৩০ বছর সভাপতির দায়িত্ব পালন করে ওই পদ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিদায় নিয়েছেন গণফোরামের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, বিশিষ্ট আইনজ্ঞ ড. কামাল হোসেন। তিনি এখন থেকে গণফোরামের ইমেরিটাস সভাপতি থাকবেন।
শুক্রবার (২৭ অক্টোবর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে গণফোরামের বিশেষ জাতীয় কাউন্সিলে বয়স এবং শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় ড. কামাল হোসেন নিজেই দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন।
কাউন্সিলে গণফোরামের নতুন সভাপতি করা হয় মফিজুল ইসলাম খানকে। সাধারণ সম্পাদক হিসেবে আবার দায়িত্ব পান মো. মিজানুর রহমান। বিশেষ এই কাউন্সিলে দলের গঠনতন্ত্র সংশোধন করে ইমেরিটাস সভাপতি পদ সৃষ্টি করা হয়, সহযোগী সংগঠন করার সুযোগ তৈরি করা হয় এবং ১০ সদস্যের উপদেষ্টা কমিটির বিধান যোগ করা হয়।
বর্ষীয়ান নেতা ড. কামাল হোসেন সভাপতি হিসেবে দেওয়া শেষ বক্তব্যে বলেন, ‘আমি বিদায় নিচ্ছি। আনুষ্ঠানিকভাবে সভাপতির পদে থাকছি না।’ গণফোরামকে গণমানুষের আরও কাছে নিয়ে যেতে কাজ করার জন্য নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান তিনি।
অনুষ্ঠানে ড. কামাল হোসেনের লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান দলটির নেতা নুরুজ্জামান। লিখিত বক্তব্যে ড. কামাল হোসেন বলেন, ‘আমার বয়স এবং শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় এখন আর সক্রিয়ভাবে সভাপতির দায়িত্ব পালন করা সম্ভব হচ্ছে না। এমতাবস্থায় আমি সমস্ত রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড থেকে তথা গণফোরামের সভাপতি পদ থেকে অব্যাহতি নেওয়ার ঘোষণা দিচ্ছি।’
ড. কামাল হোসেন বলেন, তিনি ব্যক্তিগত অবস্থান থেকে দেশ ও জাতির জন্য সাধ্য মোতাবেক অবদান রাখার চেষ্টা করবেন। দলের প্রতি সহযোগিতা ও পরামর্শ সব সময়ই থাকবে।
লিখিত বক্তব্যে ড. কামাল হোসেন দুর্বৃত্তায়িত ও আদর্শহীন রাজনীতিকে পরাজিত করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার রাজনীতি ও বাংলাদেশকে ফিরিয়ে আনতে গণফোরামের নেতা-কর্মীদের আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, জনগণের মৌলিক ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য আজ সংগ্রাম করতে হচ্ছে। দেশে চলছে অবাধে লুটপাট, অর্থ পাচার, সর্বগ্রাসী দলীয়করণসহ জবরদস্তিমূলক শাসন।
ড. কামাল হোসেনের সভাপতিত্বে কাউন্সিলে আরও উপস্থিত ছিলেন সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এস এম আলতাফ হোসেন, মুস্তাক আহমেদ, আবদুল্লাহ আল মামুন, সুরাইয়া বেগম প্রমুখ।