রাজধানীর আরামবাগের নটরডেম কলেজের সামনের সড়কে মুখোমুখি অবস্থানে রয়েছে পুলিশ ও জামায়াতে ইসলামী। বর্তমানে নটরডেট কলেজ, আরামবাগ ও আশেপাশের এলাকায় অবস্থান নিয়েছে জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীরা। আর পুলিশের অবস্থান রয়েছে নটরডেম কলেজ গেট, কালভার্ট মোড ও শাপলা চত্বরে।
সকাল থেকে আরামবাগের কালভার্ট মোডে ৫ শতাধিক জামায়াত নেতাকর্মীর অবস্থান ছিল। দুপুর ১২টা ৫০ মিনিটে জামায়াতের নেতাকর্মীরা পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে নটরডেট কলেজের গেট দিয়ে মতিঝিলের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করে।
এর আগে সরকার পতনের একদফা দাবিতে সড়কে মহড়া চালানোর সময় পুলিশের মুখোমুখি হয় জামায়াত-শিবির কর্মীরা। নটর ডেম কলেজের আগে আরামবাগ মোড়ে তাদের আটকে দেয় পুলিশ। শনিবার সকাল থেকে এই এলাকায় তাদের আটকে দিয়ে ব্যারিকেড দিয়েছে পুলিশ।
মতিঝিল থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ বলেন, জামায়াত-শিবিরের সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছে কিনা জানি না। তবে তাদের আরামবাগের মুখ থেকে তাদের মতিঝিল শাপলা চত্বরের দিকে যেতে দেওয়া হবে না।
এদিকে জামায়াত সূত্র সমকালকে জানায়, সরকারের মন্ত্রী এবং পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা হয়েছে। তাদেরকে জামায়াত আশ্বস্ত করেছে শান্তিপূর্ণ সমাবেশ হবে। এর প্রেক্ষিতে পুলিশও জামায়াতকে মহাসমাবেশ করার মৌখিক অনুমতি দিয়েছে। তবে এ বিষয়ে পুলিশের কোনো বক্তব্য জানা যায়নি।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যখন আরামবাগ নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে ঠিক সে সময় ফকিরাপুল দিয়ে প্রায় ৫০ হাজার নেকাকর্মী মতিঝিলে ঢুকে পড়ে। একপর্যায়ে প্রশাসন নিয়ন্ত্রণ হারালে মতিঝিল নিয়ন্ত্রণে নেয় জামায়াতের নেতাকর্মীরা।