যুক্তরাষ্ট্র থেকে বছরে আরও ১ মিলিয়ন টন তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) কেনার চুক্তি করলো বাংলাদেশ।
বুধবার (৮ নভেম্বর) সন্ধ্যায় দেশটির এক্সিলারেট এনার্জির সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদী এই চুক্তি সই করে পেট্রোবাংলা।
মার্কিন এই প্রতিষ্ঠানটি কক্সবাজারের মহেশখালীতে ভাসমান টার্মিনাল তৈরি করে। আর ২০১৮ সালের আগস্ট থেকে পেট্রোবাংলাকে এলএনজি সরবরাহ করছে তারা। দৈনিক গ্যাস সরবরাহের প্রায় ২৫ ভাগ আসছে এক্সিলারেট এনার্জি থেকে। এবার ২০২৬ থেকে পরবর্তী পনের বছর অর্থাৎ ২০৪১ সাল পর্যন্ত তাদের কাছ থেকে এলএনজি কেনার চুক্তি করলো পেট্রোবাংলা। এর ফলে বছরে মিলিয়ন টন এলএনজির সরবরাহ নিশ্চিত করলো জ্বালানি বিভাগ। এরমধ্যে ২০২৬ ও ২০২৭ সালে ০.৮৫ এমটিপিএ এলএনজি সরবরাহ করা হবে। এরপর ২০২৮ থেকে ২০৪০ সাল পর্যন্ত মার্কিন প্রতিষ্ঠানটি প্রতি বছর ১ এমটিপিএ এলএনজি সরবরাহ করবে।
আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করলে এই খাতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আরও বড় প্রকল্প বাস্তবায়নের কথা জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
অনুষ্ঠানে ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বলেন, আমি বিশ্বাস করি, আগামী পনের বছর এদেশের জ্বালানি নিরাপত্তায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে এই চুক্তি।
দুষ্কৃতকারীরা দেশের অর্জন ধ্বংসের চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেন প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী। তা প্রতিরোধে মার্কিন ব্যবসায়ীদের এগিয়ে আসার অনুরোধ জানান তিনি।
এই অনুষ্ঠানে এক্সিলারেট এনার্জির শীর্ষ কর্মকর্তারা উল্লেখ করেন, এলএনজির সবচেয়ে গতিশীল বাজারগুলোর অন্যতম বাংলাদেশ।
চুক্তিতে পেট্রোবাংলার বোর্ড সচিব রুচিরা ইসলাম এবং এক্সিলারেট এনার্জির এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের ভাইস প্রেসিডেন্ট র্যামন ওয়াংদি নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে সই করেন।