নির্বাচনের পরিবেশ এখনও অনুকূলে নেই—প্রধান নির্বাচন কমিশনারের এমন বক্তব্য প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘এসব বিচ্ছিন্ন, বিক্ষিপ্ত বক্তব্য নিয়ে চিন্তার কিছু নেই। একেকজন মানুষের কোনও বিষয়ে দৃষ্টিভঙ্গি একেক রকম থাকতে পারে। কিন্তু নির্বাচন হবে না বা নির্বাচন নিয়ে তাদের ভিন্ন কোনও চিন্তা আছে কিনা এমন কথা নির্বাচন কমিশনের কেউ এ পর্যন্ত উচ্চারণ করেননি। তাই এসব বক্তব্য নিয়ে, নির্বাচন কমিশন নিয়ে ভ্রান্ত ধারণা ও বিভ্রান্তি ছড়ানো মোটেও উচিত হবে না।‘
শুক্রবার (২৭ অক্টোবর) বিকালে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগের ‘শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ’-এর আগের দিন এ সংবাদ সম্মেলন করা হলো। একই দিন নয়াপল্টনে বিএনপি মহাসমাবেশের ডাক দিয়েছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘নির্বাচন হবে না, নির্বাচন কমিশন কখনোই এমন সন্দেহ পোষণ করে নাই। তাদের বক্তব্য নিয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছে। তার হয়তো স্লিপ অব টাং হতে পারে, কিন্তু আবার সংশোধনও করেছে।’
২৮ অক্টোবরের কর্মসূচি নিয়ে জনমনে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ফখরুল সাহেব তো শান্তির কথা বলেছেন, এটা কথায় নয়, কাজে যেন থাকে। আমরা শান্তিপূর্ণ আছি।’
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বিএনপি সমাবেশের নামে বসে পড়বে এটা আওয়ামী লীগ কখনোই বলেনি। আমরা তো বলি নাই তারা বসে পড়বে। এটা তারা বানাচ্ছে। তারা বসে পড়লে বসুক, আমাদের কী? তারা কোথায় বসবে? এ নগরীতে লোকজনকে চলাচল করতে দেবে না। প্রবেশপথে বসতে গিয়েছিল, বসতে গিয়ে আরেকজন ডিবি অফিসে গিয়ে কোরাল মাছের ঝোল খেয়েছে। আরেকজন প্রধানমন্ত্রীর জুস খেয়ে খুশি, ধন্যবাদও পাঠিয়েছে। দেখেন না কি হয়। আমরা ঠান্ডা মাথায় আছি, মাথা গরম করি না, এখন শান্তি চাই। নির্বাচনের সময়ও শান্তিপূর্ণ চাই, নির্বাচনের পরেও শান্তিপূর্ণ চাই। আমাদের কথার সঙ্গে কাজে মিল আছে কিনা সেটা আপনারা দেখবেন।’
সরকার কোনও চাপে আছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা কোনও চাপে নাই। তবে আমরা পুরোনো দিনের কথা ভুলতে পারি না। ২০১৪-১৫ সালকে ভুলতে পারি না। বিএনপির আগুন সন্ত্রাস, মানুষ মারার ইতিহাস ভুলতে পারি না। শান্তিটা তাদের মুখের কথা না মনের কথা সেটা আমরা দেখবো।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ফখরুল কী বললো না বললো সেটা বিষয় নয়। নির্বাচন জানুয়ারিতে হবে। আমরা এখন যা বলছি বাস্তবে কি হয় সেটা নির্বাচনেই দেখবেন। প্রধানমন্ত্রীর কথার সঙ্গে বাস্তবে মিল আছে কিনা সেটা আপনারা দেখবেন। বিএনপি কী বললো, ফখরুল কী বললো, সেটা আমাদের বিষয় নয়।’
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সংসদ উপনেতা বেগম মতিয়া চৌধুরী, ড. আব্দুর রাজ্জাক, লে. কর্নেল (অব.) ফারুক খান, শাজাহান খান, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, কামরুল ইসলাম, মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, খায়রুজ্জামান লিটন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বি এম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, আফজাল হোসেন প্রমুখ।