগ্রীব হয়ে আছে। দেশে গণতন্ত্রের বিপক্ষে একটি শক্তি কাজ করছে। বাংলাদেশের মানুষ এত বোকা নয়, তারা সবকিছু খেয়াল করছে।
সংস্কার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, নির্বাচন হচ্ছে মানুষের ভোটাধিকারের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা করা এবং গণতান্ত্রিক সরকারের মাধ্যমে জনগণের অধিকার ফিরিয়ে আনা। এটি পরিষ্কার কথা। সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া। নির্বাচনের পরও সংস্কার চলতে থাকবে।
বিএনপির এ জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, সংস্কারের যেসব বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলো ঐকমত্য হয়েছে তা জাতির সামনে প্রকাশ করতে হবে। প্রকাশের মাধ্যমে ভোটের দিনক্ষণ প্রকাশ করলে অসুবিধা কোথায়? প্রধান উপদেষ্টাও বলেছেন ঐকমত্যের ভিত্তিতে সংস্কার হবে। তাহলে রাজনৈতিক দলগুলো সংস্কার কমিশনে যে সুপারিশ জমা দিয়েছে তা প্রকাশ করছে না কেন? দলগুলো কোথায় কোথায় একমত হয়েছে তা জাতির সামনে প্রকাশ করে নির্বাচনের দিকে যাওয়া যায়।
বাম গণতান্ত্রিক ঐক্যের সমন্বয়ক আবুল কালাম আজাদ বলেন, সংস্কারের নামে গণতন্ত্রের গলা টিপে ধরতে পারি না। ২০০৮ সাল থেকে দেশের মানুষ ভোটধিকার বঞ্চিত। এখন ফ্যাসিস্টমুক্ত বাংলাদেশেও কেন ভোটের অধিকার থেকে মানুষ বঞ্চিত হবে। চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন দেওয়া সম্ভব। আমরা চাই ডিসেম্বরের আগেই জাতীয় নির্বাচন হয়ে যাক।